Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তিস্তা চুক্তি শেখ হাসিনা ছাড়া কেউ করতে পারবে না

শরীয়তপুরের এনামুল হক শামীম

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

পানি সম্পদ উপ-মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন,গঙ্গা চুক্তি ও কুশিয়ারা চুক্তি তিনিই করেছেন। আর তিস্তা চুক্তিও শেখ হাসিনা ছাড়া কেউ করতে পারবেন না। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের স্বার্থ সমুন্নত রেখেই কাজ করেন। তার ভারত সফরের সব চুক্তিই দেশের জনগণ ও জাতীয় স্বার্থকে সমুন্নত রেখেই করা হয়েছে। দেশের স্বার্থ বিরোধী কোন চুক্তি তিনি করবেন না।

গতকাল শনিবার শরীয়তপুরের জাজিরার পালেরচর ইউনিয়নে বন্যা ও নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা, ঢেউটিন ও চেক বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন। শামীম বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীররা, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে যা বলেছে তা বিএনপি ও বেগম খালেদা জিয়ার বেলায় প্রযোজ্য। কারণ, আপনাদের মনে আছে, ্রখালেদা জিয়া ভারত সফর থেকে আসার পর তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা নিয়ে কি কথা হয়েছে। তখন খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ওহ আমি তো ওটা ভুলেই গিয়েছিলামগ্ধ যাদের নেত্রী ভারত সফরে গিয়ে গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যার কথা বলতে ভুলে যায়, তারাই সবসময় ভারতকে সব দিয়েছে, কিছু আদায় করতে পারেনি।
উপমন্ত্রী শামীম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে বাংলাদেশের সঙ্গে হওয়া ৭টি সমঝোতা চুক্তির মধ্যে অন্যতম কুশিয়ারা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি।চুক্তি অনুযায়ী, কুশিয়ারা নদী থেকে রহিমপুর খাল দিয়ে ১৫৩ কিউসেক পানি প্রত্যাহারের ফলে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জকিগঞ্জ উপজেলায় শুকনো মৌসুমে চাষাবাদে আসবে ব্যাপক পরিবর্তন। একইসঙ্গে উপকৃত হবেন কানাইঘাট ও বিয়ানীবাজার উপজেলার লক্ষাধিক কৃষক।এছাড়াও এ খালের ভাটিতে থাকা হাওরাঞ্চলেও বোরো চাষাবাদ সম্ভব হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর পরে শেখ হাসিনার মতো দেশপ্রেমিক আর কেউ নেই। আর এদেশের মানুষ একমাত্র তাকে ঘিরেই স্বপ্ন দেখে। কারণ, তিনিই বাস্তবায়ন করেন। তিনি কখনো দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জনগণের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে কোনো কাজ করেন না।
জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান সোহেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, জাজিরা উপজেলা চেয়ারম্যান মোবারক আলী সিকদার, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য জহির সিকদার, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ফরিদপুর অঞ্চলের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল হেকিম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শহিদুল আলম, শরীয়তপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবীব, জাজিরা পৌরসভার মেয়র ইদ্রিস মাদবর, পালেরচর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন,
এর আগে বন্যা ও নদী ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেনউপমন্ত্রী। পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে জরুরি প্রকল্প চলমান থাকলেও, নদীভাঙন রোধে যা যা করণীয় তা করার নির্দেশ দেন তিনি। এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে বন্যা ও নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত ৮০টি পরিবারকে ৩০ কেজি করে চাল ও ২ হাজার করে টাকা দেন এবং ২৫টি পরিবারকে ২ বান্ডিল করে টিন ও ৬ হাজার করে টাকা দেন উপমন্ত্রী এনামুল হক।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তিস্তা চুক্তি শেখ হাসিনা ছাড়া কেউ করতে পারবে না
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ