পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কক্সবাজার অফিস : চকরিয়ায় এক মাদরাসা ছাত্রীকে অপহরণ ও জোর করে হিন্দু বানিয়ে ৮ মাস ধরে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে কাঞ্চন নামের এক হিন্দু যুবকের বিরুদ্ধে। এলাকায় ধর্ষক কাঞ্চনের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে তোলপাড় চললেও এখনো গ্রেপ্তার হয়নি ধর্ষক কাঞ্চন।
জানা গেছে, কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার ফাশিয়াখালী ইউনিয়নের ঘুনিয়ার বাসিন্দা মাদরাসা ছাত্রী সুমি আক্তার (১৭) কে মুসলিম পরিচয়ে প্রেমের সম্পর্ক করে জোর করে তুলে নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে হিন্দু সাজিয়ে ৮ মাস ধরে ধর্ষণ করেছে হিন্দু ধর্মাবলম্বী যুবক কাঞ্চন (২৮)। এই লম্পটের শাস্তির দাাবতে এলাকায় তোলপাড় চললেও এ বিষয়ে স্থানীয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কোন মাথা ব্যথা আছে বলে জানা যায়নি। এখনো গ্রেপ্তার হয়নি সেই লম্পট হিন্দু যুবক কাঞ্চন।
কক্সবাজারের খুরুস্কুল হিন্দুপাড়ার ছেলে কাঞ্চন চাকরি করে চকরিয়ার লাভা ভিডিও এন্ড মিক্সার সেন্টার নামক দোকানে। বিয়ের অনুষ্ঠান ভিডিও করতে যাওয়ার সুবাদে পরিচয় হয় চকরিয়া ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ঘুনিয়ার দিগর পানখালী দারুল উলুম মহিলা মাদরাসার ছাত্রী সুমি আক্তারের সাথে। নিজেকে মুসলিম পরিচয় দিয়ে প্রায় ফোনে কথা বলত কাঞ্চন সুমির সাথে। একদিন দেখা করার নাম করে কাঞ্চন সুমিকে ঘর থেকে বের করে জোর করে সিএনজিতে তুলে নিয়ে অজ্ঞাতনামা স্থানে নিয়ে যায়।
এদিকে মেয়েকে না পেয়ে সুমির বাবা বিভিন্ন স্থানে খুঁজতে খুঁজতে দিশেহারা হয়ে পড়েন। ঘটনার প্রায় আট মাস পর সুমির এক নিকটাত্মীয় সন্দেহপ্রবণ হয়ে কাঞ্চনকে ফোন করে একটা বিয়ের অনুষ্ঠানে ভিডিও ভাড়া নেওয়ার নাম করে চকরিয়া সওদাগর ঘোনা নামক স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে কাঞ্চনের ওপর চাপ সৃষ্টি করলে সে স্বীকার করে সুমি তার কাছেই আছে। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক সুমি আক্তারকে উদ্ধার করে নিয়ে আসলে বের হয় লোমহর্ষক কাহিনী। লম্পট কাঞ্চন সুমিকে জোর করে হিন্দু বানিয়ে নাম দেয় সুমি দে। সুমির ইচ্ছার বিরুদ্ধে মাথায় সিঁদুর, কপালে টিপ পরিয়ে নির্জন এক রুমে আটকে রেখে মাসের পর মাস ধর্ষণ করে লম্পট কাঞ্চন।
উদ্ধার হওয়া সুমি তার মাকে বলে, ‘মা আমি হিন্দু হতে চাই না, ওরা আমাকে জোর করে হিন্দু বানাতে চেয়েছিল’।
ওদিকে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ফাশিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী জানান, তিনি এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন। অভিযুক্ত ধর্ষক হিন্দু যুবক কাঞ্চন খুবই খারাপ ছেলে। এর আগেও একবার তাকে জেলে দেয়া হয়েছিল। বিষয়টি তিনি সিরিয়াসলি নিয়েছেন জানিয়ে গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী জানান, অবশ্যই তার শাস্তি হবে। তবে সে পলাতক থাকায় তাকে পাওয়া যায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।