বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গোপালগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা : গোপালগঞ্জে ঝড়ে গোপালপুর পঞ্চপল্লী উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি টিন সেড ভবন বির্ধস্ত হয়ে শ্রেণী কক্ষের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।
কখনো স্কুলের বারান্দায়। অবার কখনো গাছ তলায় ক্লাস নেয়া হচ্ছে। এতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কষ্টের সীমা নেই। প্রধানমন্ত্রীর নিজ নির্বাচনী এলাকা টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গোপালপুল গ্রামে এ স্কুলটির অবস্থান। পাশেই কোটালীপাড়া উপজেলা। দু’ উপজেলার শিক্ষার্থীরা এ স্কুলে পড়াশোনা করছে। উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী এ স্কুলে পড়াশোনা করছে। ১৯৫৮ সালে স্কুলটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ভবন সংকট রয়েছে। গত ১৫ মে ঝড়ে স্কুলের ৩ কক্ষ বিশিষ্ট একটি টিন সেড ভবন বিধ্বস্ত হয়ে শ্রেণী কক্ষ সঙ্কট আরো প্রকট আকার ধারন করেছে। শিক্ষার্থীদের শ্রেণী কক্ষে গাদাগাদি করে বসতে হচ্ছে। এক কক্ষে শতাধিক শিক্ষার্থীকে পাঠদান করতে শিক্ষককে হিমশিম খেতে হচ্ছে। স্কুলটি বরাবরই জেএসসি ও এসসসিতে ভালো রেজাল্ট করে আসছে। শ্রেণীকক্ষের সঙ্কট দুর করতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা স্কুলে বহুতল বিশিষ্ট ভবন নির্মাণের দাবি জানিয়েছে। স্কুলের অফিস সহকারী মণি মোহন সেন জানান, বর্তমানে স্কুলে ৭০১ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। শ্রেণীকক্ষ রয়েছে ৭ টি। এর মধ্যে ঝড়ে ৩ টি বিধ্বস্ত হয়েছে। ১ কক্ষে শতাধিক শিক্ষার্থীকে পাঠদান করা হচ্ছে। স্কুলের ৭ম শ্রেণীর ছাত্র রক্তিম বাইন বলে, ঝড়ে আমাদের শ্রেণি কক্ষ বিধ্বস্ত হয়েছে। আমাদের ক্লাসে ১৪৪ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এখন কষ্ট করে স্কুলের বারন্দায় ও গাছ তলায় শিক্ষকরা ক্লাস নিচ্ছেন। এতে আমাদেরও কষ্ট হচ্ছে। স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক বলেন, বিধি অনুয়ায়ী একটি ক্লাসে ৬০ জন শিক্ষার্থীকে পাঠদান করলে শিক্ষক শিক্ষার্থী সবার মনোযোগ থাকে। শিক্ষকও শ্রেণী কক্ষটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। কিন্তু আমাদের স্কুলে প্রতি শ্রেণীতেই ২/৩ গুন বেশি শিক্ষার্থীকে পাঠ দান করাতে হচ্ছে। এতে মনোযোগের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নিজ নির্বাচনী এলাকার এ স্কুলটির রেজাল্ট বরাবরই ভালো। এখানে উপজেলার সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। কিন্তু শুরু থেকে ভবন সঙ্কট রয়েছে। ঝড়ে একটি ভবন ভেঙে এ সংকট তীব্র আকার ধারন করেছে। টুঙ্গিপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বলেন, জরুরী ভিত্তিতে ভবনটি মেরামতের জন্য আমি জেলা প্রশাসক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেছি। ওইখান থেকে অর্থ পাওয়া গেলে বিধ্বস্ত ভবনটি মেরামত করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।