Inqilab Logo

রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪, ১৬ আষাঢ় ১৪৩১, ২৩ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সউদী সিংহাসনের নতুন উত্তরাধিকারী ও সব বড় পদক্ষেপের নেপথ্য শক্তি

| প্রকাশের সময় : ২৩ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

দি আটলান্টিক ও সিএনএন ইন্টারন্যাশনাল : ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে জার্মানির বৈদেশিক গোয়েন্দা বিভাগের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্মারক লিপি সংবাদপত্রগুলোতে ফাঁস হয়। এতে বলা হয় যে সউদি আরবের নয়া নেতারা মধ্যপ্রাচ্যকে অস্থিতিশীল করছেন। স্মারকলিপিতে বলা হয়, বাদশাহ সালমান ও তার উপদেষ্টারা দেশের কয়েক দশকের সতর্ক পররাষ্ট্রনীতি বাদ দিয়ে আবেগপ্রবণ হস্তক্ষেপের নীতি গ্রহণ করেছেন। জার্মানরা বাদশাহর আনুকূল্যপ্রাপ্ত পুত্র মোহাম্মদ বিন সালমানকে একজন অর্থনৈতিক জারের ভূমিকা পালনের মত কিছুর সাথে উপ যুবরাজ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দ্রুত বিপুল ক্ষমতার অধিকারীরূপে চিহ্নিত করে। স্মারকলিপিতে হুঁশিয়ার করে দেয়া হয় যে একজন তরুণ, অনভিজ্ঞ রাজপুত্রের হাতে এত বেশী ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হওয়া এক প্রচ্ছন্ন বিপদের হুমকি সৃষ্টি করে যে পিতা জীবিত থাকা অবস্থায় তিনি নিজেকে রাজক্ষমতার উত্তরাধিকারী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন।
২১ জুন ৮১ বছর বয়স্ক বাদশাহ সালমান তার ভাইয়ের ছেলেকে যুবরাজের পদ থেকে অপসারণ করে মোহাম্মদ বিন সালমানকে সিংহাসনের প্রথম উত্তরাধিকারী হিসেবে উন্নীত করেছেন। তিনি সউদি সিংহাসনের সবচেয়ে তরুণ বাদশাহই শুধু হবেন না, সউদি আরবের প্রতিষ্ঠাতা বাদশাহ আবদুল আজিজ আল সউদের পর তিনিই হবেন তৃতীয় প্রজন্মের প্রথম শাসক। বেপরোয়া ৩১ বছর বয়স্ক রাজপুত্র রাজসিংহাসনের উত্তরাধিকারে তার স্থান নিশ্চিত করেছেন এবং এখন কার্যত কয়েক দশক ধরে বাদশাহ থাকার আশ^াস পেয়েছেন। এ নজির বিহীন পদক্ষেপের অভ্যন্তরীণ, আঞ্চলিক ও বৈশি^ক প্রতিক্রিয়া রয়েছে।   বিন সালমানের এ উচ্চারোহণ মধ্যপ্রাচ্যব্যাপী, বিশেষ করে প্রধান আঞ্চলিক প্রতিদ্ব›দ্বী ইরানের বিরুদ্ধে সউদি আরবের পররাষ্ট্রনীতিকে বলিষ্ঠ করেছে। পিতা বাদশাহ সালমান ২০১৫ সালে সিংহাসনে আরোহণের পর দেশটির বড় বড় পদক্ষেপসমূহ গ্রহণের পিছনে তরুণ বিন সালমানই প্রধান শক্তি হিসেবে কাজ করেছেন- যেমন ইয়েমেনে সউদি নেতৃত্বে যুদ্ধ, কাতারকে বিচ্ছিন্ন করার সাম্প্রতিক অভিযান এবং তেলের উপর নির্ভরশীলতা হ্রাসে সউদি অর্থনীতিকে ঢেলে সাজানো। ইয়েমেনে হুছি নেতৃত্বাধীন শিয়া শাসন সউদি আরবের সাথে ১১শ’ মাইল ব্যাপী প্রায় জনহীন সীমান্তে সউদি অস্তিত্বের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।
বিন সালমানের ক্ষমতা সংহতকরণের অর্থ এ অঞ্চলে আরো যুদ্ধ ও অস্থিতিশীলতা। তিনি ইরানের সাথে কোনো আলোচনার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন, বলেছেন ইসলামী প্রজাতন্ত্রটি মুসলিম বিশে^ প্রাধান্য প্রতিষ্ঠা করতে চায় ও সউদি আরবকে ইসলামের দু’টি পবিত্র স্থান মক্কা-মদিনার অভিভাবকের ভূমিকা থেকে সরিয়ে দিতে চায়। বিন সালমান একটি সউদি টিভি নেটওয়ার্ককে বলেন, আমরা জানি যে আমরা ইরানি প্রশাসনের এক প্রধান টার্গেট। তিনি বলেন, আমরা এমনভাবে কাজ করব যে লড়াইটা হবে ইরানে, সউদি আরবে নয়।
সউদি আরবের অস্তিত্বের জন্য হুমকি আসতে পারে বাইরের দেশ থেকে, বিশেষ করে পাশর্^বর্তী এবং অত্যন্ত সুনির্দিষ্টভাবে ইরানের কাছ থেকে যেখানে বয়স্ক শিয়া নেতাদের ক্ষমতারোহণ সউদি আরব ও তার আরব অংশীদারদের নেতৃত্বাধীন সুন্নী বিশে^র সাথে ক্রমশই সংঘাতপ্রবণ হয়ে উঠছে।
সউদি নয়া যুবরাজের মিশন হচ্ছে আশপাশের সুন্নী নেতাদের সাথে , বিশেষ করে প্রতিবেশী সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) সাথে সম্পর্ক দৃঢ় করা যার সম্ভাব্য দু’ উত্তরাধিকারীর বয়সই পঞ্চাশের ঘরে , কিন্তু দু’জনই নয়া সউদি যুবরাজের প্রতি অপরিসীম সম্মান প্রদর্শন করেছেন।  
রাজপুত্রের উচ্চারোহণ সউদ পরিবারকে, ন্যূনপক্ষে সালমানের বর্তমান প্রভাবশালী শাখাকে ট্রাম্প প্রশাসনের নৈকট্যে এনেছে। তরুণ রাজপুত্রকে ট্রাম্প পছন্দ করেন, সালমানের সাথে ট্রাম্পের জামাতা ও সিনিয়র উপদেষ্টা জেয়ার্ড কুশনারের সখ্যতা আছে। মার্চে সালমান ট্রাম্পের সাথে সাক্ষাত করেন ও মে মাসে তার সউদি আরব সফরের রূপরেখা তৈরি করেন।  কুশনার ও সালমান এ ব্যাপারে কয়েক সপ্তাহ কাজ করেন এবং রিয়াদে ট্রাম্পের জাঁকজমকপূর্ণ অভ্যর্থনা নিশ্চিত করেন। এপ্রিলে সরকারের অভ্যন্তরে পরিবর্তনকালে বাদশাহ সালমান তার পুত্র জঙ্গি বিমানের পাইলট প্রিন্স খালিদ বিন সালমানকে কোনো রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক অভিজ্ঞতা ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্রে সউদি রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করেন। ট্রাম্পের কাছে বাদশার বার্তা ছিল পরিষ্কার- যিনি নিজেও নিজেও তার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের ক্ষমতাধর অবস্থানে বসিয়েছেন। সউদ পরিবার ও ট্রাম্প পরিবারের মধ্যে সরাসরি সংযোগ হবে।  
ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর সউদিদের মধ্যে উচ্চাশা সৃষ্টি হয়, এবং তারা হতাশ হয়নি। ট্রাম্প ও তার শীর্ষ উপদেষ্টারা মার্কিন নীতির পরিবর্তন করে সউদি আরবের প্রতি সুস্পষ্ট সমর্থন এবং ইরানের  অব্যাহত সমালোচনা করা শুরু করেন।  ট্রাম্প প্রশাসনের ইরান বিরোধী কথাবার্তা ও ইরানকে এ অঞ্চলের অস্থিতিশীলতার বৃহত্তম উৎস বলে আখ্যায়িত করা সউদি নেতৃত্বের মনোভাবের সাথে বিরাট মিল দেখা যায়। কয়েক দশক ধরে সউদি আরব পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রে বৃহত্তরভাবে পর্দার অন্তরালে থাকার নীতি অনুসরণ করেছিল। সউদি আরব তাদের ছায়া গ্রুপগুলো, মিডিয়া ও বন্ধু আরব ও মুসলিম রাজনীতিকদের অর্থ প্রদানের মাধ্যমে নিজের ক্ষমতা প্রয়োগ শুরু করে। উদাহরণ স্বরূপ মিসরের কথা বলা যায়। ২০১৩ সালের জুলাইতে ব্রাদারহুড সরকারের বিরুদ্ধে সামরিক অভ্যুত্থানের পর মিসরের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে সউদিরা ১২ বিলিয়ন ডলারেরও বেশী প্রদান করে। শুধু তাই নয়, আরো দু’টি আরব দেশকে অধিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিতে চাপ দেয়। ২০১৫ সালের গ্রীষ্মে উইকিলিকস সউদি কূটনৈতিক কেবল ফাঁস করে যাতে সউদি আরবের এ ‘চেকবুক’ কূটনীতির প্রমাণ দেখা যায়।
সউদিরা সরাসরি সামরিক হস্তক্ষেপ পরিহার করছিল। কিন্তু ২০১৫ সালের গোড়ার দিকে বাদশাহ সালমান তার ভাইয়ের মৃত্যুর পর সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হওয়ার পর তার পরিবর্তন ঘটে। মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের উপর নির্ভর এবং ছায়াশক্তিগুলো ও অর্থনৈতিক কূটনীতির  মাধ্যমে লড়াইয়ের পরিবর্তে বাদশাহ সালমান ও তার অভ্যন্তরীণ বলয় অধিকতর আগ্রাসী পররাষ্ট্র নীতি গ্রহণ করেন।  তেলের দাম যখন হ্রাস পেয়েছে তখন তিনি ক্ষমতায় আসার দু’মাস পরই ইয়েমেনের হুছিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেন। বাদশাহ সালমান তার ২৯ বছর বয়স্ক পুত্র মোহাম্মদ বিন সালমানকে উপ যুবরাজ ও ইয়েমেন অভিযান দেখভালের জন্য প্রতিরক্ষামন্ত্রী নিয়োগ করেন। সউদি নেতারা এটা পরিষ্কার করে দেন যে তারা ইরাক, সিরিয়া, ইয়েমেন, বাহরাইন ও লেবানন পর্যন্ত বিস্তৃত ক্রমবর্ধমান আঞ্চলিক ছায়া যুদ্ধে  ইরানকে মোকাবেলা করতে প্রস্তুত।  জার্মান গোয়েন্দা স্মারকলিপিতে বলা হয়, এ অঞ্চলে অসুবিধাজনক অবস্থায় যাতে না পড়তে হয় সে জন্য সউদি আরব প্রমাণ করতে চায় যে সে নজিরবিহীন সামরিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত।
রিয়াদের এই যুদ্ধংদেহি মেজাজের ফল কী? ২০১৫ সালের মার্চে ইয়েমেন অভিযান শুরুর সময় থেকে সউদি আরব এমন এক যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে যাতে ১০ হাজার ইয়েমেনি নিহত হয়েছে এবং দেশের জনসংখ্যার এক চতুর্থাংশ দুর্ভিক্ষের কিনারে এসে দাঁড়িয়েছে। কিছু হিসাব অনুযায়ী এ যুদ্ধে সউদি আরবের দৈনিক ব্যয় হচ্ছে ২০ কোটি ডলার। ব্যাপক বিমান হামলা ও অবরোধ সত্তে¡ও সউদি আরব ও তার মিত্ররা হুছিদের রাজধানী থেকে হঠাতে পারেনি। কিন্তু সউদি নেতৃত্ব বিশেষ করে বাদশাহ সালমান এ যুদ্ধ পরিত্যাগ করতে ও ইরানকে প্রত্যাশিত বিজয়ী হতে দিতে অনাগ্রহী।
ওবামা প্রশাসন মাঝেমধ্যে ইয়েমেনে সউদি কর্মকান্ডের সমালোচনা করেছে, কিন্তু ট্রাম্প এ ব্যাপারে নীরব । শুধু তাই নয়, সউদি আরবের কাছে ওবামা অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করলেও ট্রাম্প তা চালু করেছেন। ট্রাম্পের মধ্যে সউদিরা সেই মিত্রকে দেখতে পেয়েছে যিনি তাদের পরিত্যাগ করবেন না।
ক্ষমতায় আসার পর থেকে ট্রাম্প সউদিদের সমালোচনার ব্যাপারে কমই আগ্রহ দেখিয়েছেন যদিও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় তিনি দেশটির তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। সউদি আরবে ট্রাম্পের সফর এবং ইরানের বিরুদ্ধে সউদি আরব ও তার সুন্নী আরব মিত্রদের পক্ষে থাকার তার দৃঢ় ঘোষণা বাদশাহ সালমান ও তার পুত্রদের শক্তি আরো বৃদ্ধি করেছে।
ইয়েমেনে যুদ্ধের মত কাতারকে একঘরে করার বাদশাহ সালমান ও তার পুত্রদের চেষ্টার অর্থ সউদি নীতি অনুসরণে অনিচ্ছুক প্রতিবেশীকে বাধ্য করা। রাজ ক্ষমতায় অধিষ্ঠান নিশ্চিত হওয়ায় তরুণ যুবরাজ হয়ত আরো বড় ধরনের ঝুঁকি নিতে পারেন।   
সউদি যুবরাজ তিনি ও তার দেশ যে সব অর্থনৈতিক ও সামাজিক সমস্যার সম্মুখীন সে সব বিষয় সম্পর্কে অত্যন্ত সচেতন। তিনি তেলের মূল্য হ্রাস অব্যাহত থাকার প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি আরামকোর মূলধন ভিত্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এর শেয়ার জনসাধারণের কাছে বিক্রির জন্য চাপ সৃষ্টি করেছিলেন।  
নতুন যুবরাজ মহিলাদের গাড়ি চালনার অনুমতি দেয়ার মত প্রকৃত বিপ্লবী পদক্ষেপের ব্যাপারে ধীরে এগোনোর প্রয়োজনীয়তা বোঝেন বলে বলা হয়েছে। তিনি দেশের কর্মশক্তিতে, এমনকি নেতৃত্বেও আরো মহিলাকে যুক্ত করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।  তিনি ২০১৬ সালের এপ্রিলে বলেছিলেন, সমাজ এখনো মহিলাদের গাড়ি চালনার অনুমতি দিতে রাজি নয় এবং মহিলাদের গাড়ি চালাতে দিলে তার ফল নেতিবাচক হবে বলে মনে করে। এটা সউদি সমাজের ব্যাপার। সমাজ যা চায় না সে ব্যাপারে আমরা বাধ্য করতে পারি না।
সউদি আরব ও এ অঞ্চল মনে হয় এমন একজনকে চায় যিনি আগের চেয়ে অনেক বেশী নাজুক এ অঞ্চলের অত্যন্ত  গুরুত্বপূর্ণ দেশটির ভবিষ্যত নিরাপদ এবং পশ্চিমা শক্তি বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক দৃঢ় করতে পারবেন। এখন যুক্তরাষ্ট্র ও ট্রাম্পের বিষয় যে তার চেয়ে অর্ধেকেরও কম বয়সী একজন শাসকের সাথে কিভাবে ভালো আচরণ করবেন।



 

Show all comments
  • মারূফ ২৩ জুন, ২০১৭, ১:৫৯ এএম says : 1
    নতুন যুবরাজ জন্য রইলো অনেক অনেক শুভ কামনা।
    Total Reply(0) Reply
  • Nur- Muhammad ২৩ জুন, ২০১৭, ১০:২৯ এএম says : 0
    এটাই রাজতন্ত্র। রাজা/ বাদশার ছেলে বাদশা হবে। জনগণের বলা বা করার কোন ক্ষমতা নাই। এই নতুন যুবরাজের সাফল্য কামনা করছি। তার নেতৃত্বে আমাদের সহ সারা বিশ্বের বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হউক, এমন প্রত্যাশাই করছি। ধন্যবাদ। সবায়কে ধন্যবাদ।
    Total Reply(0) Reply
  • mohammad ali ২৩ জুন, ২০১৭, ৩:৩৬ পিএম says : 0
    আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করি বাদসা সালমান জেন দুনিয়ার সান্তির পায়রায় পৃতিক হয়।এই দুনওয়ার সকল সমসা জেন সমাধাম হয়, আমিন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সউদী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ