Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

পুলিশ সুপারের ক্র্যাশ প্রোগ্রাম সফল মূলোৎপাটনে চলবে আরো ১০১ দিন

যশোর জেলায় মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবিরোধী অভিযান

| প্রকাশের সময় : ২৫ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম


বিশেষ সংবাদদাতা, যশোর থেকে : যশোর পুলিশ সুপার মোঃ আনিসুর রহমান বিপিএম, পিপিএম (বার) ঘোষিত মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গি বিরোধী ১শ’ দিনের ক্র্যাশ প্রোগ্রাম সফল হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে প্রায় ২৫ কোটি টাকার মাদকদ্রব্য। মাদক বিক্রেতা আটক হয়েছে দেড় হাজার। মাদক মামলা হয়েছে সহ¯্রাধিক। এ সময়ে ৩জন মাদক স¤্রাট বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। অস্ত্র গোলাবারুদের উদ্ধার হয় ৫০। মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী ও জঙ্গি আত্মসমর্পণ করেছে প্রায় ৯শ’। পুলিশ সুপার গত মঙ্গলবার যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য দিয়ে ঘোষিত ১শ’ দিনের ক্র্যাশ প্রোগ্রাম সফল দাবি করে বলেন, নির্মূলে আরো ১শ’ ১ দিনের ‘এসড্রাইভ’ ও ‘ডোর টু ডোর’ প্রোগ্রাম নেয়া হয়েছে। তিনি জানান,  ১৪ জন চিহ্নিত মাদক স¤্রাটের ছবিসম্বলিত পোস্টার বিলি করা হয়েছে। তাদের ধরিয়ে দিতে ঘোষণা করা হয়েছে পুরস্কার।
পুলিশ সুপার মোঃ আনিসুর রহমান জানান, গত ১০ ফেব্রæয়ারি অভিযান শুরু হয়। চলে ২১মে পর্যন্ত। যশোরের ৮টি পৌরসভা ও ৯৩টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩০টি ইউনিয়নে অভিযান চলে এবং মাদকমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এবার দ্বিতীয়পর্যায়ে জেলার ৬৩ ইউনিয়নে টার্গেট নেয়া হয়েছে। ঈমানী দায়িত্ব হিসেবে যশোরকে মাদক সন্ত্রাস জঙ্গিমুক্ত করতে তিনি নিজ উদ্যোগে এই বিশেষ কর্মসূচী হাতে নেন। এক্ষেত্রে প্রেসার গ্রæপ হিসেবে কাজ করেছেন সাংবাদিকরা। তিনি আবারো সাংবাদিকদের লেনির মাধ্যমে গণসচেতনতা সৃষ্টি এবং রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে সভা-সমাবেশে মাদক সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী বক্তব্য রাখার আহবান জানিয়েছেন। একইসঙ্গে সকল স্কুল, মাদরাসা, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে সচিত্র প্রতিবেদন প্রচার অব্যাহত রাখা হবে বলে তিনি ঘোষণা দেন। এসপি আনিসুর রহমান আরো বলেন, দেশ ও জাতির শত্রæ যারা, তারা যারাই হোক বিন্দুমাত্র আপোসের সুযোগ নেই।
তিনি যশোরের মাটি থেকে মাদক, অপরাধ, জঙ্গি সন্ত্রাসীর আস্তানা মুলোৎপাটনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি সাংবাদিকদের জানান, আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর যশোরের ইতিহাসে সর্বপ্রথম মাদক স¤্রাজ্ঞী জায়েদা ও বেবিসহ বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর আস্তানা গুড়িয়ে দিয়ে সেখানে গাছ লাগিয়েছি। ইতিপুর্বের কোন অভিযানেই যা সম্ভব হয়নি। অনেক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিয়েছি। জিরো টলারেন্সে কাজ করছি। যাতে পুলিশের ওপর জনগণের আরো আস্থা বাড়ে। আমি কাজ করছি গোটা যশোর জেলকে মাদকমুক্ত করতে। এক্ষেত্রে যশোর হবে মডেল। সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহীদ মো. আবু সরোয়ার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) সালাউদ্দীন শিকদার, কোতয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আজমল হুদা ও ডিআইওয়ান তাহেরুল ইসলাম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মাদক

২২ অক্টোবর, ২০২২
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ