২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
লোহিত রক্ত কণিকার ভেতরে থাকে হিমোগেøাবিন। হিমোগেøাবিন হিম এবং গেøাবিন দিয়ে তৈরি। হিম আয়রন গঠিত পদার্থ এবং গেøাবিন এক ধরনের প্রোটিন। হিমোগেøাবিনের কাজ ঙ২ এবং ঈঙ২ পরিবহন করা। হিমোগেøাবিনের কারণেই রক্তের রং লাল দেখায়। গøুকোজ যখন এনজাইমের সাহায্য ছাড়াই হিমোগেøাবিনের সাথে যুক্ত হয় তখন তাকে গøাইকেটেড হিমোগেøাবিন বলে। রক্তে গøুকোজের মাত্রা যত বাড়তে থাকে গøাইকেটেড হিমোগেøাবিনের পরিমাণ তত বাড়তে থাকে। লোহিত রক্ত কণিকা সাধারণত ৪ মাস বেঁচে থাকে। এই চার মাসই গøুকোজ হিমোগেøাবিনের সাথে লেগে থাকে। সুতরাং রোগীর চার মাসে ডায়াবেটিস কেমন নিয়ন্ত্রণ ছিল তার একটা ধারণা ঐনঅ১ঈ করে পাওয়া যায়। অনেক সময়ে রোগীরা চিকিৎসককে বা নিকট আত্মীয়দের বিভ্রান্ত করে ফেলেন। চেক আপের কয়েকদিন তারা শর্করা কম খান। ফলে গøুকোজ লেভেল কমে আসে। কিন্তু ঐনঅ১ঈ এক দুইদিনে পরিবর্তন হয় না। এছাড়া অন্যান্য কারণেও সহজে ঐনঅ১ঈ পরিবর্তিত হয়না। তাদের ক্ষেত্রে গøাইকেডেট হিমোগেøাবিন পরীক্ষা করলে সঠিক ফলাফল পাওয়া যায়। ঐনঅ১ঈ এনিমিয়া বা গর্ভাবস্থায় মাপলে ভুল ধারনা হতে পারে। এসময় ঐনঅ১ঈ কমে যায়। এছাড়া ইউরেমিয়া বা হিমোগেøাবিনোপ্যাথি থাকলে রিপোর্টে সমস্যা হতে পারে।
ডায়াবেটিস যার মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে থাকে তিনি বছরে দুইবার এই পরীক্ষা করবেন। আর যার রক্তের গøুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকেনা তিনি ৩ বার এ পরীক্ষা করবেন। ঐনঅ১ঈ এর স্বাভাবিক মান ৪-৬%। বর্তমানে ঐনঅ১ঈ দেখেও ডায়াবেটিস নির্ণয় করা যায়। কারো যদি ঐনঅ১ঈ ৬.৫% এর বেশী হয় তবে তাকে ডায়াবেটিস রোগী বলা যায়।
বিগত দিনে ডায়াবেটিস কেমন নিয়ন্ত্রণে ছিল তা জানার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পরীক্ষা ঐনঅ১ঈ। সুতরাং এ পরীক্ষা যে রোগীদের জন্য খুব প্রয়োজনীয় তা বলার আর অপেক্ষা রাখেনা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।