পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এম.হাসানুল হক উজ্জ্বল, বিয়ানীবাজার (সিলেট) থেকে : বিয়ানীবাজারে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণে করেছে। ১টি পৌরসভার ও ৮টি ইউনিয়নে কয়েক হাজার মানুষ এখন পানি বন্ধি অবস্থায় রয়েছে। গতকাল সুরমা-কুশিয়ারা ও সুনাই নদীতে পানি বৃদ্ধি না হলেও প্রতিটি নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে বন্যার পানি হাওরে বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। সিলেটের সাথে বিয়ানীবাজারের যান চলাচলে অনেকটা বিঘœ ঘটছে। শনিবার পর্যন্ত ৪টি আশ্রয় কেন্দ্রে ২৭ টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে সাড়ে ১৪ টন ত্রাণ উপজেলায় এসে পৌঁছেছে। রোববার এগুলো দূর্গত এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
জানাযায়, কুশিয়ারা নদীর পানি কমলেও সুরমা ও সুনাই নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে বিয়ানীবাজার উপজেলার ৭ ইউনিয়নে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুন করে প্লাবিত হয়েছে বিয়ানীবাজার পৌরসভার অধিকাংশ এলাকা। বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। গবাদি পশুও নিরাপদ স্থানে সরাচ্ছেন কবলিত এলাকার বাসিন্দারা। সিলেটের সাথে বিয়ানীবাজারের সরাসরি যোগযোগ ব্যবস্থা অনেকটা বন্ধ রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, কুশিয়ারা নদীর পানি বিয়ানীবাজারের শেওলা পয়েন্টে দুই পয়েন্ট কমে বিপদ সীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সিলেট-বিয়ানীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়কের আরও বেশ কিছু অংশ তলিয়ে গেছে। তলিয়ে গেছে সিলেটের সাথে যোগাযোগের বিকল্প সড়ক বিয়ানীবাজার-চন্দরপুর সড়কের আশি ভাগ অংশ। বিয়ানীবাজার উপজেলার ৭ ইউনিয়ন ও পৌরসভা পরিদর্শন করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মু: আসাদুজ্জামান ও পৌর মেয়র আব্দুস শুকুর।
বন্যা কবলিত এলাকার জন্য জেলা প্রশাসন থেকে সাড়ে ১৪ টন ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মু: আসাদুজ্জামান।
সরেজমিন বন্যা কবলিত এলাকা ঘুরে দেখা যায়, দুবাগ, শেওলা, কুড়ারবাজার, মাথিউরা, তিলপাড়া, লাউতা, মুড়িয়া ও বিয়ানীবাজার পৌরসভার ৮০ভাগ এলাকার মানুষ পানি বন্ধি হয়ে পড়েছেন। এসব ইউনিয়নের রাস্তা-ঘাট তলিয়ে গেছে। বাসা-বাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করা মানুষজন আত্মীয়দের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। গবাদি পশুগুলো উচু স্থানসহ আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে নিয়ে রাখা হচ্ছে। খাড়াভরা এলাকার বন্যা কবলিত আলা উদ্দিন বলেন, নদীর পানি তোড়ের ঘর ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছে।
এদিকে সিলেট- বিয়ানীবাজার-বারইগ্রাম সড়ক ও সিলেট-চন্দরপুর বিয়ানীবাজার সড়কের বেশ কিছু অংশ পানিতে তলিয়ে যাওয়া অটোরিক্সা, মাইক্রো চলাচল করেনি। এতে দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ যাত্রি। সড়কের ডুবে যাওয়া অংশ মানুষজন ট্রাক্টর ও পায়ে হেঁটে পাড়ি দিতে দেখা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।