পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পঞ্চায়েত হাবিব : প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জন্য খুশির খবর আসছে। প্রশাসনের তিন স্তর তথা উপসচিব, যুগ্মসচিব ও অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতির ফাইল চালাচালি শুরু হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতির সুপারিশ চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। গোয়েন্দা প্রতিবেদন আসলেই উপসচিব ও যুগ্ম সচিব পদে এসএসবি (সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড) পছন্দের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে। ইতিমধ্যে পদোন্নতি সংক্রান্ত প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। এসএসবির দায়িত্বশীল কয়েকজন কর্মকর্তাদের দাবি, কাউকে খুশি করতে বা দল সমর্থিতদের উপরে উঠাতে নয়; পদোন্নতিযোগ্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতিবেদন আগেই সরকারের সংগ্রহের কাজ চলছে।
নাম-প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মকর্তা ইনকিলাবকে জানান, গত দুই/তিন বছর আগে এক কর্মকর্তা গোয়েন্দা প্রতিবেদনে ইতিবাচক অবস্থানে থাকলেও এখন সেখানে নাও থাকতে পারেন এবং এটিই বাস্তবতা। এমনকি তারা এও বলতে চান, যারা রাতারাতি সরকারপন্থির জার্সি গায়ে জড়িয়েছেন এমন বেশ কিছুসংখ্যক কর্মকর্তাকে ‘পাড়’ করে দিতে হালনাগাদ গোয়েন্দা প্রতিবেদন নেয়া হয়নি। এ প্রক্রিয়ায় কিছু দুর্নীতি পরায়ণ কর্মকর্তাও পার পেয়ে যেতে পারেন।
সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের সভাপতি ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম ইনকিলাবকে বলেন, এমন অভিযোগ সত্য নয়। তাদের হাতে পদোন্নতি প্রত্যাশী সব কর্মকর্তারই গোয়েন্দা প্রতিবেদন রয়েছে। এমনকি এনএসআইয়ের (জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা) প্রতিবেদন সম্পর্কে কোনো ধরনের সন্দেহের সৃষ্টি হলে তা পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) হতে পুনঃতদন্ত করানো হয়। প্রতিবার যে প্রক্রিয়ায় পদোন্নতি হয় এবারও তা অনুসরণ করা হবে। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, জনপ্রশাসনে আবারও তিন স্তরের পদোন্নতির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সিনিয়র সহকারী সচিব থেকে উপসচিব পদে, উপসচিব থেকে যুগ্মসচিব ও যুগ্মসচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দেয়া হবে। পদোন্নতিযোগ্য কর্মকর্তাদের সুপারিশ চূড়ান্ত করতে ইতিমধ্যে এসএসবির ৫/৬টি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। চলতি জুলাই মাস পর্যন্ত এসএসবি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তিন স্তরে সুপারিশ চূড়ান্ত করতে এসএসবিকে আরও কয়েকটি বৈঠক করতে হবে। সূত্র বলছে, ইতিমধ্যে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতির সুপারিশ চূড়ান্ত করা হয়েছে। এখন চলছে যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতি বিবেচনার বৈঠক।
সূত্র জানায়, এবার উপসচিব পদে পদোন্নতির জন্য বিসিএসের ২৪তম ব্যাচ, যুগ্মসচিব পদে ১৩তম ব্যাচ এবং অতিরিক্ত সচিব পদে ৯-১০-ব্যাচের কর্মকর্তাদের বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে। এর বাইরে বিভিন্ন ব্যাচের লেফটআউট কিছু কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয়ার বিষয়টিও সরকারের বিবেচনায় রয়েছে। ২৪তম ব্যাচের ৩৫০ জন কর্মকর্তার মধ্যে ৩২০ জন, ১৩তম ব্যাচের ২০০ জনের মধ্যে ১৫০ জন, ৯-১০ ব্যাচের ২০১ জনের মধ্যে ১৫০ জনের তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করছে এসএসবি। বাকিদের বিষয়ে বেঞ্চমার্ক ও বিভাগীয় মামলাসহ নানা সমস্যা রয়েছে। এ কারণে পদোন্নতির ক্ষেত্রে তাদের পদোন্নতি বিবেচনা আমলে নেয়া হচ্ছে না। পদোন্নতিযোগ্য কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে উপসচিব পদে ২শ’, যুগ্মসচিব পদে প্রায় ১৫০ এবং অতিরিক্ত সচিব পদেও সমসংখ্যক কর্মকর্তার পদোন্নতি দেয়া হতে পারে। লেফটআউট কর্মকর্তাদের মধ্য থেকেও একশ’ কর্মকর্তার ভাগ্য খুলতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা কর্মকর্তারা জানিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনএসআইয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইনকিলাবকে বলেন, প্রশাসনে তিন স্তরের পদোন্নতির বিষয়ে তদন্ত চলছে। আগের কোনো গোয়েন্দা প্রতিবেদন এসএসবির সংগ্রহে থাকতেও পারে। বিষয়টি তার জানা নেই। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এপিডি) শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, প্রশাসনে যারা পদোন্নতি পাওয়া যোগ্য কর্মকর্তা তারাই পাবেন। এবারে কতজন পদোন্নতি পাচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডে বলতে পারবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।