পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
উবায়দুর রহমান খান নদভী : আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে দৈনিক ইনকিলাব ৩২ বছরে পা রাখল। বাংলাদেশে কোন সংবাদপত্রের জন্য তিনটি দশক সচল ও সক্রিয় অবস্থায় বেঁচে থেকে ৩২তম বর্ষে পদার্পণ খুব সহজ কথা নয়। সর্বশক্তিমান আল্লাহর বিশেষ রহমতে এ দুসাধ্য যাত্রায় ইনকিলাব সফল হতে পেরেছে। ১৯৮৬ সালের ৪ জুন দেশ ও জনগণের পক্ষে যে সংবাদপত্রের শুভযাত্রা শুরু হয় তা ২০১৭ সালের ৪ জুন পর্যন্ত অব্যাহত সেবা দিয়ে চলেছে। নানা বাধা-বিপত্তি, চোখ রাঙানি আর কণ্টকাকীর্ণ পথ পাড়ি দিয়ে ইনকিলাব তার মঞ্জিলের পানে এগিয়েছে একটি সর্বাত্মক ইনকিলাবের লক্ষ্য নিয়ে। ইনকিলাব অর্থ বিপ্লব। এ বিপ্লব সংবাদপত্র জগতে ইনকিলাব আনতে পেরেছে। দেশ ও জাতির জীবনেও সে বিপ্লব এনেছে। একটি বিপ্লবের প্রতীক হয়ে ৩২তম বছর উদযাপন করছে। আলহামদু লিল্লাহ।
ইনকিলাবের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা এমএ মান্নান (রহ)। এক যুগান্তকারী ব্যক্তিত্ব। যুগ বিপ্লবের উৎস মনীষী। আধ্যাত্মিক পরিবার থেকে আসা আলেম ও দার্শনিক। সমাজসেবক, সংগঠক, রাজনীতিবিদ ও অসাধারণ ধীমান নেতা। সংসদ সদস্য, দুতপুল সদস্য, পার্লামেন্টারি সেক্রেটারি, ক্ষমতাসীন দলের সেক্রেটারী জেনারেল, একাধিক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সফল মন্ত্রী, আলেম, মুফাসসির, মুহাদ্দিস, খতীব ও বুযুর্গ। এ সবই তার সাবলীল পরিচয়।
দৈনিক ইনকিলাব প্রতিষ্ঠা তার জীবনের অন্যতম বড় কৃতিত্ব হলেও তার সৃষ্টি এখানেই সীমাবদ্ধ নয়। মাওলানা এম এ মান্নান বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনকে এমন এক উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন যার দৃষ্টান্ত দেশের অপর কোন অরাজনৈতিক পেশাজীবী সংগঠনে নেই। দেশের লক্ষ কোটি মাদরাসা শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবক আজ যে উন্নতি সমৃদ্ধি আর নতুন আলোয় উজ্জীবিত তা মাওলানা এম এ মান্নান (রহ) এরই অবদান। তার অমর কীর্তি রাজধানীর মহাখালিস্থ মসজিদে গাউসুল আজম ও জমিয়াতুল মোদার্রেছীন কমপ্লেক্স ইসলামী স্থাপত্যকলায় অনন্য নিদর্শন হয়ে যুগ যুগ টিকে থাকবে। এর পাশেই চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন এর প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা এম এ মান্নান।
৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দেশ ও জাতির জন্য নিবেদিত, ইসলামী মূল্যবোধ ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের অঙ্গীকারে বলীয়ান দৈনিক ইনকিলাব নতুন করে প্রত্যয় ঘোষণা করছে দৃঢ় ও ন্যায়নিষ্ঠ অভিযাত্রার। স্মরণ ও দোয়া রইল এর কীর্তিমান প্রতিষ্ঠাতার রূহের প্রতি। সারা বিশ্বে ইনকিলাবের লাখো কোটি ভক্ত-পাঠক প্রেমিক ও শুভানুধ্যায়ির জন্য নতুন প্রতিষ্ঠা বছরের শুভেচ্ছা। এর মহান প্রতিষ্ঠাতার প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।
দেশে-বিদেশে যেখানেই যাই, অসংখ্য বোদ্ধা পাঠক বলে থাকেন, দেশের সব পত্রিকা পড়লেও মনে হয় কী যেন আমরা পড়িনি। সব পত্রিকার পর মনে একটি তৃষ্ণা থেকেই যায়। যা ইনকিলাব না পড়লে মিটে না। ইনকিলাব না পড়লে মনে হয় সংবাদপত্র পড়া হয়নি। এ অবস্থাটি সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছিল বলেই ইনকিলাব অনন্য। ইনকিলাব ছাড়া দেশে কি শতকরা ৯২ ভাগ মানুষের নিজস্ব কোন কাগজ আছে? মুসলমানদের বিশেষায়িত কোন কাগজ? দেশে অসংখ্য পত্র-পত্রিকা আছে, আরো হয়ত হবে কিন্তু ইনকিলাব তার যে অঙ্গীকার নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল ৩২ বছর পরও সে তার ওই অঙ্গীকারের উপর দৃঢ়পদ আছে। এখনও সে তার ওই অনন্যতা ধরে রেখেছে। শতকরা ৯২ ভাগ মুসলিম জনগোষ্ঠীর এ বিশেষায়িত পত্রিকা দীর্ঘজীবী হোক। দেশ ও জনগণের কাগজ দৈনিক ইনকিলাব জিন্দাবাদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।