পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেছেন, আমরা এই জাতি হিসেবে সত্যিকার অর্থেই ব্যর্থ। কারণ ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের উদ্দেশ্য ছিলো গণতন্ত্র। আমরা যুদ্ধ করেছি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য। সেই গণতন্ত্রই আজ দেশ থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আমরা চরমভাবেই ইতিহাস বিকৃতির শিকার। রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্য শুনলে মনে হবে মঞ্চে বক্তৃতার মাধ্যমেই এই দেশ স্বাধীন হয়েছে। গতকাল শনিবার জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত রাজধানীর পুরানা পল্টনস্থ একটি রেস্তোরায় ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন এবং অবৈধ ক্ষমতাসীনদের পদত্যাগে বাধ্য করতে রাজপথে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের বিকল্প’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
মেজর হাফিজ বলেন, আজকে আমাদের সত্যিকার কথাটা বলতে হবে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এই দেশের সাধারণ মানুষের, শুধু আওয়ামী লীগের নয়। এই যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছে ছাত্র-সৈনিকেরা। যারা যুদ্ধক্ষেত্র থেকে শত শত মাইল দুরে ছিলো তারাই আজকে মুক্তিযোদ্ধা। আজকে মুক্তিযুদ্ধের যে প্রকৃত চিত্র এটা আর বাংলাদেশে দেখা যায় না। এই দেশের স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের জন্য যারা যুদ্ধ করলো আজকে তাদের পেছনে ঠেলে দেয়া হয়েছে।
তরুণদের আবারো জেগে ওঠার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, আমি আশা করছি ১৯৭১ সালে তরুণদের পদচারনায় রাজপথ যেভাবে প্রকম্পিত হয়েছিলো ঠিক একইভাবে আবারো রাজপথ প্রকম্পিত হবে। আমরা যে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য যুদ্ধ করেছি অবিলম্বে সেই স্বাধীন বাংলাদেশ আবার দেখতে পাবো।
ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, এই দেশ প্রায় ধ্বংসের কিনারায়। এই অবস্থা থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। এ জন্য আমাদের লড়াই করতে হবে। সেই লড়াইয়ে এই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে। আর আমাদের এই লড়াইয়ের কৌশল পরিবর্তন করতে হবে। আর কৌশল পরিবর্তন করলে আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, গত তেরো বছরে এই সরকার দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আমি বলবো, এই দেশকে রক্ষা করতে হলে বড় দল হিসেবে বিএনপির দায়িত্ব বেশি। আগামীর আন্দোলনে যতো কৃতিত্ব হবে এর বেশিরভাগ কৃতিত্বই বিএনপি পাবে। আর ব্যর্থতাও যদি থাকে সেটাও বিএনপিই বেশি পাবে। আর এই ব্যর্থতাকে সাফল্যের জায়গায় নিয়ে যাওযার জন্য বিএনপির যেমন দায়িত্ব আছে ঠিক আমাদের সবারই দায়িত্ব আছে।
তিনি বলেন, আমেরিকায় গিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য আমেরিকার কাছে অনুরোধ করেছেন। কি অবস্থায় থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ অনুরোধ করেছেন সেটা আমরা সবাই জানি। তার এ কথায় বুঝা যায় বিএনপিকে আগামী নির্বাচনে নিতে না পারলে নির্বাচন পরিপূর্ণ হবে না। আমিও বলবো, বিএনপির কোন অবস্থাতেই এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়া উচিত হবে না। একটা যথাযথ বিষয় নিয়ে বিএনপি যে আহবান জানাবে তাদের সঙ্গে আমি সব সময় থাকবো।
মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে আরো বক্তব্য রাখেন-বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবদীন ফারুক, এড. ফজলুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার, বিএনপি নেতা মেজর (অব.) ব্যারিস্টার এম সারোওয়ার, সাবেক সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান, মিজানুর রহমান খান (বীর প্রতীক), আবদুল হালিম, মোজাম্মেল হক মুক্তা, মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।