পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব রিপোর্ট : দৈনিক ইনকিলাবে সাম্প্রতিক ছাঁটাই ও পদত্যাগকে ঘিরে যে পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে তাতে পত্রিকার সকল ব্যুরো ও আঞ্চলিক প্রধানগণ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। গতকাল শনিবার এক যুক্ত বিবৃতিতে তারা বলেছেন, অতীতেও বিভিন্ন সময় নানা অজুহাতে ইনকিলাবকে স্তব্ধ করার ষড়যন্ত্র হয়েছে। কিন্তু ইনকিলাব সম্পাদক এ. এম. এম. বাহাউদ্দীনের অনমনীয় দৃঢ়তা, দূরদর্শিতা, বিচক্ষণ পদক্ষেপ এবং সেই সাথে ইনকিলাবে কর্মরত সাংবাদিক, কর্মকর্তা, কর্মচারীগণের ইস্পাত কঠিন ঐক্যবদ্ধ অবস্থান, পত্রিকার অগণিত পাঠকের অকুণ্ঠ সমর্থন, বাংলাদেশ ভূখন্ডে শায়িত অগণিত আউলিয়া পীর-দরবেশ, ওলামা-মাশায়েখের দোয়ার বরকতে সকল ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে আজও ইনকিলাব ‘শুধু দেশ ও জনগণের পক্ষে’ কথা বলছে। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস ইনকিলাব সবসময় ইসলামী মূল্যবোধ, বাংলাদেশের আপামর জনগণ এবং স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের হৃদয়ের কথাই বলে যাবে।
ইনকিলাবে সম্প্রতি যে সংকটের সৃষ্টি হয়েছে, তা নিয়মতান্ত্রিকভাবে নিরসনের পরিবর্তে কোন কোন বিশেষ স্বার্থান্বেষী মহল পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে ইনকিলাবকে স্তব্ধ বা বন্ধের ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে বলে আমাদের কাছে প্রতীয়মান হচ্ছে, যা কোনো অবস্থাতেই বরদাশত করা হবে না। এটা সকলেই জানেন, যে কোনো প্রতিষ্ঠানেই নিয়োগ, বদলী, চাকরিচ্যুতি, ছাঁটাই, পদত্যাগ নতুন কিছু নয়। এর জন্য যাতে সবার ন্যায্য পাওনা নিশ্চিত করা হয় সে ব্যাপারে রয়েছে প্রচলিত আইনি এবং নিয়মতান্ত্রিক পথ। কিন্তু তা পরিহার করে কেউ যদি ইনকিলাব সম্পাদকের চরিত্রহননমূলক কর্মকান্ডে লিপ্ত হন কিংবা কর্মরত সাংবাদিক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা সৃষ্টি করেন তা অবশ্যই বরদাশত যোগ্য নয় বলে আমরা মনে করি। এ ধরনের হটকারি পন্থা বা অপচেষ্টা কারোই কাম্য হতে পারে না।
কেননা যারা চাকরিচ্যুতির শিকার হয়েছেন বা পদত্যাগ করেছেন তাদের সাথে সমব্যাথী আমরাও। তাই তাদের ন্যায্য পাওনা আলাপ-আলোচনা অথবা আইনি ও নিয়মতান্ত্রিক পথে আদায়ের পদক্ষেপ সবসময়ই সমর্থনযোগ্য। তাছাড়া অন্যকিছু নয়।
আমরা মনে করি, মরহুম মাওলানা আলহাজ এম. এ. মান্নান যে মিশন ও ভিশন সামনে রেখে ইনকিলাব প্রতিষ্ঠা করেছেন তারই সুযোগ্য সন্তান এ. এম. এম. বাহাউদ্দীন পেশাগত দক্ষতায় পরিণত এবং দেশপ্রেমের পরীক্ষায় উজ্জীবিত একদল সুদক্ষ সংবাদকর্মীকে সাথে নিয়ে সেই সুনির্দিষ্ট লক্ষেই পত্রিকাটি পরিচালনা অব্যাহত রেখেছেন।
কাজেই ইসলামী মূল্যবোধের পাশাপাশি দেশের সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী সকল মত ও পথের সর্বস্তরের মানুষ বরাবরের মতো এবারও দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক এবং এর সাংবাদিক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদেও পাশে থাকার জন্য আমরা উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
যৌথ বিবৃতিদাতারা হলেন- চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান ও বিশেষ সংবাদদাতা শফিউল আলম, রাজশাহী ব্যুরো প্রধান ও বিশেষ সংবাদদাতা রেজাউল করিম রাজু, খুলনা ব্যুরো প্রধান ও বিশেষ সংবাদদাতা এটিএম রফিক, যশোর ব্যুরো প্রধান ও বিশেষ সংবাদদাতা মিজানুর রহমান তোতা, বরিশাল ব্যুরো প্রধান ও বিশেষ সংবাদদাতা নাছিম উল আলম, নোয়াখালী ব্যুরো প্রধান আনোয়ারুল হক আনোয়ার, দিনাজপুরের আঞ্চলিক প্রধান মাহফুজুল হক আনার, বগুড়া অফিসের আঞ্চলিক প্রধান মহসিন আলী রাজু, কক্সবাজারের আঞ্চলিক প্রধান শামসুল হক শারেক, ময়মনসিংহের আঞ্চলিক প্রধান শামসুল আলম খান, চট্টগ্রাম ব্যুরোর সিনিয়র রিপোর্টার রফিকুল ইসলাম সেলিম স্পোর্টস রিপোর্টার তাপস বড়ুয়া রুমু ও স্টাফ রিপোর্টার আইয়ুব আলী, খুলনা অফিসের স্টাফ রিপোর্টার আবু হেনা মুক্তি. যশোর অফিসের স্টাফ রিপোর্টার রেবা রহমান, বেনাপোল অফিসের স্টাফ রিপোর্টার মহসিন মিলন, বগুড়ার স্টাফ রিপোর্টার মাহফুজ মন্ডল প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।