Inqilab Logo

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

মোরা মোকাবেলায় সফল ত্রাণ মন্ত্রণালয়

মন্ত্রী-সচিব এবং ডিজি দেশের বাইরে

| প্রকাশের সময় : ৩১ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

পঞ্চায়েত হাবিব : দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-সচিব এবং অধিদপ্তরে ডিজিকে ছাড়াই দেশের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় মোরা উপকূলীয় এলাকার ৪ লাখ ৬৮ হাজার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিতে পেয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। দেশের উপকূলে ঘূর্ণিঝড় মোরা আঘাত হেনেছে। দুর্যোগের ভয়াবহতার বিবেচনায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সঙ্কেতও জারি করা হয়েছিল। কিন্তু দুর্যোগ মোকাবেলায় মন্ত্রণালয় ছিল অভিভাবকহীন। কারণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিব এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহাপরিচালকও (ডিজি) রয়েছেন বিদেশে। জেলা প্রশাসক (ডিসি) উপজেলা নিবাহী অফিসার এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করায় দেশ বড় ধরনের প্রাণহানী ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে বলে দাবি করেছেন ভারপ্রাপ্ত সচিব।
জানা গেছে, গেøাবাল প্লাটফর্ম ফর ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে গত ২৩ মে মেক্সিকোর কানকুনে গেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন  চৌধুরী মায়া ও মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল। মন্ত্রী ২০ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের  নেতৃত্ব দিচ্ছেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহাপরিচালক রিয়াজ আহমেদও রয়েছেন এ প্রতিনিধি দলে। গতকাল বুধবার তাদের দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
২০১১ সালের ১৯ জুন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বিদেশ ভ্রমণের অনুমতি ও অনুসরণীয় আনুষঙ্গিক বিষয়াদি নিয়ে একটি পরিপত্র জারি করা হয়। ওই পরিপত্রে বলা হয়, মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ও সচিব/ভারপ্রাপ্ত সচিবগণের একসঙ্গে বিদেশভ্রমণ সাধারণভাবে পরিহার করতে হবে। জাতীয় স্বার্থে বিশেষ ক্ষেত্রে ( যেমন বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ-এর বার্ষিক সভা, দাতাগোষ্ঠীর সভা) একত্রে বিদেশভ্রমণ অপরিহার্য হলে অত্যন্ত সীমিত ক্ষেত্রে এর ব্যত্যয় করা যেতে পারে।
সাইক্লোন মোরা গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে কুতুবদিয়ার কাছ দিয়ে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করেছে। এজন্য সোমবার রাতে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত ও মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করা হয়। যদিও মঙ্গলবার দুপুরের দিকে মহাবিপদ সংকেত প্রত্যাহার করা হয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায় নি। দেশে বড় ধরণের ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানা ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিপত্রে এ ধরণের ভ্রমণ পরিহার করার কথা বলা হলেও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী ও সচিবের একসঙ্গে বিদেশ সফর নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। সমালোচনা রয়েছে মন্ত্রীর নিজের দল আওয়ামী লীগের মধ্যেও।
গতকাল সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী ও সচিবের একসঙ্গে বিদেশ সফরের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ঠিকই বলেছেন। এটা হওয়া উচিত নয়। এ ধরণের একটি অনুশাসন আছে। এই যে একটা দুর্যোগ... আরও বড় ধরণের ক্ষতি হয়ে যেতে পারত। এ সময়ে মন্ত্রী মহোদয় গেলে, সচিবের থাকা উচিত। খুব জরুরি কোনো বিষয় ছাড়া দুজনের একসঙ্গে যাওয়া উচিত নয়। চুক্তি সংক্রান্ত বিষয় থাকলে মন্ত্রী-সচিবের একসঙ্গে যেতে পারেন। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, আমি সঠিকভাবে জানি না কোনো বাধ্যবাধকতা (ওই সম্মেলনে যাওয়ার বিষয়ে) আছে কিনা, দু’জনের যাওয়াটা জরুরি ছিল কিনা? তা না হলে মনে হয় একজনেরই যাওয়া উচিত। দুজন একসঙ্গে গেলে সমস্যা হতে পারে। অপরদিকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব গোলাম  মোস্তফা এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, তারা তো সরকারি দায়িত্ব পালন করতেই গেছেন। তারা  তো জানতেন না এ রকম একটা ঘটনা ঘটবে। আমরা যারা আছি আমরা তো তার কাজ করি। আমরা সবাই কাজ করতে পারি। গতকাল আমাদের প্রতিটি লোক কাজে ব্যস্ত ছিল। রাতে ঘুমাইনি। তার পর আমরা দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। কিছু আপনাদের  (সাংবাদিকরা) প্রয়োজন হলে আমাদের বলেন আমরা দিব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঘূর্ণিঝড়

২৬ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ