২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
বেগুন দিয়ে তৈরী বেগুনী ছাড়া আমাদের দেশে ইফতারী পূর্ণতা লাভ করে না। ইফতারে বেগুনী একটি আদর্শ খাবার হতে পারে। ইফতারে যেহেতু ভাড়া-পোড়া খাবার বেশী খাওয়া হয় সেক্ষেত্রে বেগুনী উপকারী হতে পারে। কারন বেগুনীর বেগুন এলডিএল কোলষ্টেরল কমাতে সাহায্য করে থাকে। বেগুন হজমে সাহায্য করে। ইফতারিতে মুড়ি, খেজুর বা অন্য খাবারের সাথে অনেক মুক্ত র্যাডিকেলস আমাদের শরীরে প্রবেশ করে ভেজাল খাবারের কারনে। ফলে ক্যান্সার পর্যন্ত সৃষ্টি হতে পারে। বেগুনীতে বিদ্যমান ফাইটোক্যামিকেলস, কোলরোজেনিক এসিড এবং নাসুনিন আমাদের শরীরের মুক্ত র্যাডিকেলস সমূহ অপসারনে সাহায্য করে থাকে। এছাড়া বেগুনে বিদ্যমান কোলরোজেনিক এসিড এন্টিমিউটোজেনিক হওয়ায় কোন কোষকে ক্যান্সার কোষে মিউটেশনে বাধা প্রদান করে। সারাদিন রোজা রাখার পর বেগুনী থেকে পাওয়া যায় ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ। যারা কিডনী রোগী তাদের ক্ষেত্রে প্রোটিন জাতীয় খাবারে অনেক সীমাবদ্ধতা থাকে। সেক্ষেত্রে বেগুনী তাদের ইফতারে একটি আদর্শ খাবার হতে পারে। ক্রনিক কিডনী রোগীদের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যে বেগুনী তৈরী করার সময় বেগুনের টুকরার উপরের প্রলেপ যেন বেসনের তৈরী না হয়ে ময়দার তৈরী হয়। কারন কিডনী রোগীদের প্রোটিন জাতীয় খাবারে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। বেগুনের টুকরার উপর ময়দার প্রলেপ দিয়ে বেগুনী উপকারী হবে শুধুমাত্র কিডনি রোগীদের জন্য নয় বরং সুস্থ মানুষের ক্ষেত্রে। কারণ বেসনেও ভেজাল দেওয়া হয়। শুধুমাত্র কিডনীতে অক্সালেট জাতীয় পাথর থাকলে বেগুনী খাওয়া নিষেধ। ইচ্ছা করলে উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগীরা বেগুনী খেতে পারেন। এক্ষেত্রে বেগুনী হতে হবে অলিভ অয়েল ভাজা। কারন অলিভ অয়েল বা জলপাইয়ের তেলে কোন কোলষ্টেরল থাকে না। তাই ইফতারে ময়দার প্রলেপ দেওয়া বেগুন অলিভ অয়েলে ফ্রাই করে খেতে পারেন প্রাণ ভরে কোন প্রকার ভয়ভীতি ছাড়াই। যাদের বেগুনে এলার্জি রয়েছে তারা বেগুনের পরিবর্তে পেপে ¯øাইস করে তার উপরে ময়দার প্রলেপ দিয়ে ফ্রাই করে খেতে পারেন যা পেপেনী নামে নাম করন করা যেতে পারে। রমজান মাসে রাতের খাবারে মাছ এবং বেগুন তরকারী একটি আদর্শ খাবার যা সার্বিক স্বাস্থ্য ভাল রাখে। এলার্জিজনিত মুখের আলসার রোগীদের ইফতারীর সময় অতিরিক্ত লেবুর শরবত পান করা ঠিক নয়। এছাড়া সাইট্রাস জাতীয় ফল যত কম খাওয়া যায় ততই ভাল। ইফতারীর সময় মুখের আলসার রোগীদের অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করে ইফতারী শুরু করা উচিত নয়। অতিরিক্ত ঠান্ডা বা অতিরিক্ত গরম উভয় জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে। মুখের আলসার রোগীদের অতিরিক্ত ভাজা পোড়া জাতীয় ইফতারী গ্রহণ করা ক্ষতিকর। তবে কোনো প্রকার জটিলতা দেখা দিলে একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
ডাঃ মোঃ ফারুক হোসেন
মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ
মোবাইল: ০১৮১৭-৫২১৮৯৭
ই-মেইল: ফৎ.ভধৎঁয়ঁ@মসধরষ.পড়স
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।