Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

২০১৮ সালের মধ্যে সব শিল্প কারখানায় গ্যাস

| প্রকাশের সময় : ২ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার ঃ আগামী বছরের মধ্যে সব শিল্প প্রতিষ্ঠানে গ্যাস সরবরাহে সরকার সক্ষম হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। গকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে দেওয়া ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে এলএনজি আমদানির কার্যক্রম চলমান আছে। মহেশখালীতে বিল্ড ওন অপারেট ট্রান্সফার পদ্ধতিতে একটি ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রি-গ্যাসিফিকেশন ইউনিটভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের জন্য ইতোমধ্যে টার্মিনাল ইউজ এগ্রিমেন্ট ও ইম্পিমেন্টেশন এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষরিত হয়েছে। আশা করছি ২০১৮ সালের শেষ নাগাদ সকল শিল্প প্রতিষ্ঠানে গ্যাস সরবরাহে আমরা সক্ষম হব। ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট ছিল জানিয়ে মুহিত বলেন, ইতোমধ্যে তা ১৫ হাজার ৩৭৯ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। একই সময়ে বিদ্যুতের বিতরণ লস ১৫ দশমিক ৬ শতাংশ  থেকে ৯ দশমিক ৩ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।
বিদ্যুতে রেন্টালে রাশ আগামী বছর থেকেই
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন দ্রæত বাড়াতে ভাড়া ভিত্তিক ( রেন্টাল) বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের যে প্রক্রিয়া চালু হয়েছিল, আগামী বছর তা থেকে ফেরা শুরু করতে চায় সরকার। রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপর নির্ভরশীলতা, আগামী ২০১৮ সালে যখন বিদ্যুৎ সরবরাহে একটি স্বস্তির অবস্থান সৃষ্টি হবে, তখন থেকেই হ্রাসকরণের কার্যক্রম শুরু হবে। বিতর্ক ও বড়  লোকসানের মধ্যেই বেসরকারি খাতের ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো নিয়ে এগিয়ে চলেছিল আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার। ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর বিদ্যুৎ উৎপাদন দ্রæত বাড়াতে  রেন্টালের দিকে ঝোঁকে সরকার। দেশের মোট উৎপাদনের ২০ শতাংশ রেন্টাল  থেকে এলেও বিদ্যুৎ উৎপাদনে মোট খরচের প্রায় অর্ধেক অর্থ সরকারকে গুনতে হচ্ছে তা কিনতে।  রেন্টাল চালু রাখার মধ্যেই বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে মনোযোগী হয় সরকার, যার মধ্যে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রও রয়েছে। এছাড়া বিদ্যুৎ আমদানিও করা হচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে রেন্টালে নির্ভরতা কমানোর কথা বললেন অর্থমন্ত্রী।
বাজেট বক্তৃতায় মুহিত বলেন, নির্মাণাধীন ১১ হাজার ২১৪ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩৩টি বিদ্যুৎ  কেন্দ্রের অতিরিক্ত ১১ হাজার ১২৪ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৪২টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনার রয়েছে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। অবশিষ্ট ২০ শতাংশ আগামী ২০২১ সালের আগেই বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আসবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে আশা করছি। রামপাল, মাতারবাড়ি, পটুয়াখালীর পায়রায় এবং বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও সিঙ্গাপুরের আর্থিক সহায়তায় মহেশখালীতে চারটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। গ্যাসভিত্তিক পুরনো বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো সংরক্ষণ ও মেরামতের পাশাপাশি উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার আওতায়  নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে বিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনার  রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গ্যাস

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১৯ জানুয়ারি, ২০২৩
১৮ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ