মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : নতুন রাজনৈতিক দল গড়ে ফ্রান্সের সবচেয়ে কম বয়সী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা নিয়ে ইতিহাস গড়েছেন ইমানুয়েল ম্যাক্রো। এর পরপরই দেশটির পার্লামেন্ট নির্বাচনে জয়ের টার্গেট নির্ধারণ করেছেন। মনোনয়ন দিয়েছেন প্রচলিত রাজনীতির বাইরের ব্যক্তিদের। চলছে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। জয় পেলে রাজনীতির বাইরের ব্যক্তিদের পার্লামেন্টে এনে নতুন করে ইতিহাস গড়বেন তিনি। গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে পার্লামেন্টের ৫৭৭টি আসনে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এরপর ১৮ জুন হবে দ্বিতীয় দফার ভোট। ৪ কোটি ৭০ লাখ ফরাসি ভোটার বেছে নেবেন তাদের প্রতিনিধিদের। ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ম্যাক্রোর উদারপন্থী রাজনৈতিক দল অঁ মার্চ। এক বছরের মাথায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় পেয়ে ইতিহাস গড়ে নতুন এ দলটি। এবার সেই ধারা বজায় রেখে পার্লামেন্ট নির্বাচনেও চমক দেখাতে চায় অঁ মার্চ। ভোটারদের মন জয়ে প্রচলিত রাজনীতিকদের বাইরে থেকে তরুণ ও স্বচ্ছ ভাবমর্যাদাসম্পন্ন প্রার্থী চূড়ান্ত করায় ম্যাক্রো ও তার দলের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। ম্যাক্রোর দলের প্রার্থী তালিকায় বর্তমান এমপিদের মধ্য থেকে মাত্র ২৪ জন জায়গা পেয়েছেন। তারা সবাই বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদের সোস্যালিস্ট পার্টির হয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। তালিকার ৫২ শতাংশই সুশীল সমাজের প্রতিনিধি। আছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, গবেষক, আইনজীবী, পুলিশ, উন্নয়নকর্মীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। তালিকার প্রায় অর্ধেকই নারী। যাদের অধিকাংশেরই রাজনীতিতে কোনো অভিজ্ঞতা নেই।
৩৯ বছরের ম্যাক্রো ফ্রান্সের সবচে কম বয়সী প্রেসিডেন্ট। তাই পার্লামেন্ট নির্বাচনে তার দলের মনোনয়ন তালিকায় দেখা গেছে তরুণদের প্রাধান্য। প্রার্থীদের গড় বয়স ৪৬। সবচে কম বয়সী প্রার্থীর বয়স মাত্র ২৪ বছর। আর সবচে বয়োজ্যেষ্ঠ প্রার্থীর বয়স ৭২ বছর। দেশটিতে বর্তমান পার্লামেন্ট সদস্যদের গড় বয়স ৬০ বছর। ফরাসি সংবাদপত্রে লু মন্দে জরিপ প্রতিষ্ঠান ইপসস স্টেরিয়া পরিচালিত মতামত জরিপ অনুযায়ী, প্রথম দফা নির্বাচনে ৩১ শতাংশ সমর্থন পেয়ে এগিয়ে রয়েছে মাখোঁর দল। এর আগে এপ্রিলের শেষে এক জরিপে দলটির প্রতি সমর্থন ছিল ২৪ শতাংশ। অন্যদিকে ডানপন্থী রিপাবলিকানদের প্রতি সমর্থন রয়েছে ২২ শতাংশ। আর কট্টর ডানপন্থী ন্যাশনাল ফ্রন্টের (এফএন) সমর্থন ৩ শতাংশ কমে ১৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। তবে জরিপে সবচেয়ে বেশি সমর্থন হারিয়েছে জঁ-লুক মেলাশঁর বামপন্থী দলটি। লে ফ্রান্স পেয়েছে ১১ দশমিক ৫ শতাংশ সমর্থন। এর আগে দলটির প্রতি ১৯ দশমিক ৫ শতাংশ সমর্থন ছিল। সাবেক প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদের সোস্যালিস্ট পার্টি ৮ দশমিক ৫ শতাংশ সমর্থন নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে। বিবিসি, আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।