নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ঈদ মানে আনন্দ, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে উচ্ছাসে মেতে ওঠা। ঈদ মানে খুশি, বাঁধ ভাঙা উল্লাস। বন্ধু-বান্ধব, আতœীয়-স্বজনদের সঙ্গে উৎসব আনন্দ ভাগ করে নেয়া। ঈদের দিন ঘুরে বেড়ানোটাই যেন দিনের অন্যতম কাজ। আর এই দিনটিতে অন্য সবার মতো বাংলাদেশের ক্রীড়াবিদরাও অনাবিল আনন্দে মেতে উঠবেন। দেশের ক্রীড়া জগতের বিভিন্ন তারকারা কে কোথায় ঈদ করবেন তা ইনকিলাব পাঠকদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হলো।
জাহেদ খোকন
এনায়েত উল্লা খান
সাবেক জাতীয় শাটলার ও কোচ
জাতীয় ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতার সাবেক চ্যাম্পিয়ন, কোচ ও বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় কল্যাণ সোসাইটির সভাপতি এনায়েত উল্লা খান বরাবর দু’জায়গায় ঈদের আনন্দ ভাগ করে নেন। বাবার বাড়ি ও শশুড়বাড়িতেই কাটে তার ঈদ আনন্দের উচ্ছাস। এবারও এর ব্যতিক্রম হবে না। তার কথা,‘বরাবরের মতো এবার দু’বাড়িতেই ঈদের আনন্দ করবো। ঈদের দিন সকালে সোনারগাঁয়ে নিজ বাড়ির পাশের মসজিদের বাবার সঙ্গে ঈদের নামাজ পড়বো। নামাজ শেষে বাবা, মা, ভাই, বোনের সঙ্গে কিছু সময় কাটিয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে রওয়ানা দেবো খুলনায় শশুড়বাড়ির উদ্দেশ্যে। সেখানে আমার স্ত্রী জাতীয় ব্যাডমিন্টন দলের তারকা শাটলার এলিনা খান, একমাত্র মেয়ে আরশি খান, শশুড়, শাশুড়ি ও এলিনার ভাই-বোন রয়েছেন। তাদের সঙ্গে ঈদের আনন্দে ভাগ বসাবো। বলা যায় আমি প্রতিবছর দু’জায়গায় ডাবল ঈদ করি।
এলিনা খান
জাতীয় দলের তারকা শাটলার
বছরে দুই ঈদের আনন্দ আমার কাছে দু’রকম। কারণ দুই ঈদ কাটে দু’জায়গায়। ঈদুল ফিতরে আমি বাবার বাড়ি খুলনাতে আসি। আর ঈদুল আযহা পালন করি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে শশুর বাড়িতে। এবারও তাই। ক’দিন আগেই আমি ঢাকা থেকে খুলনায় চলে এসেছি ঈদ করার জন্য। আর আমার স্বামী এনায়েত উল্লা খান সোনারগাঁয়ে আছেন নিজের বাড়িতে। তিনি বাবার সঙ্গে ঈদের নামাজ পড়েই খুলনাতে চলে আসবেন। এখানে আমার মেয়ে আরশি খানসহ তিনজনে এক সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নেবো। সঙ্গে আমার বাবা, মা, একমাত্র ভাই ও বোনের সঙ্গে আনন্দ-উচ্ছাসে মেতে উঠবো।
মাহফুজা খাতুন শিলা
স্বর্ণজয়ী সাঁতারু
ঈদ আনন্দ সবার জন্যই সমান। আনন্দের এই দিনটিতে অন্য সবার মতো আমিও উচ্ছাসে মেতে উঠি। গত বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জে শশুরবাড়িতে ঈদ করেছিলাম। সেখানে সবার সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নিয়েছিলাম। খুব মজা হয়েছিল তখন। কিন্তু এবারের ঈদটা আমার জন্য একটু অন্য রকমের। মায়ের ক্যান্সার ধরা পড়েছে। রমজানের দ্বিতীয় দিনে এই খবরটি পেয়েছি। মায়ের অসুস্থতার খবর নিয়েই আজারবাইজানের বাকুতে গিয়েছিলাম। আর তার রোগ ধরা পরার পর তো যেন মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়েছে। তাই এবার যশোরের অভয়নগরে বাবার বাড়িতেই ঈদ করতে হচ্ছে। সিদ্ধান্ত নিয়েছি ঈদের দু’দিন পর মাকে নিয়ে ভারত যাবো চিকিৎসা করাতে। মায়ের অসুস্থতার খবরে আমার ঈদ আনন্দে ভাটা পড়েছে। কোন কেনা কাটাও করিনি। বড় বোন একটি জামা উপহার দিয়েছেন। সেটাই পড়বো ঈদের দিন। তাছাড়া ঈদের পরদিনই শশুর বাড়ি থেকে সবাই যশোরে আসবেন আমার মাকে দেখতে। তাই কিছুক্ষনের জন্য হলেও আনন্দটা খুঁজে নেবো।
শাকিল আহমেদ
স্বর্ণজয়ী শুটার
আমি বরাবরই খুলনার ডুমুরিয়ায় নিজ গ্রামের বাড়িতে ঈদ করি। উচ্ছাসের এই দিনটাতে বাবা, মা, ভাই, বোনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগা করে নেই। এবারও এর ব্যতিক্রম হবে না। তবে এবারের ঈদুল ফিতরের দিনটি অন্য বছরের তুলনায় আমার জন্য একটু বেশী খুশীর। কারণ ক’দিন আগেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে আর্থ পুরস্কার দিয়েছেন। সাউথ এশিয়ান গেমসে স্বর্ণপদক জয় করায় আমাদেরকে ফ্ল্যাটের চাবিও দিয়েছেন তিনি। তাই এবারের ঈদের আনন্দটা আমার কাছে ভিন্ন। একটু বেশীই উচ্ছাসের। গ্রামের বাড়ি এসেই কেনা কাটা করেছি। ভাই বোনদেরও নতুন জামা-কাপড় কিনে দিয়েছি। তবে অন্যান্যবার আনন্দের সময়টা দীর্ঘ থাকলেও এবার সেটা নেই। কারণ ঈদের পরদিনই আবার ঢাকায় ছুটতে হবে। সামনেই জাতীয় শুটিং চ্যাম্পিয়ণশিপ। এ টুর্নামেন্টে ভালো করতেই হবে। স্বর্ণপদক জিততে হলে কঠোর অনুশীলন করতে হবে। তাই আনন্দ কিছুটা কম করে ঢাকায় ফিরবো।
রোকেয়া সুলতানা সাথী
রুপাজয়ী ভারোত্তোলক
সব সময়েই আমি কেরানীগঞ্জে ঈদ করি। কারণ এখানেই আমার বাবার বাড়ি। আর পাশেই শশুর বাড়ি। তাই অন্য কোথাও গিয়ে ঈদ করতে হয় না আমাকে। তবে আমার কাছে ঈদের আনন্দটা অন্যরকম। ঈদের দিন বাবার বাড়ি থেকে খেয়ে শশুর বাড়ি যাই। আবার শশুর বাড়িতে ঈদ উৎসব করেই বাবার বাড়ি চলে আসি। তবে দু’টি বাড়ি পাশাপাশি থাকায় ঈদ আনন্দটা খুঁজতে বাইরে যেতে হয় আমাকে। স্বামী ও সন্তানকে নিয়ে বিকালে ঘুরে বেড়াই এদিক-সেদিক। সেখানেই খুঁজে বেড়াই ঈদ আনন্দ। ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।