পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : উপসাগরীয় দেশগুলোতে চলমান কূটনৈতিক সংকট সমাধানে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত বুধবার কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে তিনি এ আগ্রহের কথা জানান। এসময় চলমান সংকট নিরসনে প্রয়োজনে হোয়াইট হাউজে বিশেষ বৈঠক আয়োজনে ওয়াশিংটন প্রস্তুত আছে বলে ট্রাম্প কাতারের আমিরকে জানান। মধ্যপ্রাচ্যের ঐক্যের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদে অর্থায়ন এবং উগ্রবাদের প্রচারণা বন্ধ করার জন্য সব দেশকে একযোগে এগিয়ে আসার আহŸান জানান। গত সোমবার সউদি প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রথম দোহার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা আসে। এরপর এ তালিকায় যুক্ত হয় মিসর, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, লিবিয়া, ইয়েমেন, জর্ডান এবং মালদ্বীপ। দেশটির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ সমর্থন ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নষ্টের অভিযোগ তোলা হয়। যদিও ভ্রাতৃপ্রতিম আটটি দেশের এ উদ্যোগকে অযৌক্তিক ও আঞ্চলিক শান্তি বিনষ্টকারী সিদ্ধান্ত বলছে কাতার সরকার। সংকট নিরসনে আলোচনায় বসার জন্য দোহা প্রস্তুত আছে বলেও দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। দেশটির মতে, চলমান পরিস্থিতিতে গালফ কোঅপারেশন কাউন্সিলের (জিসিসি) ভবিষ্যত হুমকিতে পড়বে। এর আগে সউদি বাদশাহ সালমানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন ট্রাম্প। মধ্যপ্রাচ্যের ঐক্য ধরে রাখার আহŸান জানান তিনি। সন্ত্রাসবাদ দমন ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে জিসিসির ঐক্য জরুরি বলেও মন্তব্য করেন। ট্রাম্প ছাড়াও চলমান সংকট নিরসনে আগ্রহ প্রকাশ করেছে তুরস্ক, কুয়েত এবং ফ্রান্স। আল-জাজিরা, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।