Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

গুদামে চাল নেই তাই ঈদে গম দেওয়া হচ্ছে দরিদ্রদের!

| প্রকাশের সময় : ২৫ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা : জুনেই ঝিনাইদহের খাদ্য ভান্ডার শেষ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। চাল কিনতে না পারায় জেলার খাদ্য গুদামগুলোতে চাল সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। ঝিনাইদহের খাদ্য গুদামগুলোতে দুই হাজার টন গম ও মাত্র ১৫শ’ মেট্রিক টন চাল মজুদের তথ্য জানিয়েছেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ বাবুল হোসেন। তিনি জানিয়েছেন, জুনের মধ্যে জেলার খাদ্য মজুদ শেষ হয়ে যাবে। তাই ঈদে চালের পরবির্তে ভালনারেবল গ্রæপ ফিডিং (ভিজিএফ) হিসেবে দরিদ্রদের মাঝে ১৩৫৪ মেট্রিক টন গম দেওয়া হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দপ্তর থেকে জানা গেছে, সারা জেলায় চলতি বোরো মৌসুমে দশ হাজার ৬৮৮ মেট্রিক টন চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা ছিল। কিন্তু বাজার চাড়া হওয়ায় মিলাররা কেও চাল দিতে আগ্রহ দেখায়নি। সারা জেলা থেকে মাত্র ৮০ মেট্রিক টন চাল কেনা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, আস্তে আস্তে চালের বাজার কমে আসলে চাল সংকট কমে যেতে পারে। তখন মিলাররা চাল সরবরাহ করলে সরকারের লক্ষমাত্রা অর্জিত হবে বলে তিনি মনে করেন। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ বাবুল হোসেন বলেন, প্রান্তিক কৃষকের ঘরে এখন কোন ধান নেই। সচ্ছল কৃষকের কাছে ধান থাকলেও তারা ধান বিক্রি করছে না। চালের দাম কমার আশংকা তৈরী হওয়ায় সচ্ছল কৃষকরা তাদের ঘরে মজুদ ধান বিক্রি করতে শুরু করেছেন। এ জন্য ধানের বাজার ৮০ থেকে ১০০ টাকা কমেছে মন প্রতি। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ বাবুল হোসেন আরো জানান, সারা জেলায় ৪৭০ টি মিল রয়েছে। তাদের মধ্যে ৬৫ জন মিলার চাল সরবরাহ করার জন্য সরকারের সাথে চুক্তি করে। কিন্তু বজার চড়া হওয়ায় সবাই চাল দিতে পারেনি। তিনি বলেন যারা চুক্তি করে চাল দেয়নি তাদেরকে দুই মৌসুম বারিত (সাসপেন্ড) রাখা হবে। অন্যদিকে যে সব মিল মালিক সরকারের সাথে চুক্তিতে আগ্রহ দেখায়নি তাদের চার মৌসুম বারিত রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে। এদিকে চাল সংকটের কারণে এবার পবিত্র ঈদুল ফিতরে জেলাব্যাপী চালের পরিবর্তে গম সরবরাহ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে পোকায় খাওয়া গম নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সদরের সাগান্না ইউনিয়নে এমন কয়েক বস্তা গম ফেরৎ দেওয়ার জন্য জমা রাখা হয়েছে বলে জানান সেখানকার চেয়ারম্যান আলাউদ্দীন আল মামুন। সাধুহাটী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী নাজির উদ্দীন জানান, কিছু গম ছিল নি¤œমানের। সেগুলো ভাল গমের সাথে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঝিনাইদহ সদর খাদ্যগুদাম কর্মকর্মা জসিম উদ্দীন জানান, পর্যাপ্ত চাল না থাকার কারণে বহু দিন পর দরিদ্রদের ভিজিএফ হিসেবে গম দেওয়া হলো। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খাদ্য বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, চাল সংকটের কারণে সরকার এবারের ঈদে ভিজিএফ কর্মসুচি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু বিতর্ক ও সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হতে পারে এমন আশংকায় শেষ পর্যন্ত চালের পরিবর্তে গম বিতরনে সিদ্ধান্ত নেয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গুদাম

১৭ জুলাই, ২০২১
১ জানুয়ারি, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ