২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
সুস্থ মানুষের প্রতিদিন পানির চাহিদা কতটুকু তা নির্ভর করে আবহাওয়া, তার কাজকর্মের পরিমাণ, শরীরের অবস্থা ইত্যাদির উপর। পানি পান নিয়ন্ত্রণের জন্য আমাদের মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস অংশে রয়েছে থার্স্ট সেন্টার বা পিপাসা কেন্দ্র। এই কেন্দ্র জানিয়ে দেয় যে, কখন পানি পান করা দরকার। একজন মানুষের এই অংশটি কার্যকর থাকলে পানির অভাব বা বাড়তি কখনওই হবে না। তবে কোনও কোনও সময়, যেমন মস্তিষ্কের অস্ত্রোপাচারের পর এই কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্থ হলে ব্যক্তির পিপাসার নিয়ন্ত্রণ লোপ পায়। তখন পানির অভাবে বিপদ ঘটে যেতে পারে। আবার, এর পরিমাণ বেশি হয়ে গেলে মানুষের কিডনি কার্যকরভাবে অতিরিক্ত পানি প্রস্রাবের মাধ্যমে দেহ থেকে বের করে দিতে পারে। কিন্তু এই কিডনি যদি অকার্যকর হয়ে যায়, তবে অতিরিক্ত পানি শরীরে জমে গিয়ে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
১) আমাদের মতো উষ্ণ আবহাওয়ার দেশে মোটামুটি পরিশ্রমের কাজ করলে একজন মানুষের সাধারণত দিনে দুই থেকে তিন লিটার পানি পান করলেই চলে। তবে এটি নির্ভর করে তার দেহ থেকে স্বাভাবিক পানি নির্গত হওয়ার পরিমাণের উপর।
২) জ্বরের সময় প্রচুর পানি পান করা উচিত। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও প্রচুর পানি পান করতে হয়। সকালে খালি পেটে তিন-চার গøাস পানি পান এ ধরনের সমস্যায় ফলদায়ক। কিন্তু ওষুধ, বিশেষ করে কিছু অ্যান্টিবায়োটিক খেলে বেশি পানি পান করতে বলা হয়, যাতে তা দ্রæত নিষ্কাশিত হতে পারে।
৩) গরম আবহাওয়ায় পানির পরিমাণ কম হলে প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যেতে পারে, হলুদ বা লালচে রং ধারণ করতে পারে। এ রকম হলে বুঝে নিন পানিশূন্যতা হয়েছে। তাই প্রচুর পানি পান করতে হবে।
৪) ত্বক শুষ্ক ও উজ্জ্বল রাখতে যথেষ্ট পানি পান করা উচিত। ক্ষুধামন্দা ও অন্যান্য হজমের সমস্যায়ও পানির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
৫) কিডনির সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা আছে এমন রোগীদের চিকিৎসকরা পানির পরিমাণ নির্দিষ্ট করে দিতে পারেন।
৬) খাবারের অন্তত আধঘন্টা থেকে এক ঘন্টা পর পানি পান করা উচিত। খাবার সময় বেশি পানি পান না করাই ভাল।
৭) ভারী কাজকর্ম বা ব্যায়ামের পর তিন-চার গøাস পানি পান করুন।
৮) তাড়াহুড়ো করে পানি পান করবেন না। জোর করে বেশি পানি পান করার প্রয়োজন নেই। পিয়াসই জানিয়ে দেবে কখন কতটুকু পানি পান দরকার।
ষ আফতাব চৌধুরী
সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।