পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
অর্থনৈতিক অবরোধ, তুর্কি সেনা মোতায়েন, মিডিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা, ট্রাম্পের টুইট ও সন্ত্রাসী তালিকা
ইনকিলাব ডেস্ক : গত ৫ জুন সোমবার সকালে, স্থানীয় সময় ৫টা ৫০ মিনিটে বাহরাইন সরকার প্রতিবেশী কাতারের সঙ্গে সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেয়। ১০ মিনিটের মাথায় উপসাগরীয় দেশগুলোর প্রধান শক্তি সউদি আরবও একই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ঘোষণা দেয়। ৬ টা ২০ মিনিটে সংযুক্ত আরব আমিরাত তাদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার ঘোষণার মাধ্যমে ত্রয়ী পূরণ করে। পরে অন্তত আরো ছয়টি আরব ও মুসলিম দেশ - মিসর, ইয়েমেন, মালদ্বীপ, লিবিয়া (স্বঘোষিত সরকারগুলোর একটি) মৌরিতানিয়া, কমোরোস ও সেনেগাল একই পথ অনুসরণ করে। এ ছাড়া জর্দান, চাদ, জিবুতি ও গ্যাবন কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক হ্রাস করার পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে উপসাগরীয় দেশ কুয়েত ও ওমান নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছে। এই ছয়টি দেশ নিয়েই আঞ্চলিক সংগঠন জিসিসি গঠিত। কাতারবিরোধী দেশগুলোর দাবি, নিজেদের দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাকে উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদ থেকে রক্ষা করতেই তাদের এহেন পদক্ষেপ। অবশ্য কাতারের দাবি, তাদের বিরুদ্ধে আনা এইসব অভিযোগ সম্পূর্ণ বানোয়াট। সংকট কাটাতে কুয়েত মধ্যস্থতা করলেও এখনো কোনো কার্যকর অগ্রগতি সাধিত হয়নি। পাঁচ দিনব্যাপী চলমান এই কূটনৈতিক দ্ব›েদ্বর পাঁচটি উল্লেখযোগ্য দিকের মধ্যে রয়েছে, অর্থনৈতিক অবরোধ, তুর্কি সেনা মোতায়েন, মিডিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা, ট্রাম্পের টুইট ও সন্ত্রাসী তালিকা। কূটনৈতিক সম্পর্কোচ্ছেদের পাশাপাশি সউদি আরব তাদের সঙ্গে বিদ্যমান কাতারের একমাত্র স্থলসীমা অবরোধ করেছে। সউদি, আমিরাতি ও বাহরাইনি সরকার তাদের আকাশসীমায় কাতারের বিমান পথও বন্ধ ঘোষণা করেছে। সামুদ্রিক পথও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া কাতারকে কূটনৈতিকভাবে একঘরে করার পর তুরস্ক কাতারে তার সামরিক ঘাঁটিতে নতুন করে সেনা পাঠাচ্ছে। তবে তুরস্ক আরও বলেছে, তারা এই সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়। কাতারের পাশাপাশি সউদি আরব কাতারি মিডিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। প্রথমে দেশটি দোহা-ভিত্তিক আল-জাজিরা মিডিয়া নেটওয়ার্ক-এর স্থানীয় শাখা বন্ধ ঘোষণা করে। এ ছাড়া আমিরাত-ভিত্তিক স্যাটেলাইট টিভি সরবরাহকারী ওএসএন সব আলজাজিরা চ্যানেল স¤প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে। কাতারকে বর্জন করার ঘোষণা আসার পরপরই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন জিসিসিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহŸান করেন। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কাতার নিয়ে একটি টুইট করেন। গত বৃহস্পতিবার সউদি, আমিরাতি, বাহরাইনি ও মিশরীয় সরকার যৌথভাবে ১২টি সংগঠন ও ৫৯ জন ব্যক্তিকে সন্ত্রাসী তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। এর মধ্যে মুসলিম ব্রাদারহুডের আধ্যাত্মিক গুরু ইউসুফ আল-কারাদাউই এবং ১৮ জন বিশিষ্ট কাতারি নাগরিক রয়েছেন। এর প্রতিক্রিয়ায় শুক্রবার কাতার জানায়, এই তালিকা ভিত্তিহীন। এর আগে ওই দেশগুলো কাতারকে মুসলিম ব্রাদারহুড ও হামাসকে সমর্থন করা বন্ধ করতে বলেছিল। অন্যদিকে, কাতার বলেছিল, তারা চাপের মুখে নতি স্বীকার করবে না। আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।