পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সালেহীন দরবারের শায়েখ সুফী মুহম্মদ সাদিক গতকাল এক বিবৃতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, এদেশে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ভারতীয় চলচ্চিত্র আমদানি করা হচ্ছে, যেসব চলচ্চিত্রের মূল উদ্দেশ্যই হলো মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা। এবারের পবিত্র ঈদুল ফিতরে এদেশের সিনেমা
হলগুলোতে ‘বস টু’ নামক একটি ভারতীয় চলচ্চিত্র মুক্তি দেয়া হয়। এই সিনেমাটি মুক্তির আগেই ব্যাপক সমালোচনার শিকার হয় ইউটিউবে। সিনেমাটির বিজ্ঞাপনী ভিডিওতে ‘আল্লাহ মেহেরবান’ শিরোনামে একটি অশ্লীলতায় পরিপূর্ণ ‘আইটেম গান’ প্রকাশ করে। বাংলাদেশী কুলাঙ্গার চলচ্চিত্র অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া অত্যন্ত আপত্তিকর পোশাকে সেই গানে দৃশ্যায়ন করেছে। এদেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীর ব্যাপক সমালোচনার মুখে ছবি মুক্তির আগে সেই গানটির শিরোনাম পাল্টিয়ে ‘ইয়ারা মেহেরবান’ করে, ‘বস টু’ সিনেমাটির প্রযোজক সংস্থা।
তিনি বলেন, এই পদক্ষেপটি ছিল ¯্রফে আইওয়াশ। কারণ বাংলাদেশী কুলাঙ্গার অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া আপত্তিকর পোশাকে অশ্লীল চরিত্রে অভিনয় করেছে আর সিনেমায় সেই চরিত্রটির নাম রাখা হয়েছে বানান বিকৃত করে ‘আয়েষা’। নাউযুবিল্লাহ! এতে কোন সন্দেহ নেই যে, ভারতীয় সিনেমাটি বানানোই হয়েছে উদ্দেশ্যমূলকভাবে উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা আলাইহাস সালাম উনার শানে অবমাননা করার লক্ষ্যে। সিনেমাটিতে বিকৃত বানানে ‘আয়েষা’ নামক একটি কাল্পনিক অশ্লীল চরিত্র তৈরী করে, তাকে দিয়েই অশ্লীল আইটেম গান দৃশ্যায়ন করা হয়েছে। ইসলাম বিরোধী মানসিকতা নিয়েই এমনটা করা হয়েছে, যা ভাবা যায় না।
বিবৃতিতে সুফী সাদিক বলেন, “হযরত আয়িশা আলাইহাস সালাম তিনি সমগ্র মুসলিম জাতির অবিসংবাদিত মাতা”। মুসলমানের শরীরে প্রাণ থাকতে কখনোই উনার শানে বিন্দুমাত্র অবমাননা সহ্য করা যায় না। নিয়ম অনুসারে এই ভারতীয় সিনেমাটি বাংলাদেশে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল না। তথ্য মন্ত্রণালয়, নাস্তিক্যবাদী তথ্যমন্ত্রীর অদৃশ্য ইশারাতেই ছবিটি মুক্তি দেয়। যার প্রতিবাদে সেন্সর বোর্ড থেকে পদত্যাগ করে পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার। আর তখনই এটি সবার নিকট পরিষ্কার হয়ে যায় যে তথ্য মন্ত্রণালয়ের যোগসাজশেই নিয়ম বহির্ভূতভাবে ছবিটি মুক্তি দেওয়া হয় এবং তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে এই ‘বস টু’ সিনেমার পক্ষে সাফাই গেয়ে পত্রিকায় বিবৃতিও দেয়া হয়।
নিয়ম বহির্ভূতভাবে ইসলাম ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতকারী ভারতীয় চলচ্চিত্রকে ছাড়পত্র দেয়াটা গভীর ষড়যন্ত্রেরই বহিঃপ্রকাশ, যার নাটের গুরু হিসেবে কাজ করেছে তথ্যমন্ত্রী । “উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা আলাইহাস সালাম” উনার শানে অবমাননার কারণে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার দায়ে তথ্যমন্ত্রী, অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া এবং প্রযোজক আব্দুল আযীযকে সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনার জন্য সুফি সাদিক সরকারের নিকট জোর দাবী জানান। বিবৃতিতে তিনি প্রত্যেক ঈমানদার মুসলমান, ইসলামী নেতৃবৃন্দ এবং উলামায়ে কিরামগণকে এ বিষয়ে সোচ্চার হওয়ার জোর আহŸান জানান। তিনি আরো বলেন “উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা আলাইহাস সালাম” উনার শানে অবমাননার প্রতিবাদে কোন ঈমানদার মুসলমান যদি এর বিরুদ্ধে সোচ্চার না হয় তবে তা ঈমান বিনষ্টের কারণ হবে।
সুফী মুহম্মদ সাদিক “উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা আলাইহাস সালাম” উনার সীরাত গ্রন্থের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন যে এক ব্যাক্তি হযরত উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা আলাইহাস সালাম উনার শানে অবমাননা করার ঘটনা দেখেও কোন প্রতিবাদ না করে নিশ্চুপ ছিলো। পরবর্তীতে হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তাকে স্বপ্নে এ বিষয়ে জবাবদিহি চাইলে সেই ব্যাক্তি মিথ্যা বলে যে তার নাকি প্রতিবাদ করার ক্ষমতা ছিলো না। তখন হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে বলেন যে তুমি অন্ধ হয়ে উঠবে। সত্যিই পরদিন সে অন্ধ হয়ে উঠে। অনুরুপ বর্তমানেও যদি কেউ প্রতিবাদ না করে তবে তাকেও দুনিয়া আখিরাতে কঠিন শাস্তি পেতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।