Inqilab Logo

বুধবার, ২৯ মে ২০২৪, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ধর্ষণের মামলা প্রত্যাহার করতে বাদিকে বিভিন্ন হুমকি

সংবাদ সম্মেলনে ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাচ্চুর বিরুদ্ধে অভিযোগ

| প্রকাশের সময় : ১৮ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম



স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল বাসেত খান বাচ্চুর বিরুদ্ধে এক গৃহবধূ ধর্ষণের পর অভিযোগ প্রত্যাহার করতে নানা ভয়ভীতির অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন মুগদাপাড়া এলাকার ওই গৃহবধূ।
তিনি বলেন, মামলার পর আসামি লম্পট বাচ্চু আদালত থেকে জামিনে এসেই আমাকে মামলাসহ সব অভিযোগ প্রত্যাহারে নানা ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, তার স্বামী প্যারালাইসড ছিলেন। ওই সময় প্রতিবেশী কাউন্সিলর বাচ্চু প্রায়ই তাকে বিরক্ত করতেন। পাশাপাশি কুপ্রস্তাবও দিতেন। এ ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরীর কাছে ওই গৃহবধূ অভিযোগ করেন। কিন্তু এতে ঘটনার কোনো সুরাহা হয়নি। গত বছরের ৩ এপ্রিল থানায় কাউন্সিলর বাচ্চুর বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তিনি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কাউন্সিলর ওই গৃহবধূর বিরুদ্ধে তার এক রক্ষিতাকে দিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেন।
ভিকটিম বলেন, গত বছরের ৬ ডিসেম্বর মুগদাপাড়া থানার ওসির উপস্থিতিতে মীমাংসার কথা বলে ওই গৃহবধূকে তার (বাচ্চু) কার্যালয়ে ডেকে নেন। দীর্ঘক্ষণ কথাবার্তা শেষে ওসি চলে গেলে গৃহবধূকে সেখানে ধর্ষণ করেন। পরে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে গৃহবধূকে কার্যালয় থেকে বের করে দেন। ওই গৃহবধূর বিধ্বস্ত অবস্থা দেখে তার স্বামী অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং এক পর্যায়ে মারা যান।
বিষয়টি স্থানীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী এ বি এম শরিফকে জানানো হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয় ওই গৃহবধূকে। এ ঘটনায় গত বছরের ৮ ডিসেম্বর মুগদাপাড়া থানায় কাউন্সিলর বাচ্চুর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করা হয় (মামলা নম্বর-০৪)। পরে ওই মামলায় জামিনে বের হয়ে এসে মামলা তুলে নিতে হুমকি দেয় বাচ্চু। এ হুমকির ঘটনায় গত ৪ মে আরেকটি জিডি করা হয় (জিডি নম্বর-২০৬) ভিকটিমের পক্ষ থেকে।
এরপর অভিযুক্ত বাচ্চুর ভাগিনা মোহাম্মদ খোরশেদ ও জজ কোর্টের পেশকার গোলাম মোস্তফাসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন মিলে বাদীর বাড়িতে ঢুকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে কয়েকটি স্ট্যাম্প ও সাদা কাগজে সই করতে বাধ্য করে। তারা মোবাইলে কয়েকটি ছবি তুলে নেয়।
এ ব্যাপারেও গত ১৮ মে থানায় একটি জিডি করা হয় (জিডি নম্বর-৯০২)। পরে স্থানীয়রা কাউন্সিলর বাচ্চুর বিচারের দাবিতে মিছিলও করে। থানা পুলিশের উদাসীনতায় এই কাউন্সিলর গ্রেফতার হচ্ছে না। এ অবস্থায় জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, কাউন্সিলর বাচ্চু কি আইনের ঊর্দ্ধে।



 

Show all comments
  • kamal ১৮ জুন, ২০১৭, ৫:২৬ পিএম says : 0
    may he is a member of the ruling party. In this reason police can not arrest him
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ধর্ষণ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ