Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

মোরা’য় ক্ষতিগ্রস্ত ২ লাখ ৮৬ হাজার মানুষ

| প্রকাশের সময় : ১ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : ঘূর্ণিঝড় মোরায় দেশের উপকূলীয় ১৬ জেলার ২ লাখ ৮৬ হাজার মানুষ ক্ষতির শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। ঝড়ের বিপদ কেটে যাওয়ার পরদিন বুধবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ক্ষয়ক্ষতির এই চিত্র তুলে ধরেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিবের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত সচিব গোলাম মোস্তফা।
ঘণ্টায় একশ’ কিলোমিটারের বেশি গতির বাতাস নিয়ে মঙ্গলবার ভোরে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম  উপকূলে আঘাত হানে প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোরা। এরপর প্রায় ছয় ঘণ্টা উপকূলীয় এলাকায় তান্ডব চালিয়ে দুর্বল হয়ে সেটি স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়।
এজন্য এর আগেরদিন সোমবার রাতেই চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করা হয়েছিল। জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অতিরিক্ত সচিব বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাতে উপকূলীয় ৩১ উপজেলার ১০৬টি ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ৫৪ হাজার ৪৮৯টি পরিবারের ২ লাখ ৮৬ হাজার ২৪৫ জন আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে ১৯ হাজার ৯২৯টি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ এবং ৩৯ হাজার ৫৯৯টি ঘরবাড়ী আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসময় এক হাজার ৫৯২ একর জমির পানের বরজের ক্ষতি হয়েছে এ ঘূর্ণিঝড়ে ৬ জন মারা গেছেন জানিয়ে অতিরিক্ত সচিব বলেন, এরমধ্যে কক্সবাজারে ৪ জন এবং রাঙ্গামাটিতে ২ জন মারা গেছেন। কক্সবাজারে রহমত উল্লাহ (৪৫), সায়েরা খাতুন (৬৫), আব্দুল হাকিম (৬৫) ও শাহীনা আক্তার (১০) মারা গেছেন। রাঙ্গামাটিতে জাহিদা সুলতানা (১৪) ও হাজেরা বেগম (৪০) মারা গেছেন। বিধান অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে ছয় জনের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, প্রয়োজনে আরও সহায়তা দেয়া হবে। ঝড়ে মোট ৬১ জন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে কক্সবাজারে ৬০ জন এবং রাঙ্গামাটিতে একজন রয়েছেন। ঘূর্ণিঝড়ের সময় সরকারের ১১ হাজার ৮২০টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৬৬৯ জন আশ্রয় নেন। গোলাম মোস্তফা জানান, ঘূর্ণিঝড় মোরা উপলক্ষে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, ল²ীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরিশাল, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, ভোলা, ঝালকাঠি, বরগুনা, খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট এবং রাঙ্গামাটি  জেলায় এক হাজার ৭০০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এসব জেলায় এক কোটি ৩৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত সচিব বলেন, সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কক্সবাজার জেলায়। ক্ষতিগ্রস্ত ঘর নির্মাণের জন্য গতকাল কক্সবাজারে ৩০০ বান্ডিল ঢেউটিন এবং ৯ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আমরা আরও সহায়তা করব। অবস্থা বুঝে আহতদেরও আমরা সহযোগীতা করব। সব জেলা প্রশাসকদের সাথে সার্বক্ষণিকভাবে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছি।  যেখানে যা দরকার আমরা সেই সাহায্য তাদের দেব। আমরা সবাই সব সময় তাদের (ক্ষতিগ্রস্তদের) সাথে আছি। ভোলার মনপুরা উপজেলায় আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার সময় মায়ের কোলে থাকা এক বছর বয়সী এক অসুস্থ শিশুর মৃত্যুর খবর সংবাদমাধ্যমে এলেও সে বিষয়ে কোনো তথ্য মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া হয়নি। এসব এলাকার ৫৪ হাজার ৪৮৯টি পরিবারের ২ লাখ ৮৬ হাজার ২৪৫ জন মানুষ ক্ষতির শিকার হয়েছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঘূর্ণিঝড়

২৬ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ