পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : মসুলে আইএসের সর্বশেষ ঘাঁটি পুনরুদ্ধারে গতকাল অভিযান শুরু করেছে ইরাকের সরকারি বাহিনী। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরুর আগে শুক্রবার ওই এলাকায় বিমান থেকে লিফলেট ছোড়ে ইরাকের বিমান বাহিনী। এতে স্থানীয় বেসামরিক লোকজনদের ওই এলাকা ত্যাগের নির্দেশনা দেওয়া হয়। তবে মানবাধিকার সংস্থাগুলো পলায়নরত জনসাধারণের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে। ইরাকের সশস্ত্র বাহিনীর বিবৃতির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
এদিকে মসুলে গত মার্চে মার্কিন বিমান হামলায় অন্তত ১০৫ বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন। ২০১৪ সালে ইরাকে মার্কিন বাহিনীর অভিযান শুরুর পর থেকে এটাই ছিল এক হামলায় সর্বোচ্চ সংখ্যক বেসামরিক মানুষ নিহতের ঘটনা।
চলতি বছরের ১৭ মার্চ মার্কিন যুদ্ধবিমান মসুলের পশ্চিমাঞ্চলে আল-জাদিদা এলাকায় একটি কংক্রিটের ভবনে হামলা চালায়। হামলায় ভবনটি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়। ওই হামলার পরপরই আন্তর্জাতিক মহলে তার তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতেই তদন্তের নির্দেশ দেয় পেন্টাগন।
এক সেনা বিবৃতিতে জানা গেছে, ওই ভবনটি ধসে পড়ার ফলে সেখানে উপস্থিত ১০১ বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়। বিস্ফোরণের প্রচন্ডতা এতো বেশি ছিল যে, ওই ভবনের নিকটবর্তী একটি বাড়িও ধসে পড়ে। এতে চারজন নিহত হন।
তদন্ত কমিটির প্রধান মেজর জেনারেল জো মার্টিন বলেন, ‘আমরা নিহতদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। বেসামরিকদের সুরক্ষার জন্য মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট সর্বোচ্চ চেষ্টা করে থাকে। তবে বেসামরিকরা সবচেয়ে সুরক্ষিত থাকবেন আইএসের পতনের মাধ্যমে।’
ওই তদন্তের বরাত দিয়ে পেন্টাগন বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, মার্কিন যুদ্ধবিমান থেকে নিক্ষিপ্ত ৫০০ পাউন্ড ওজনের জিবিইউ-৩৮ বোমা ভবনটির ওপর আঘাত হানার পর জঙ্গি সংগঠন আইএসেরর পক্ষ থেকে পুঁতে রাখা শক্তিশালী বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। ফলে ভবনটি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়।
পেন্টাগনের তদন্তে কমিটির সদস্য মার্কিন বিমান বাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ম্যাথিউ সি. ইসলার বলেছেন, এখনো ওই ভবনের ৩৬ অধিবাসী নিখোঁজ রয়েছেন। তিনি দাবি করেন, ভবনটিতে এতো বেশি বেসামরিক মানুষের উপস্থিতি কিংবা আইএস জঙ্গিদের পুঁতে রাখা বোমার কথা মার্কিন বাহিনীর জানা ছিল না।
ইরাকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট এখনও পর্যন্ত অন্তত ১২ হাজার ৭৫৫টি বিমান হামলা চালিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ গ্রহণের পর বেসামরিক নিহতের হার আরও বেড়েছে বলে ওই তদন্ত প্রতিবেদনে জানা যায়। অন্তত এক হাজার বেসামরিক মানুষ বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন। একইভাবে রুশ বিমান হামলায় বিপুল পরিমাণ বেসামরিক মানুষ নিহতের ঘটনা সামনে এসেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।