পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছেন,বনানীর দ্য রেইনট্রি হোটেলে দুই তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনা তদন্তাধীন। মামলার তদন্ত চলছে।তবে প্রাথমিকভাবে এটুকু বলতে পারি ‘সেক্সুয়াল ইন্টারকোর্স’হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বাকি কথা বলা যাবে। গতকাল ডিবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা বলেন।
মনিরুল ইসলাম বলেন,কেবল আসামি ধরা পড়লো। এখনই সব বলা যাচ্ছে না। তবে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। তিনি জানান,বনানীতে ধর্ষণ মামলার বাদী ও তার বান্ধবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আসামিদের কাছে যা পাচ্ছি তা তাদের কথার সঙ্গে মিলিয়ে নিচ্ছি। হোটেলের অন্যান্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মেইন আসামিকে কেবল ধরা হয়েছে।
ধর্ষণের ঘটনার সময় যে ভিডিও ধারণ করা হয়েছে তা উদ্ধার করা যায়নি বলে জানান মনিরুল। তিনি বলেন,ভিডিও রিকভার করতে পারিনি। জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত আছে। রিমান্ড শেষ পর্যায়ে। একজনের (সাদমান সাকিফ)রিমান্ড আজ শেষ হবে। তাকে আবারও রিমান্ড চাওয়া হবে। তদন্তের প্রাথমিক দিকে আছি।
তিনি আরও বলেন, আসামিদের বক্তব্য পারস্পারিকভাবে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ, বাস্তবের সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ সেগুলো মিলিয়ে দেখা হবে।
ভিকটিমরা অস্ত্রের মুখে ধর্ষণের শিকার হয়েছে দাবি করেছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় বলেন, এসব প্রশ্ন আমাদের মাথায় আছে। মনিরুল ইসলাম এসময় আবারও বলেন,এ ধরনের কিছু হয়েছিল কিনা সবকয়টি তথ্যই আমরা বিবেচনায় রেখে তদন্ত করছি। আপনাদের মনে যে প্রশ্ন সেটি বুঝেছি। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসলে বলা যাচ্ছে না।
বনানীর দ্য রেইনট্রি হোটেলে দুই তরুণী ধর্ষণ মামলার আসামি নাঈম আশরাফকে গ্রেফতারের পর মুন্সীগঞ্জ থেকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে আনা হয়। এরপরই এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে পুলিশ। এর আগে বুধবার দিনগত দেড়টার পর তাকে রাজধানীর মিন্টো রোডের গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। ডিবির দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
ডিবির দায়িত্বশীল ওই কর্মকর্তা জানান, নাঈম যার বাসায় আত্মগোপন করেছিল তার নাম মাতবর। তিনি নাঈমের আত্মীয়। নাঈমের প্রকৃত নাম আব্দুল হালিম। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার গান্ধাইল ইউনিয়নে। নিজের নাম পরিবর্তনসহ বিভিন্ন ধরনের প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।