Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বিপুল অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ জেএমবির ২ সদস্য আটক

ঝিনাইদহে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান

| প্রকাশের সময় : ১৭ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম


ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা : ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ধানহাড়িয়া চুয়াডাঙ্গা গ্রামে সন্দেহভাজন দুটি ‘জঙ্গি আস্তানায়’ অভিযান চালিয়ে র‌্যাবের বোমা ডিসপোজাল ইউনিট বিপুল পরিমান বিস্ফোরক ও রাসায়নিক দ্রব্য উদ্ধার করেছে। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে সক্রিয় দুটি সুইসাইডাল ভেস্ট, ৫টি বোমা, ১৮৬টি পিভিসি সার্কিট বোম, ১৮টি নিওজেল, ১টি এন্টি মাইন ও ৪টি বোমা তৈরীর রাসায়নিক কেমিক্যাল ড্রাম। সেলিম ও প্রান্ত নামে নব্য জেএমবি’র ২ সদস্যকে গ্রেফতারের পর তাদের স্কীকারোক্তি মোতাবেক ৫টি স্পটে অভিযান চালিয়ে এ সব উদ্ধার করা হয়। আলো সল্পতার কারণে গতকাল সন্ধ্যায় অভিযান স্থগিত করা হয়। আজ সকাল থেকে আবারো অভিযান শুরু করা হবে বলে ঝিনাইদহ র‌্যাব ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর মনির আহম্মেদ জানান। এর আগে র‌্যাব-৬ এর অধিনায়ক খন্দাকর রফিকুল ইসলাম গতকাল দুপুরে প্রেস ব্রিফিংকালে জানান, ঝিনাইদহ সদরের ধানহাড়িয়া-চুয়াডাঙ্গা গ্রাম থেকে সোমবার রাতে সেলিম ও প্রান্ত নামে ২ নব্য জেএমবি’র সদস্যকে  গ্রেফতার করে র‌্যাব। তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক র‌্যাব গতকাল সকাল ৭টার দিকে চুয়াডাঙ্গা গ্রামের জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে সেলিম ও প্রান্তর বাড়ি দু’টি ঘিরে অভিযান শুরু করে। সকাল ১০টার দিকে খুলনা থেকে র‌্যাবের বোমা নিস্ক্রিয় দলের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করেন। তারা প্রান্ত’র বাড়ির পাশের বাঁশবাগানের নিচে গর্ত খুড়ে দুটি সক্রিয় সুইসাইডাল ভেস্ট উদ্ধার করে অভিযান সমাপ্তি ঘোষণা করেন। বিকালে সেলিমের বাড়ির ৫টি স্পটে অভিযান চালিয়ে ১৮৬টি পিভিসি সার্কিট বোমা, ১৮টি নিওজেল, ১টি এন্টি মাইন ও ৪টি বোমা তৈরীর রাসায়নিক কেমিক্যাল ড্রাম উদ্ধার করে। এ অভিযানকালে দুপুর ২টার দিকে সেলিমের বাড়ির পাশের গর্ত খুড়ে ৪টি সক্রিয়া বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। র‌্যাবের এএসপি আবুল কালাম আজাদ জানান, মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে খুলনা থেকে আসা র‌্যাবের বোমা ডিসপোজাল ইউনিট অভিযান শুরু করে। ঝিনাইদহ কোম্পানি কমান্ডার মেজর মনির আহমেদ জানান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে তারা মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে সেলিম ও প্রান্ত নামে দুই ব্যক্তির বাড়ি ঘিরে রাখে। দুপুর পর্যন্ত দুইটি বাড়িতে অভিযান শেষ করা হয়। এই নিয়ে ঝিনাইদহের বিভিন্ন উপজেলায় চারটি জঙ্গি আস্তানায় অভিযান পরিচালিত হয়। গত ৭ মে মহেশপুর উপজেলার বজরাপুর গ্রামে জঙ্গি অভিযানে নিহত হয় তুহিন ও আব্দুল্লাহ। মঙ্গলবার যে বাড়িতে অভিযান চলানো হয় সেটি জঙ্গি তুহীনের ভাই সেলিম ও তার চাচাতো ভাই প্রান্তর । র‌্যাব-৬ এর অধিনায়ক ও অতিরিক্ত ডিআইজি খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, মহেশপুরের বজরাপুরে তুহিন নামের এক জঙ্গি নিহত হয়। তার স্বজন ও সহযোগীদের অনুসরণ করছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের কাছে তুহিনের রেখে যাওয়া কিছু বিস্ফোরক থাকতে পারে। এ সন্দেহ থেকে তুহিনের বাড়িটি ঘিরে রাখা হয়। উল্লেখ্য গত ৭ মে মহেশপুর উপজেলার বজরাপুর, সদর উপজেলার লেবুতলা ও ২১ এপ্রিল ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটি গ্রামের ঠনঠনিপাড়ার ‘জঙ্গি’ আব্দুল্লাহ ওরফে প্রভাত ওরফে বেড়ের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এর মধ্যে বজরাপুর ও লেবুতলায় পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটি ও গতকাল র‌্যাব  এ অভিযান পরিচালনা করে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জেএমবি

১৭ আগস্ট, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ