পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুসলমানদের মধ্যে বিভক্তির অবসান ঘটিয়ে সংঘাত বন্ধে গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, মুসলিমদের মধ্যে যে বিভক্তি শিয়া, সুন্নি বা বিভিন্ন গ্রæপে যে যুদ্ধ হচ্ছে এটা বন্ধ করতে হবে।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সৌদি আরব পার্লামেন্টের মজিলিসে সুরার স্পিকার আবদুল্লাহ বিন মোহাম্মদ বিন ইব্রাহিম আলি-আল-শেখের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সৌজন্য সাক্ষাতের সময় একথা বলেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ কালে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃতি করে তাঁর প্রেস সচিব জানিয়েছেন, শেখ হাসিনা বলেছেন,আমরা নিজেরা নিজেরা যুদ্ধ করছি। এর মধ্যে লাভবান হচ্ছে অস্ত্র ব্যবসায়ীরা। এটা বন্ধ করতে হবে এবং নিজেদের মধ্যে বসে এটা আলোচনা করতে হবে যে, সমস্যা কি ও এর সমাধান বের করতে হবে, নিজেদের মধ্যে সংঘাতের কারণে মুসলমানরা অন্য দেশে শরণার্থী হচ্ছে এবং এটা মুসলমানদের জন্য লজ্জা ।
প্রেস সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, শেষ বিচার করবেন আল্লাহ, তাহলে এই বিভেদ কেন? শিয়া, সুন্নী। এই বিভেদগুলো বন্ধ করতে হবে।
ধর্মের নামে আত্মঘাতী হামলা চালানোর সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, এর ফলে মুসলমানদের বদনাম হচ্ছে।
এসময় ইসলামের সত্যিকারের মর্মবাণী বোঝানোর ক্ষেত্রে ওলামাদের ভূমিকা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন সৌদি স্পিকার।
সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রীকে সৌদির বাদশাহর শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন সে দেশের স্পিকার।
তিনি বলেন, তার নিজের সফর এবং প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন সফরে বাংলাদেশ-সৌদি আরব সম্পর্ক আরো গভীর হবে বলে তিনি মনে করেন।
স্পিকার আবদুল্লাহ আরো বলেন, বাদশাহ তাকে বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সৌদির সম্পর্ক আরো শক্তিশালী হবে এবং প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন সফরের মাধ্যমে আরো সুদৃঢ় হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সফরকালে সৌদি আরবে অনুষ্ঠেয় একটি সম্মেলনে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ।
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে আগামী ২১ মে ‘অ্যারাবিক ইসলামিক আমেরিকান হিস্টোরিকাল সামিট’ শিরোনামে এই সম্মেলন হবে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ছাড়াও বিভিন্ন মুসলিম দেশের সরকার ও রাষ্ট্রট্র্রধানরা এই সম্মেলনে যোগ দেবেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীও আসন্ন সম্মেলনে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।