পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ধর্মহীন শিক্ষানীতির আলোকে হিন্দুত্ববাদী পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন এবং তা পড়াতে বাধ্য করার জন্য শিক্ষা-আইন ’১৬ ইসলামবিরোধী চক্রান্ত। পাঠ্যপুস্তক থেকে ৯৫% মুসলমানের ধ্যান-ধারণা ইসলামী বিষয়সমূহ বাদ দিয়ে হিন্দুয়ানি বিষয়বস্তু ঢুকিয়ে দিয়ে দেশকে ইসলামশূন্য করতে ছাত্রছাত্রীদের হিন্দুত্ববাদে প্রবেশ করার লক্ষ্যে পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করা হয়েছে। এ চক্রান্তের বিরুদ্ধে রুখে দিতে ছাত্রছাত্রীরা রাজপথে নেমে এ চক্রান্ত প্রতিহত করবে ইনশাআল্লাহ। ইসলামবিরোধী পাঠ্যসূচি ও শিয়া আইন বাতিলের দাবি করে গতকাল রাজধানীতে যুব জমিয়তের মানববন্ধনের এবং বিভিন্ন ইসলামী দলের প্রতিবাদ বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেছেন।
যুব জমিয়ত
ধর্মহীন শিক্ষানীতি-২০১০ এর আলোকে পাঠ্যসূচি শিক্ষা-আইন ২০১৬ প্রণীত হলে তা হবে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে কুফরির দিকে ঠেলে দেওয়ার গভীর ষড়যন্ত্র। জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব, ঢাকা মহানগর জমিয়তের সভাপতি মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম। তিনি ধর্মহীন ও নাস্তিক্যবাদী শিক্ষা-আইন প্রণয়নের চিন্তা বাদ দিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের মতামতের ভিত্তিতে, বরেণ্য ওলামায়ে কেরাম ও শিক্ষাবিধদের তত্ত্বাবধানে পাঠ্যসূচি ও শিক্ষা-আইন পুনর্বিন্যাশ করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান। তিনি বলেন, ধর্মহীন শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করার জন্যে স্কুল-কলেজের পাঠ্যবই থেকে অত্যন্ত সু-কৌশলে ইসলামী বিষয়সমূহ বাদ দিয়ে বাংলাদেশের শিক্ষা-সংস্কৃতি, ইসলামী আদর্শের উপর কঠিন আঘাত হানা হয়েছে। এ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে মুসলিম জনতাকে রুখে দাঁড়াতে হবে।
গতকাল বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে যুব জমিয়ত বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে ধর্মহীন শিক্ষানীতি-২০১০ এর আলোকে পাঠ্যসূচি শিক্ষা-আইন ২০১৬ প্রণয়নের ষড়যন্ত্র বন্ধ ও ইসলামবিরোধী সকল পাঠপুস্তক বাতিল ও সংশোধনের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
যুব জমিয়ত সভাপতি মাওলানা শারফুদ্দীন ইয়াহ-ইয়া কাসেমীর সভাপতিত্বে ও তোফায়েল গাজালির পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন, মুফতি গোলাম মওলা, মুফতি জাবের কাসেমী, মাওলানা ইলিয়াস, মুফতি বোরহান উদ্দীন প্রমুখ।
ইসলামী ছাত্র মজলিস
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা রেজাউল করিম জালালী বলেছেন, শিক্ষা ব্যবস্থায় সুকৌশলে হিন্দুয়ানি লেখা ঢুকিয়ে মুসলমানদের শিক্ষা-সংস্কৃতি ধ্বংসের গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে। কতিপয় খয়ের খাঁ নাস্তিক ও হিন্দুনেতা এদেশকে ইসলামশূন্য ও সাম্প্রদায়িক করার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। মুসলমানরা বেঁচে থাকতে তাদের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে দেবে না। দেশের সংখ্যাগরিষ্ট মানুষের মতের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়ন করতে হবে। পাঠ্যপুস্তকে হিন্দুয়ানি লেখা ঢুকিয়ে হিন্দু বানানোর ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজ রুখে দাঁড়াবে এবং প্রয়োজনে রাজপথে নামবে। তিনি গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস সিলেট বিভাগের দিনব্যাপী কর্মী শিক্ষা সভার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
জেলা কার্যালয়ে সেক্রেটারি জেনারেল ও সিলেট বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক মুহাম্মদ আব্দুর রহীম সাইদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শিক্ষা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, প্রাক্তন সেক্রেটারি জেনারেল এস এম আল জুবায়ের। আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস সিলেট জেলা সহ-সভাপতি মাওলানা জাহিদ উদ্দিন চৌধুরী, মহানগর সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মাওলানা এমরান আলম, সহ-সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ছামিউর রহমান মুসা, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি রশিদ আহমদ, সুনামগঞ্জ জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজ জয়নুল ইসলাম। আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্র মজলিস সিলেট মহানগর সভাপতি মুহাম্মদ সুহাইল আহমদ, পূর্ব জেলা সভাপতি সৈয়দ ফেদাউল হক, পশ্চিম জেলা সভাপতি আতিকুর রহমান, মৌলভীবাজার জেলা সেক্রেটারি সালাউদ্দিন শাকিসহ শাখা নেতৃবৃন্দ।
খেলাফত আন্দোলন
খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগরীর এক জরুরি সভায় কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহানগর সেক্রেটারি মাওলানা হাফেজ আবু তাহের, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মাহবুবুর রহমান, মুফতি আব্দুর রহিম কাসেমী, অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ লিটন চৌধুরী ও আলহাজ মুহাম্মদ দ্বীন ইসলাম প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেছেন, দেশে সেক্যুলার শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করার জন্যে স্কুল-কলেজের পাঠ্যবই থেকে বেছে বেছে ইসলামী বিষয়সমূহ বাদ দিয়ে তদস্থলে হিন্দুত্ববাদের ধারণামূলক লেখাসমূহ যুক্ত করা হচ্ছে। এটা মূলত ধর্মনিরপেক্ষতার নামে ধর্মহীনতা, নাস্তিকতা ও হিন্দুত্ববাদ জাতির ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়ার চক্রান্তের ফসল। তিনি বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেই ইসলামী আদর্শ ও চেতনাবোধের উপর সবচেয়ে বড় আঘাত হানা হয়েছে। জাতীয় শিক্ষার বিভিন্ন দিক থেকে ইসলামী শিক্ষা ও চেতনাবোধের বিলুপ্তি ঘটানো হচ্ছে।
ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগর
স্কুলের সিলেবাস থেকে ইসলাম বাতিল করে হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠা করার চক্রান্ত চলছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরী সভাপতি অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দীন। তিনি বলেন, পাঠ্যসূচিতে অধিক হারে হিন্দু লেখকদের লেখা সংযোজন এবং ইসলামকে কটাক্ষ করে নাস্তিকদের লেখা সংযোজন করে কৌশলে কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের হিন্দুয়ানিীও নাস্তিক্যবাদি শিক্ষা দেওয়ার চক্রান্ত প্রতিহত করতে হবে। তিনি বলেন, অবিলম্বে পাঠ্যসূচি থেকে নাস্তিক-মুরতাদ এবং হিন্দুয়ানি বাতিল করতে হবে।
গতকাল বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরীর এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি আলহাজ আলতাফ হোসেন, সেক্রেটারি মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, অধ্যাপক ফজলুল হক মৃধা, মুহা. মোশাররফ হোসেন, এইচ এম সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।