রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
এম এ মতিন, শ্রীপুর (গাজীপুর) থেকে : গাজীপুরের শ্রীপুরে গ্রামের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া ছোট ছোট রাস্তাগুলি টিকিয়ে রাখতে এলাকাবাসী রাস্তার দুই পাশে ও উপরে বাঁশ, খুটি দিয়ে যান চলাচলে বাধা সৃষ্টি করছে। বড় সড়কগুলিতে যান চলাচল একেবারেই বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর যাত্রীরা গ্রামের ভেতর দিয়ে করা ছোট ছোট রাস্তা দিয়ে যানবাহন নিয়ে চলাচল শুরু করে। নিয়মিত ওই রাস্তাগুলোতে যানবাহন চলাচল করার কারণে রাস্তা ভেঙ্গে নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশংকায় এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে রাস্তার দু’পাশে বাঁশ ও খুটি দিয়ে যান চলাচলে সীমাবদ্ধতা তৈরি করছে। অতিভারী যান চলাচল, অপরিকল্পিত নগরায়ন, দূর্বল নির্মাণ কাঠামো আর পয়:নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকার কারণে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার প্রায় ১২টি আন্ত:সংযোগ সড়ক যানচলাচলে অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। কয়েকটি বড় সড়কে যান চলাচল একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে। যেসব রাস্তা দিয়ে সীমাহীন কষ্ট নিয়ে যাতায়াত করা হয় সেসব রাস্তায় সামান্য বৃষ্টি হলেই জমে যায় হাঁটু পানি। ঈদুল ফিতরের আগে শ্রীপুরের পথে পথে কাঁদাজল আর খানাখন্দে দূর্ভোগে পড়ছে যাত্রীরা। সরেজমিনে দেখা যায়, শ্রীপুর-বরমী সড়কটি এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বেহাল দশায় পড়ে আছে। সংস্কার উন্নয়নের নামে বারবার দরপত্র আহŸান করলেও বাস্তবে নেই কোন উন্নতি। বর্ষার শুরু থেকে ওই সড়কে বন্ধ হয়ে আছে গণপরিবহন চলাচল। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে বালুবাহী ট্রাক। এছাড়া উপজেলার কাওরাইদ-শ্রীপুর, কাওরাইদ-জৈনাবাজার, শ্রীপুর-রাজাবাড়ী, বরমী-কাওরাইদ, জৈনা-বাঁশবাড়ী, বরমী-গোসিংগা, শ্রীপুর-কাপাসিয়া, গোসিংগা-কাপাসিয়া, শ্রীপুর-টেংরা সড়কসহ প্রায় একডজন অতিগুরুত্বপূর্ন আন্ত:সংযোগ সড়কে যানবাহনতো দূরের কথা পায়ে চলাচলের কোন ব্যবস্থাই নেই। এসব সড়কে প্রতিনিয়তই কাঁদাজলের মধ্যেই ঝুঁকিপূর্ন অবস্থায় চলাচল করছে যানবাহন। পথচারীরা নিত্যদিনই পোহাচ্ছেন অভাবনীয় দূর্ভোগ। আলোর নিচেই অন্ধকার এমন দৃশ্য চোখে পড়ে মাওনা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মাওনা ফ্লাইওভারের নিচে। যথাযথ রক্ষনাবেক্ষন না থাকায় ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ফ্লাইওভারের পশ্চিমপাশে জমে থাকে হাঁটু পানি। ময়লা দুর্গন্ধযুক্ত পানিতে প্রতিদিনই নাকাল হয়ে থাকে পথচারীরা। স্থানীয়দের ধারণা, পানিবদ্ধতা নিরসন না হলে ঝুঁকির মধ্যে পড়বে ফ্লাইওভার। এছাড়া ফ্লাইওভারের পাশে মাওনা-ফুলবাড়িয়া সড়কটির ওপর এক হাঁটু কাঁদা। যানবাহন চলাচল সহ পায়ে হেঁটে চলা এ সড়কে দুরূহ। ফ্লাইওভারের পাশে শ্রীপুর সড়কের ওপর প্রতিনিয়তই জমে থাকে দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা পানি কাঁদা। গাজীপুরের ব্যবসার প্রাণকেন্দ্র মাওনা চৌরাস্তার গুরুত্বপূর্ন এ দুটি সড়কের কাঁদাজল অপসারনে নেই কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি। এছাড়া শ্রীপুর পৌর শহরের সাবরেজিস্ট্রি অফিসের সামনের সড়ক পরিণত হয়েছে জলাশয়ে। এক হাঁটু পানি পেরিয়ে যেতে হয় সাবরেজিস্ট্রি অফিসে। অপরিকল্পিত নগরায়ন ও পয়:নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে করে শ্রীপুর এস.আর অফিসের গুরুত্বপূর্ন দলিলপত্র রক্ষনাবেক্ষন ঝুঁকিপূর্ন হয়ে পড়েছে। এসব ব্যাপারে শ্রীপুর উপজেলা প্রকৌশলী সুজায়েত হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, ঈদের আগে এসব রাস্তা সংস্কার করা সম্ভব না। অতি জরুরী স্থানগুলোর বিষয়ে তারা ব্যবস্থা নিবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।