মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইসলামি দন্ডবিধিকে ইসলামের পরিভাষায় হুদুদ বলা হয়। এতে চুরির জন্য হাত কর্তন, অবৈধ যৌন সম্পর্কের জন্য পাথর নিক্ষেপে হত্যার মতো বিধান রয়েছে
ইনকিলাব ডেস্ক : মালয়েশিয়ায় ইসলামি দ-বিধি ব্যবস্থা চালু করার জন্য দেশটির সংসদে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন মালয়েশিয়ার প্রধান বিরোধী দল প্যান মালয়েশিয়ান ইসলামিক পার্টির প্রেসিডেন্ট আবদুল হাদি আওয়াং। এদিকে বিরোধী দলের আনা এ বিলে সমর্থন দিয়েছে মালয়েশিয়ার ক্ষমতাসীন দল ইউনাইটেড মালয়স ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (উমনো)। আগামী অক্টোবরে বিলটি নিয়ে সংসদে বিতর্ক হতে পারে বলে খবরে বলা হয়েছে। এটি পাস হলে মালয়েশিয়ার বর্তমান শরিয়া আদালতের আর প্রয়োজন হবে না। ইসলামি দ-বিধিকে ইসলামের পরিভষায় ‘হুদুদ’ বলা হয়। এতে চুরির জন্য হাত কর্তন, অবৈধ যৌন সম্পর্কের জন্য পাথর নিক্ষেপে হত্যার মতো বিভিন্ন বিধি-বিধান রয়েছে। মালয়েশিয়ার বর্তমান ক্ষমতাসীন জোটের অন্য দলগুলো মিলে অবশ্য এই বিলের সমালোচনা করে যাচ্ছে। এতে মালয়েশিয়ার মতো বহুজাতিক দেশে তিক্ততা আরো বাড়তে পারে বলে বিরোধীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
এ নিয়ে আলোচনা সমালোচনা চলছে মালয়েশিয়ায়। কিন্তু সমালোচনা থামাতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক। একে সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক আখ্যায়িত করেছে বিরোধীরা। সমালোচকরা বলছেন, দুর্নীতির অভিযোগে কোণঠাসা নাজিব শরিয়াহ আইনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছেন। ইসলামি আইন হুদুদ’র ব্যবহার করে তিনি সংখ্যাগরিষ্ঠ মালয় মুসলিম জনগোষ্ঠীর ভোট নিশ্চিত করতে চাইছেন। বর্তমান জোটের গুরুত্বপূর্ণ শরিক মালয়েশিয়ান চাইনিজ অ্যাসোসিয়েশন (এমসিএ) সভাপতি লিউ তিয়োং লাই বলেন, আমরা বারবার বলেছি, হুদুদ আইন বাস্তবায়ন ফেডারেল সংবিধানের চেতনার পরিপন্থী এবং এতে দেশের আন্তঃসাম্প্রদায়িক সম্পর্ক নষ্ট হবে। নাজিব রাজাক এক সংবাদ সম্মেলনে সমালোচকদের জবাবে বলেন, কেবল কিছু অপরাধের শাস্তি বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা শরিয়াহ আদালতে শুধু মুসলমানদের ওপর প্রয়োগ করা হবে। এ নিয়ে সমালোচকরা না বুঝে সমালোচনা করছে। তবে রাজাক এটা ‘হুদুদ’ আইন নয় বলে উল্লেখ করেন। ইসলামি আইন বা হুদুদ চালু করার পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি নিয়ে মালয়েশিয়ার সমাজ বহু বছর ধরে বিভক্ত রয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এ দেশটি বেশিরভাগ রাজ্য শরিয়া আইন বাস্তবায়ন করতে চাইলেও ফেডারেল আইন তার পথে বাধা হয়ে রয়েছে। এরপরও পার্লামেন্টে হুদুদ বিলটি বাতিল হতে বাধ্য কারণ, তা পাস করে আইনে পরিণত করতে দুই-তৃতীয়াংশ এমপির সমর্থন দরকার তা উমনোর নেতৃত্বাধীন জোটের নেই। ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে, সিএনএন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।