পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিনা নোটিশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের গুলশান বাড়িতে উচ্ছেদ কার্যক্রম চালানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিটের শুনানির জন্য ২ জুলাই পর্যন্ত মুলতবি করেছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার রিট আবেদনের ওপর শুনানি শুরুর পর বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের বেঞ্চে এই আদেশ দেন। এর আগে বিনা নোটিসে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উচ্ছেদ অভিযানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই রিট আবেদন করেন মওদুদ আহমেদ। রিটে গুলশান এভিনিউয়ের ১৫৯ নম্বর হোল্ডিংয়ে ওই বাড়ির নকশায় কোনো ধরনের পরিবর্তন না করা এবং পজেশন ফিরিয়ে দেয়ার জন্য দুটি অন্তর্বতীকালীন আদেশও চেয়েছেন তিনি। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পাশাপাশি রাষ্ট্রকেও এই রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
আদালতে মওদুদের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন ও মাহবুব উদ্দিন খোকন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। শুনানি শুরু হলে এজে মোহাম্মাদ আলী কোনো ধরনের নোটিস ছাড়া উচ্ছেদ অভিযানকে ‘আইনের লঙ্ঘন’ হিসেবে বর্ণনা করে অন্তবর্তীকালীন নির্দেশনাসহ রুলের আর্জি জানান। এ সময় নির্দেশ ও রুল জারির বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এ মামলায় একটি লম্বা কাহিনী আছে। শুনানি করতে সময় প্রয়োজন। তাছাড়া এ বিষয়ে নিন্ম আদালতে একটি মামলা বিচারাধীন। এ সময় বিচারক বলে, আজকে আর এক ঘণ্টা সময় আছে। কাল থেকে অবকাশ শুরু হবে। এ মামলায় উভয়পক্ষকে শুনতে হবে। এ জন্য সময় প্রয়োজন। আপনারা হয় অবকাশের পরে আসেন. না হয় অবকাশকালীন বেঞ্চে যান। এসময় এজে মোহাম্মদ আলী আবারও বলার চেষ্টা করলে আদালত বলেন, আদেশ দিতে হলে আমাদের শুনতে হবে। তবে মওদুদের আইনজীবীরা বার বার বলার চেষ্টা করলে বেঞ্চের একজন বিচারপতি বলেন, রুল নিবেন? আদেশ দেয়া যাবে না। রুল দিচ্ছি। এসময় অ্যাটর্নি জেনারেল তীব্র আপত্তি জানালে আদালতে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্ঠি হয়। এরপর অপর বিচারপতি বলেন আউট অব লিস্ট করছি। আপনার অবকাশে অন্য বেঞ্চে নিয়ে যান। তবে মওদুদের আইনজীবীরা অনুরোধ করলে আদালত ২ জুলাই শুনানির জন্য দিন ধার্য করে দেন।
এদিকে আদালত থেকে বের হয়ে মাহবুব উদ্দিন খোকন সাংবাদিকদের বলেন, এটা রাজউক বা সরকারের বাড়ি নয়। এটা ব্যাক্তিগত সম্পত্তি। সরকার এ বাড়িতে উচ্ছেদ চালানোর কোন কারণ নেই। কারণ সংবিধানের ১৪৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাড়ির মালিক না থাকলে সরকার তার আওতায় নিতে পারে। কিন্তু এখানে আইনগত মালিক রয়েছে। তাই সরকারের কোন ক্ষমতা নেই এতে হাত দেওয়ার। কেউ অবৈধ থাকলেও তাকে ৩০ দিনের নোটিস দিতে হবে। এখানে কোন নোটিস দেয়া হয়নি। এটা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস। সরকারের কোন অধিকার নেই এই বাড়ি আওতায় নেওয়ার।
অপরদিকে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, মওদুদ আহমেদ এরইমধ্যে নিন্ম আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। সেই মামলা থাকাবস্থায় কোনমতেই এখানে রিট চলতে পারে না। যেহেতু বিস্তারিত শুনতে হবে, তাই আদালত কোন আদেশ দেন নি। বাড়ি এখন সরকারের নিয়ন্ত্রণে আছে। বাড়ি ছাড়া নিয়ে মিডিয়ায় মওদুদ আহমদের নাটক ভালোভাবে প্রচার হচ্ছে। অথচ এ নিয়ে আমার বিস্তারিত বক্তব্য প্রচার হচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ চার দশক ধরে গুলশানের ওই বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন। আইনি লড়াইয়ে তিনি হেরে যাওয়ায় গত বুধবার তার মালপত্র সরিয়ে দিয়ে ওই বাড়ির দখল বুঝে নেয় রাজউক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।