বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্টাফ রিপোর্টার: নিরাপত্তার অজুহাত তুলে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ইফতার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাধা দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি সমর্থিত সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। গতকাল সোমবার এক জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকে এই অভিযোগ করে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)। বিএফইউজের সভাপতি শওকত মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বিএফইউজের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, ডিইউজের সভাপতি আবদুল হাই শিকদার, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।
উপস্থিত ছিলেন ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক মহাসচিব এমএ আজিজ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান প্রমুখ।
সভাপতির বক্তেব্যে শওকত মাহমুদ বলেন, আগামী ২১ জুন বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আমাদের ইফতার মাহফিলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অংশ নেয়ার সদয় সম্মতি জানিয়েছেন। কিন্তু ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটি নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে বেগম জিয়াকে ক্লাব চত্বরে ইফতার মাহফিলে আসতে দেয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি বলেন, গোয়েন্দা সংস্থা ও ডিএমপি কমিশনারের দোহাই দিয়ে দেশনেত্রীকে প্রেসক্লাবে আগমনে বাধা দেয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা মনে করি, বর্তমান ক্লাবের কর্তৃপক্ষের এহেন সিদ্ধান্ত জাতীয় প্রেসক্লাবের দীর্ঘদিনের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য ও ভাবমূর্তিকে চরমভাবে নস্যাৎ করেছে।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ বলেন, আমরা আশা করি, সকল মত প্রকাশের মঞ্চ হিসেবে বিবেচনা করে ক্লাবের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের স্বার্থে ক্লাব কর্তৃপক্ষকে তাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবে।
কমিটির সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে শওকত মাহমুদ বলেন, বেগম জিয়া প্রতিদিনই সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ, পূর্বাণী হোটেলসহ রাজধানীর কোনো না কোনো স্থানে ইফতার মাহফিলে অংশ নিচ্ছেন। কোথাও নিরাপত্তার সমস্যা হয়নি। নিরাপত্তাজনিত দোহাই কেউ দিচ্ছে না। তাই ক্লাব কর্তৃপক্ষের এটা খোঁড়া অজুহাত বলে আমরা মনে করি।
প্রেসক্লাবের সাবেক এই সভাপতি বলেন, সাংবাদিকদের যৌথ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুধু স্বৈরাচার এরশাদের এই ক্লাবে প্রবেশের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা ছিল। দুর্ভাগ্যের বিষয় আজ পতিত স্বৈরাচার এরশাদকে ক্লাবে আসতে দেয়া হচ্ছে, অথচ দেশের সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক দলের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বাধা দেয়া হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন আহমদ বলেন, আমি খুব ব্যথিত হয়েছি ক্লাবের এই সিদ্ধান্তে। এটা জাতীয় প্রেসক্লাবের ভাবমূর্তিকে দারুণভাবে ভূলুণ্ঠিত করেছে। তিনি বলেন, জাতীয় প্রেসক্লাব হল আইল্যান্ড অব ডেমোক্রেসি। নব্বইয়ের গণআন্দোলনের সময়ে সারা বাংলাদেশে যখন দাঁড়ানোর জায়গা ছিল না, তখন সব রাজনীতিবিদ, শিল্পী, বুদ্ধিজীবী আসতেন এই প্রেসক্লাবে। সেই ক্লাবের দরজা বন্ধ করে দেয়া হল দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দলের নেত্রীর জন্য। আমি এর নিন্দা করছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।