Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আম উৎপাদনে বিশ্বে সপ্তম এবং পেয়ারায় অষ্টম বাংলাদেশ

ফলদ বৃক্ষরোপণ পক্ষ আজ শুরু

| প্রকাশের সময় : ১৬ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : ফলদ বৃক্ষ রোপণ পক্ষ ও তিনদিন ব্যাপি জাতীয় ফল প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে আজ শুক্রবার। এবারের প্রতিপাদ্য স্বাস্থ্য পুষ্টি অর্থ চাই,দেশি ফলের গাছ লাগাই। বাংলাদেশ আম উৎপাদনে বিশ্বে সপ্তম এবং পেয়ারা উৎপাদনে অষ্টম স্থানে উঠে এসেছে। আর মোট ফল উৎপাদনে বিশ্বের ২৮তম স্থানে রয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে ফলদ বৃক্ষ রোপণ পক্ষ ও জাতীয় ফল প্রদর্শনী নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোশাররফ হোসেন এ তথ্য জানান। অতিরিক্ত সচিব বলেন, ফার্মগেটে আ কা মু গিয়াসউদ্দীন মিল্কী অডিটরিয়াম চত্বরে আগামী ১৬ হতে ১৮ জুন জাতীয় ফল প্রদর্শনী শুরু হবে। ফলদ বৃক্ষ রোপণ পক্ষ চলবে ৩০ জুন পর্যন্ত। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন কৃষি সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ। মোশাররফ হোসেন বলেন, প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৯টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা থেকে গিয়াস উদ্দীন মিল্কী অডিটরিয়াম চত্বর পর্যন্ত এক বর্ণাঢ্য র‌্যালির আয়োজন করা হয়েছে। র‌্যালি শেষে প্রধান অতিথি সকাল ১০টায় ফলদ বৃক্ষ রোপণ পক্ষ ও জাতীয় ফল প্রদর্শনী-২০১৭ এর উদ্বোধন করবেন এবং স্টল পরিদর্শন করবেন। ফলদ বৃক্ষ রোপণ পক্ষ ও জাতীয় ফল প্রদর্শনী উপলক্ষে সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন অডিটরিয়ামে খাদ্য, পুষ্টি ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তায় দেশি ফলের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, উত্তরাঞ্চলের ফল, ভাওয়াল ও মধুপুর গড় অঞ্চলের ফল, উপকূলীয় অঞ্চলের ফল, পাহাড়ি অঞ্চলের ফল- এসব ভাগে ফলের পসরা সাজিয়েছে মেলায় আগত স্টলগুলো। কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতর, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন ছাড়াও সরকারি- বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ৭৫টি স্টল বসেছে প্রদর্শনীতে। মেলায় প্রায় ১৩০ প্রজাতির ফলের একাধিক জাত প্রদর্শিত হচ্ছে। মেলা প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সর্ব সাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। মেলায় আগত দর্শনার্থীরা রাসায়নিকমুক্ত বিভিন্ন জাতের ফল ক্রয় করতে পারবেন। বর্তমানে দেশে প্রায় ১৩০ রকমের ফলের সন্ধান পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, এরমধ্যে প্রচলিত ও অপ্রচলিত প্রায় ৭০টি ফলের চাষাবাদ হয়। বিবিএস কৃষি পরিসংখ্যান বর্ষগ্রন্থ-২০১৫ অনুযায়ী ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৩ দশমিক ২৩ লাখ একর জমিতে ফল উৎপাদিত হয়েছে ৪৬ দশমিক ৯৭ লাখ মেট্রিকটন। ২০১২-১৩ অর্থবছরে যা ৪৩ দশমিক ৬ লাখ টন ছিল। ফলের বার্ষিক উৎপাদন ৭ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া এ উৎপাদন বৃদ্ধির হার গত দু’বছরে আরো বেশি। বাংলাদেশের ফল স্বাদে, গন্ধে ও বর্ণে আকর্ষণীয় এবং বৈচিত্যময়। ভিটামিন ও খনিজ লবণের প্রধান উৎস এবং ভেষজ বা ঔষধিগুণ সমৃদ্ধ। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন বিদেশি ফল বাংলাদেশের মাটি ও আবহাওয়া উপযোগী করে দেশে প্রবর্তন করেছে। এতে বর্তমানে বাণিজ্যিক উপায়ে ড্রাগন ফল, স্ট্রবেরি, আঙুর, মাল্টা, কমলা চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মাঠে অস্থায়ীভাবে খাটো জাতের আম এবং পেয়ারা চাষ করা হচ্ছে। ভিয়েতনাম থেকে খাটো জাতের নারিকেল গ্রাম অঞ্চলের জন্য এবং ভারতের কেরালা থেকে উচ্চফলনশীল নারিকেল শহর অঞ্চলের জন্য প্রবর্তন করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত প্রধান তথ্য কর্মকর্তা কামরুন নাহার।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাংলাদেশ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ