পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন পুলিশ দেশটিতে বসবাসরত অবৈধ অভিবাসী কর্মীদের ধরপাকড় শুরু করেছে। এতে মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। শুক্রবার মধ্যরাতে মালয়েশিয়ারর ইমিগ্রেশন পুলিশ বিভিন্ন ডিস্ট্রিক্টে অভিযান চালিয়ে সহস্রাধিক অবৈধ অভিবাসী কর্মীকে আটক করেছে। এদের মধ্যে রয়েছে কয়েক শ’ বাংলাদেশি। ই-কার্ড (অস্থায়ী পাস) নিবন্ধনের সময়সীমা শুক্রবার শেষ হবার পরেই ইমিগ্রেশন পুলিশ অবৈধ কর্মীদের ধরপাকড় শুরু করে। কুয়ালালামপুর থেকে নির্ভরযোগ্য সূত্র এতথ্য জানিয়েছে।
কুয়ালালামপুরের পেটালিং জায়া ডরমিটরিতে ইমিগ্রেশন পুলিশের মহাপরিচালক দাতুকে সেরি মুস্তাফার আলীর নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ২৩৯ জনের কাগজ-পত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর ৫১ জনকে আটক করা হয়। অভিযানের পর মুস্তাফার আলী স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, বেশিরভাগ অবৈধ কর্মী আসবাবপত্র-প্লাস্টিক উৎপাদন কারখানাগুলোতে কাজ করছিলেন। আমরা দেশের স্বার্থ এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে এ অভিযান চালিয়েছি। তিনি বলেন, ই-কার্ড (প্রযোজ্য কার্ড) নিবন্ধনের তারিখ ৩০ জুন শেষ হয়েছে। পারমিট ছাড়া কর্মরত অবৈধ কর্মীদের ধরতে এখন থেকে প্রতিদিনই এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। আটক মিয়ানমারের এক নারী কর্মী দাবি করেন, তিনি নির্দিষ্ট সময়সীমা সম্পর্কে সচেতন ছিলেন না। তার নিয়োগকর্তা তাকে এ বিষয়ে কিছু বলেননি।
এদিকে দ্য মাস্টার বিল্ডার্স অ্যাসোসিয়েশন মালয়েশিয়া (এমবিএএম) সরকারের কাছে ই-কার্ড করার সময় ২০১৮ সালের ১৫ ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধির জন্য আবেদন করেছে। অ্যাসোসিয়েশন বলেছে, বিদ্যমান সমস্যার সমাধান এবং ধীরগতি প্রক্রিয়া থেকে বের হয়ে সহজ ও দ্রুত ই-কার্ড করতে ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টকে তারা সহযোগিতা করবে। তারা আশা করে ই-কার্ড করার প্রক্রিয়া সহজ করা হলে নিয়োগকর্তারা অবৈধ কর্মীদের ই-কার্ড করতে উদ্বুদ্ধ হবে।
উল্লেখ্য, ই-কার্ড করার ক্ষেত্রে নিয়োগকর্তাকে কর্মীদের নিয়ে ইমিগ্রেশনে যেতে হয়, তখন কোম্পানির আয়-ব্যয়সহ যাবতীয় তথ্য দিতে হয়। এ ছাড়া ইমিগ্রেশনের ধীরগতির কারণে নিয়োগকর্তারা ই-কার্ড করতে উৎসাহিত হন না। মালয়েশিয়া বৈধভাবে কাজ করার সরকারি স্বীকৃতির একটি প্রক্রিয়া ই-কার্ড। যাদের পাসপোর্ট নেই তাদের জন্য এটি স্বীকৃতি। এটি করার পর অবশ্যই পাসপোর্ট করতে হবে এবং রিহায়ারিং-এর কাজ সম্পন্ন করতে হবে। অনেক কর্মী অভিযোগ করছে, তারা ই-কার্ড করার জন্য ৫শ’ থেকে ১ হাজার রিঙ্গিত দিয়েছেন। অথচ মালয়েশিয়া সরকার ই-কার্ড ফ্রি দিচ্ছে। গতকাল শনিবার কুয়ালালামপুর থেকে বিএনপি মালয়েশিয়া শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ও প্রবাসী ব্যবসায়ী কাজী সালাহ উদ্দিন অবৈধ বাংলাদেশী কর্মীদের ধরপাকড় শুরু হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ই-কার্ড (অস্থায়ী পাস) নিবন্ধনের মেয়াদ আরো এক বছর বর্ধিতকরণে বাস্তবমুখী উদ্যোগ নেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় বসবাসকারী অবৈধ কর্মীদের মধ্যে সব চেয়ে বেশি সংখ্যকই বাংলাদেশী কর্মী। সে ক্ষেত্রে দেশের রেমিটেন্স আয়ের কথা চিন্তা করে সরকারকে মালয়েশিয়া সরকারের সাথে আলোচনা করে ই-কার্ড নিবন্ধনের সময় সূচি আরো বৃদ্ধির জন্য জোড়ালো উদ্যোগ নিতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।