পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : আফগানিস্তানে যুদ্ধরত মার্কিন সেনাসদস্য বাড়ানোর পূর্ণ ক্ষমতা পেন্টাগনকে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল বৃহস্পতিবার দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জেমস ম্যাট্টিসের সঙ্গে এক বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান ট্রাম্প। ম্যাটিস তাকে জানিয়েছিলেন যে যুক্তরাষ্ট্র এই যুদ্ধ হারতে বসেছে। এদিকে জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, আফগান সংকটের কোনো সামরিক সমাধান নেই। গত বুধবার যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে এক অঘোষিত সফরকালে এ কথা বলেন তিনি। দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার দেশ আফগানিস্তানে দীর্ঘদিন ধরেই সংঘাত-সংঘর্ষ বিদ্যমান। সংঘাতে ইতোমধ্যে দেশটির কয়েক লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হতে বাধ্য হয়েছে। কাবুলের বাইরে একটি অস্থায়ী শিবিরের সামনে দাঁড়িয়ে গুতেরেস বলেন, যুদ্ধ সমাপ্তির মধ্য দিয়েই কেবল এ সমস্যার সমাধান হতে পারে। যুদ্ধের কারণে বাস্তুচ্যুত আফগানরা এ শিবিরে বসবাস করছেন। তিনি বলেন, শান্তি এ সমস্যার সমাধান। জাতিসংঘের হিসাবমতে, সংঘাতের কারণে অন্তত ১ লাখ ২৬ হাজার মানুষ তাদের বাসাবড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। চলতি বছর ২ লাখ ১৮ হাজারের বেশি আফগান শরণার্থী প্রতিবেশী ইরান ও পাকিস্তান থেকে দেশে ফেরত এসেছে। খবরে বলা হয়, প্রতিরক্ষা নিয়ে সিনেট উপকমিটিকে এই ক্ষমতার কথা জানিয়েছেন ম্যাটিস। একদিন আগেই সিনেট আর্মড সার্ভিসেস কমিটিকে তিনি বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে যুদ্ধ জিততে পারছে না তারা। তিনি বলেন, গত বছর তালেবানদের জন্য ভালো ছিলো। আর এই বছরও তারা ভালো করবে। আমার মনে হয় শত্রæপক্ষ শক্তিশালী হয়ে উঠছে। তখন অনেকেই মনে করেন যে আফগানিস্তানে আরও সৈন্য পাঠাতে চান ম্যাটিস। দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট, বিবিসি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।