পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : রাজধানীর উত্তরায় পাশাপাশি তিনটি ভবন ভয়াবহ আগুনে পুড়ে গেছে। এর মধ্যে একটি আবাসিক হোটেল থেকে দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার ভোর ৫টার দিকে উত্তরার রাজল²ী ভবনের বিপরীত দিকে রাস্তার পূর্বপাশে ৪ নম্বর সেক্টরে চারতলা সি-শেল রেস্তোরাঁর তিনতলায় প্রথম আগুন লাগে। পরে তা পাশের ছয়তলা সি-শেল আবাসিক হোটেল ও তার পাশের এ কে টাওয়ারে ছড়িয়ে পড়ে।
ফায়ার সার্ভিসের ১৬টি ইউনিট সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় বলে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা মাহামুদুল হক জানান। উত্তরা পূর্ব থানার ওসি নূরে আলম সিদ্দিক জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর সি-শেল আবাসিক হোটেলে তল্লাশি চালিয়ে চতুর্থ তলার ৩০২ নম্বর কক্ষ থেকে দুইজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। নিহতদের মধ্যে একজনের সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার পরিচয় তারা জানতে পেরেছেন। তার নাম মো. রাসেল মিয়া (২৫) তিনি ঢাকায় প্রাণ আরএফএল গ্রæপে কাজ করতেন।
তিনি চাঁদপুরের হাইমচড়ের নূর মোহাম্মদের ছেলে; ঢাকায় থাকতেন পল্লবীর এক বাসায়। তার সঙ্গে একই কক্ষ থেকে আনুমানিক ২৫ থেকে ৩০ বছর বয়সী এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তার পরিচয় পুলিশ জানতে পারেনি। ভেতরে আরও কেউ আছে কি না জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের মেজর শাকিল নেওয়াজ বলেন, হোটেলের মালিক দাবি করেছিল, ভেতরে কেউ আটকা নাই। তারপরও দুইজনকে পাওয়া গেছে। হতাহত অন্য কাউকে এখন পর্যন্ত আমরা দেখিনি। ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা আসার পর সি-শেল রেস্তোরাঁতেও কোনো কর্মচারীকে দেখা যায়নি বলে জানান তিনি। কর্মচারীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেনি। পুলিশের কাছে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা আসে। তার আগেই তারা সবাই পালিয়ে যায়। উত্তরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দায়িত্বরত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, সি-শেল হোটেলের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা দুর্বল ছিল। ফায়ার সার্ভিস দুই মাস আগে হোটেল কর্তৃপক্ষকে নোটিশ দেয়। তিনি বলেন, আমরা বলেছি অগ্নিনির্বাপণের নিজস্ব ব্যবস্থা রাখতে। হোটেল কর্তৃপক্ষ তা করেনি। নোটিশের জবাবও দেয়নি।
সূত্র জানায়, ক্ষতিগ্রস্ত তিন ভবনের মধ্যে মাঝখানের চারতলা ভবনের পুরোটা জুড়ে ছিল সি-শেল রেস্তোরাঁ। ওই ভবনের পুরোটাই পুড়ে গেছে। তার উত্তরের ছয়তলা ভবনটির চতুর্থতলা থেকে ষষ্ঠতলা পর্যন্ত ছিল সি-শেল হোটেল অ্যান্ড রেসিডেন্স। আর তৃতীয় তলায় ছিল পার্টি সেন্টার। ভবনটি নিচতলায় রয়েছে একুশে সুইটস অ্যান্ড বেকারি এবং রহিম আফরোজের একটি আউটলেট আর দোতলায় আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের কার্যালয়। আগুনে সি-শেল হোটেল ও পার্টি সেন্টার বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দক্ষিণ দিকের এ কে টাওয়ারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সি-শেল রেস্তোরাঁর মালিক আমানউল্লাহ আমান নামের এক ব্যবসায়ী। তিনি পাশের ভবনের একটি অংশ ভাড়া নিয়ে আবাসিক হোটেল চালাচ্ছিলেন। ছয়তলা ওই ভবনের মালিক উত্তরখান থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু হানিফ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।