পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর পল্লবীর ডি ব্লকে গত ১৬ মে বিকেলে সাহিনুদ্দীন নামে এক ব্যক্তিকে চাপাতি-রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপানোর ঘটনায় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর দিন রাতেই ফেসবুকে ভাইরাল হয় সেই ভিডিও।
ঘটনার ৪ দিনের মধ্যে হত্যাকান্ডে জড়িত সব আসামিকে গ্রেফতার করে র্যাব ও পুলিশ। তবে এই বীভৎস ভিডিওকে কাজে লাগিয়ে দেশের অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে একটি প্রভাবশালী মহল। নোয়াখালীর পূজা মন্ডপে হিন্দু মহাজোটকর্মী যতন সাহা হত্যাকাণ্ড বলেও প্রচার করা হচ্ছে। যা কোন ভাবেই সত্য নয়। প্রতি বেশি দেশ থেকে একটি প্রভাবশালী মহল দেশে বিশৃংখা তৈরি করতে এ সব অপকর্ম করছে। আইন-শৃংখলা বাহিনী সূত্রে এ সব তথ্য জানা গেছে। আইন-শৃঙ্খলার বাহিনী দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলছেন, মূলত এ ভিডিওটি ছড়িয়ে মুসলমান ও হিন্দুদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে একটি কুচক্রী মহল। এরই প্রেক্ষিতে ঘটেছে চাঁদপুর, নোয়াখালী ও রংপুরের মতো নাশকতার ঘটনা। শিগগিরই এসব গুজব ছড়ানো ব্যক্তিদের শনাক্ত করা হবে।
একটি গোয়েন্দা সংস্থার একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, প্রতি বেশি দেশ থেকে একটি প্রভাবশালী মহল দেশে বিশৃংখ পরিস্থিতি তৈরি করতে এ সব অপকর্ম করছে। তারা পুরাতন ভিডিওটি ছড়িয়ে মুসলমান ও হিন্দুদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। এদের সাথে দেশের ভেতরে যারা জড়িত রয়েছে তাদের শনাক্ত করতে কাজ চলছে। কলকাতা থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানোর তথ্য পাওয়া গেছে বলে ওই কর্মকর্তা মন্তব্য করেন।
পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস) মো. কামরুজ্জামান জানান, সাম্প্রতিক সময়ে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে কতিপয় ব্যক্তি/গোষ্ঠী উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ও বিভ্রান্তি ছড়িয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে। অনেক ক্ষেত্রে চক্রান্তকারীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পোস্ট কিংবা বিভিন্ন তথ্য বিকৃত বা অপব্যাখ্যা করে তা বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে সংঘাতমূলক পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশের সংশ্লিষ্ট ইউনিটসমূহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব সৃষ্টিকারীদের মনিটর করছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ যে কোনো মাধ্যমে বিভ্রান্তি না ছড়াতে এবং অযাচাইকরা সংবাদ বিশ্বাস না করতে সবার প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।