Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ভুল সিদ্ধান্ত নেন না আশরাফুল আলম খোকন

| প্রকাশের সময় : ৮ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বাগেরহাটের রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে আপত্তি থেকে সরে আসায় জাতিসংঘের বিজ্ঞান ও শিক্ষাবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হার মেনেছে বলে মনে করছেন প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন। তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনা কোনো ভুল সিদ্ধান্ত নেন না, তা আবার প্রমাণিত হলো। গত বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইউনেস্কোর আপত্তি তুলে নেয়ার বিষয়টি জানানোর পর ফেসবুকে দেয়া এক স্ট্যাটাসে এই মন্তব্য করেন খোকন।
সুন্দরবনের অদূরে বাগেরহাটের রামপালে নির্মিতব্য এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প নিয়ে পরিবেশবাদী বিভিন্ন সংগঠন আপত্তি জানিয়ে আসছে। তাদের দাবি, এই কেন্দ্রটি সুন্দরবনের জন্য ক্ষতির কারণ হবে। এসব উদ্বেগ উড়িয়ে দিয়ে সরকার জানায়, সর্বাধুনিক প্রযুক্তির বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে সব ধরনের সুরক্ষা থাকবে বলে এটি সুন্দরবনের ক্ষতির কারণ হবে না। সরকার ও পরিবেশবাদীদের পাল্টাপাল্টি অবস্থানের মধ্যে ইউনেস্কোর পক্ষ থেকেও রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে গত বছর চিঠি দেয়া হয় সরকারকে। সরকার সেই চিঠির জবাবও দেয়। বিষয়টি নিয়ে নানা আলোচনার পর ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটি সুন্দরবনের প্রান্তসীমায় ওই বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে তাদের আগের আপত্তি তুলে নেয়।
একে ইউনেস্কোর হার বলছেন প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব। ফেসবুক স্ট্যাটাসে আশরাফুল আলম খোকন বলেন, বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনা কোনো ভুল সিদ্ধান্ত নেন না তা আবার প্রমাণিত। পদ্মা সেতুর দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে শেখ হাসিনার চ্যালেঞ্জের কাছে পরাজিত হয়েছিল বিশ্বব্যাংক। এবার হার মানলো জাতিসংঘের শিক্ষা বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো। তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র হলে সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি হবে না।
প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেসসচিব বলেন, এর দ্বারা প্রমাণিত হলো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং ঐতিহ্য ও পরিবেশের সংরক্ষণ শেখ হাসিনা দ্বারাই সম্ভব। রামপাল নিয়ে আপত্তি জানানো পরিবেশবাদীদের উদ্দেশে খোকন লেখেন, পরিবেশজীবীরা এইবার কি বলবেন? জানি এত্তো দালালির পর আপনাদের মেনে নিতে কষ্ট হবে। তবুও কি আর করা সত্যটা মেনে নিতেই হবে। সত্যের জয় অবধারিত। আর শেখ হাসিনা সেই সত্যের পথেই আছেন। ভারত-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ২০১৯ সালে উৎপাদনে যাবে ধরে শুরু করা কাজ ইতোমধ্যে অনেকটা এগিয়ে গেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শেখ হাসিনা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ