পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বেইজিংয়ে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ ফোরামের সম্মেলন শুরু আজ
ইনকিলাব ডেস্ক : বিশ্বে চীনের ভাবমর্যাদা ফেরাতে এবার বিভিন্ন দেশের পরিকাঠামোসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের উন্নয়নে মুক্তহস্তে বিনিয়োগ করতে চান প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সেই লক্ষ্যেই আজ (রোববার) চীন সরকারের আমন্ত্রণে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ ফোরামের সম্মেলনে যোগ দিতে বেইজিংয়ে আসছেন অন্তত ৩০টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান।
চীনের প্রশাসনিক সূত্রের খবর, অন্য দেশগুলোর উন্নয়নমূলক প্রকল্পে ৫০ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে বেইজিংয়ের। মূলত উন্নয়নশীল দেশগুলোর পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্যই গড়ে তোলা হয়েছে ওই ফোরাম। আমেরিকা ও ইউরোপ বিষয়টিকে খুব একটা সুনজরে দেখছে না জেনেও নিজেদের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ফোরামের আর্থিক সহযোগিতা পাওয়ার লক্ষ্যে ১০০টিরও বেশি দেশ ইতোমধ্যেই আবেদন জানিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি নিয়ে চলায় বিশ্বায়নের এক সময়ের প্রবক্তা ওয়াশিংটন অন্য দেশের উন্নয়নে অর্থ বরাদ্দ কাটছাঁট করতে শুরু করেছে। মার্কিন বাজেটে তার প্রতিফলনও ঘটেছে স¤প্রতি। সামনের বছরগুলোতে যে আরও কাটছাঁট হবে, তারও ইঙ্গিত দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর ইউরোপের দেশগুলোর উন্নয়নশীল দেশগুলোর পরিকাঠামোসহ অন্যান্য ক্ষেত্রের হাল ফেরাতে অর্থ বিনিয়োগে অনীহা দেখাতে শুরু করেছে।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এই সুযোগটাই নিতে চাইছে চীন। উন্নয়নশীল দেশগুলোর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বিশ্বে যেমন চীন ও তার নিজের অন্য ভাবমর্যাদা গড়ে তুলতে চাইছেন, তেমনই চীনের নাগরিকদেরও তিনি বোঝাতে চাইছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তার জনপ্রিয়তা কতটা।
চায়না রিসার্চ ফর টিএস লোম্বার্ডের কর্মকর্তা, বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞ ট্রে ম্যাকার্ভার বলেছেন, ‘এই নীতি বিশেষ করে এশিয়ার দেশগুলোর আর্থিক ও বাণিজ্যিক স্বাস্থ্যের যথেষ্ট পরিবর্তন আনবে। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ বিষয়টিকে সুনজরে দেখছে না বলে আর ভারত, রাশিয়ার মতো দেশগুলো সহজে এশিয়ার দেশগুলির ওপর চীনকে কর্তৃত্ব করার সুযোগ দিতে চাইবে না বলে চীনা প্রেসিডেন্টের উদ্যোগ সত্যি-সত্যিই কতটা সফল হবে, তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্যদিয়ে ৫ হাজার কোটি ডলারে অর্থনৈতিক করিডোর গড়ে তোলা, জিবোতিতে একটি বন্দর নির্মাণ আর মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে তেলের পাইপলাইন বসানোর যে পরিকল্পনা রয়েছে চীনের, অন্য বড় দেশগুলোর বাধায় তা আটকে যায় কিনা, সেটাও দেখতে হবে।’ সূত্র : ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।