Inqilab Logo

বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নওগাঁর মান্দায় আবারো আত্রাই নদীর বাঁধে ভাঙ্গন:নতুন করে বন্যার আশঙ্কা

নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৫:২৬ পিএম

কয়েকদিনের ভারী বর্ষন এবং উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে নওগাঁ’র প্রধান দু’টি নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে দ্বিতীয় পর্যায়ে আবারও বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। মান্দা এবং আত্রাই উপজেলায় আত্রাই নদীতে পূর্বের ভাঙ্গনগুলো দিয়ে পুনরায় জনপদে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। এর ফলে কৃষকরা দ্বিতীয় পর্যায়ে যে ধানগুলো রোপন করেছেন সেগুলো তলিয়ে গেছে। এদিকে মান্দা উপজেলায় কসব ইউনিয়নের বনকুড়া নামকস্থানে আত্রাই নদীর ডানতীরে মুল বাঁধ নুতন করে ভেঙ্গে গেছে। এর ফলে মান্দা উপজেলার কসব, নুরুল্যাবাদ ও বিষ্ণপুর ইউনিয়নসহ আত্রাই উপজেলা এবং রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন বন্যাকবলিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

পাউবোর গাফলতি ও ঠিকাদারের অবহেলার কারণে সময়মত ভাঙ্গা স্থান মেরামত না করে সময় ক্ষেপণ করে আসছিল বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, সময়মত ভাঙ্গা স্থান মেরামত না হওয়ায় বন্যার পানিতে ওইসব এলাকায় হাজার হাজার বিঘা জমির আমন ধান তলিয়ে গেছে। এতে তারা আবারও আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হলেন। এখন তাদের মাথায় বাজ ভেঙ্গে পড়েছে। তারা এখন খাবে কি। কিভাবে ধারদেনা ও ঋণ শোধ করবে।

পাউবোর গাফলতি ও ঠিকাদারের অবহেলার কারণে সময়মত ভাঙ্গা স্থান মেরামত না করে সময় ক্ষেপণ করে আসছিল বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, সময়মত ভাঙ্গা স্থান মেরামত না হওয়ায় বন্যার পানিতে ওইসব এলাকার হাজার হাজার বিঘা জমির আমন ধান তলিয়ে গেছে। এতে তারা আবারও আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হলেন। এখন তাদের মাথায় বাজ ভেঙ্গে পড়েছে। তারা এখন খাবে কি। কিভাবে ধারদেনা ও ঋণ শোধ করবে

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আরিফ উজ্জামান খান জানিয়েছেন আত্রাই নদীর পানি ৩টি পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই নদীর ধামইরহাটে শিমুলতলী পয়েন্টে বিপদসীমার ৯৫ সেন্টিমিটার, মান্দার জোতবাজার পয়েন্টে ৪১ সেন্টিমিটার এবং আত্রাই উপজেলার আহসানগঞ্জ রেলষ্টেশন পয়েন্টে ২৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে নওগাঁ ছোট যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ২৪ সিন্টমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবদুল হালিম জানিয়েছেন পূর্বের ৩টি স্থানে যে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড সেগুলোর মেরামতের কাজ শুরু করেছিল। কিন্তু মাটির অভাবে মেরামত কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন না হতেই দি¦তীয় পর্যায়ে পানি বৃদ্ধির কারণে আবারও সেসব স্থান দিয়ে পানি জনপদে ঢুকতে শুরু করেছে। এর উপর নতুন করে ভাঙ্গন দেখা দেয়ায় নুতন নুতন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে এখনও কেউ বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহণ করেনি।

আত্রাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ছানাউল ইসলাম জানিয়েছেন বিগত বন্যায় এই উপজেলায় আত্রাই নদীর মোট ৪টি পয়েন্টে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছিল। এর মধ্যে শিকারপুর, ভাঙ্গাজাঙ্গাল ও মালিপুকুর এই ৩টি স্থানে মেরামত করা হলেও আহসানগঞ্জ-এর নিকটে জাত আমরুল নামক স্থানের বড় ভাঙ্গনটি মেরামত কাজ চলছিল। কিন্তু মেরামত কাজ শেষ না হতেই পুনরায় টানা ভারী বর্ষন এং উজান থেকে নেমে আসা পানির তোড়ে পুনরায় ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে নদীর পানি জনপদে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। এর ফলে আত্রাই উপজেলার আহসানগঞ্জ, পাঁচুপুর এবং নাটোর জেলার খাজুরা এবং নলডাঙ্গা’র বিশাল এলাকায় বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। ফসল এবং বাড়িঘরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ