দেশে দেশে রোজার উৎসব
মাহে রমজান আরবী নবম মাসের নাম। চাঁদের আবর্তন দ্বারা যে এক বৎসর গণনা করা হয়,
উত্তর : শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বব্যাপী মুসলমান নির্যাতীত,নিপীড়িত,মুসলমান মার খাচ্ছে । কোন দেশেই ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারছেনা । অতীতের দৃষ্টান্ত টানবোনা। পনেরোশত বছর পূর্বে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) যে জামাত প্রতিষ্ঠা করেছেন,তার ইন্তেকালের পরেই তার ফাটল সৃষ্টি হয়। যার কারণে হযরত ওসমান (রাঃ) গুপ্তঘাতকদের হাতে শহিদ হন। পরবর্তীতে হযরত আলী (রাঃ) অবস্থা ও তদ্রুপ ঘটে। শুরু হয়ে যায় শিয়া-সুন্নীর সংঘাত।
তারপর শুরু হয় মুসলমানদের সাথে কারবালার যুদ্ধ। সে ভূবনবিজয়ী,তাওহীদবাদী মুসলমানদের অস্তিত্ব আজ ও টিকে আছে। আজ ও বিশ্বজুড়ে মসজিদে মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময় আল্লাহু আকবারের ধ্বনি উঠে। হ্যা! এত কিছুর পরে ও ইসলাম এই বিশ্বের বুকে টিকে আছে, ইনশাআল্লাহ! কিয়ামত পর্যন্ত থাকবে। শুধু মাঝে মাঝে ইহুদী ও মুশরিকরা মুসলিমদের উপর অত্যাচার ও অবিচার করে। এমন ও শুনতে পেয়েছি ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী সৈন্যরা মসজিদে প্রবেশ করে নামাজরত ও কোরআন তেলাওয়াতরত অবস্থায় মুসলমানদেরকে হত্যা করেছে। এবং দীর্ঘকাল ধরে বর্বর ইসরাইলিরা নিরীহ নিরস্ত্র ফিলিস্তিনী মুসলমানদের উপর অমানুষিক নির্যাতন করছে। এভাবে মুসলমানদের উপর একের পর এক নির্যাতন করছে। পৃথিবীতে এখনো ইসলাম ও মুসলমান ঠিকই আছে। কিন্তু দুঃখজনক হলো মুসলমান আজ দলে দলে বিভক্ত। সিয়া,সুন্নী ,আহলে হাদীস,আহলে সুন্নাত আরো কত কি নামে তারা অভিহিত । তারপরে ও আবার মৌলবাদী, প্রগতিবাদী শ্রেণি বিভাগ রয়েছে। অথচ,মুসলমানদের আল্লাহ এক , কোরআন এক , এক নবীর উম্মত । তাহলে এত রকমের মুসলমান আসে কোথেকে ? কোরআনে পাকে আল্লাহ তায়ালা বলেন, “তোমদেরকে কিতাব দিয়েছি শক্ত করিয়া ধর এবং তাহাতে যাহা আছে মনে রাখ। তবেই, তোমরা রক্ষা পাইবে।” (সুরা বাকারা-৬৩)
এই জাতের মুসলমান নিজেদেরকে মুসলিম বলে পরিচয় দেয় কেন? যাদের আল্লাহর কিতাবের উপর আস্থা নেই, তারা মুসলিম নয়। শুধুমাত্র যারা মুখে বলে এবং মনে প্রাণে দৃড় বিশ্বাস করে কালেমায় তাইয়েবাহ এর প্রতি, কেবলমাত্র তারাই মুসলমান । আর মুসলমান তার অতীত গৌরব, শৌর্য বীর্য হারিয়েছে। এর কারণ, তারা ইসলামের সত্য সঠিক পথ থেকে দুরে সরে গেছে। তাদের মধ্যে জাতীয়তাবোধ নেই,ঐক্য নেই। তারা বিধর্মীদের অনুস্বরণ অনুকরণ করছে। বিধর্মীরা মুসলমানদের চির শত্রু.এতে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই।
কোরআনে পাকে আল্লাহ তায়ালা বলেন,“তোমরা পরিপূর্ণভাবে দ্বীন ইসলামে প্রবেশ কর। এবং সয়তানের অনুস্বরণ করিওনা। নিশ্চই সে তোমাদের শত্রু” ( সুরা বাকারা-২০৮)
আল্লাহ তার বান্দাদেরকে সয়তান থেকে সাবধান করেছেন । কিন্তু মানুষ আল্লাহর নির্দেশ উপেক্ষা করে সয়তানের পথে চলছে। অর্থ্যাৎ,সয়তানের সাগরেদ ইহুদী,নাসারা ও মুশরিকদের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তুলছে।যারা দ্বীনদার মুসলমানদের সহ্য করতে পারে না। মৌলবাদী, ফতোয়াবাজ বলে গালি দিচ্ছে । তার পরে ও তাদের কে বন্ধু ভাবা হচ্ছে । আল্লাহর ঘোষিত মুসলিম বিরোধী ইহুদী নাসারা কেমন করে মুসলমানদের বন্ধু হয়? তারা যদি বন্ধু বেশে আসে মনে করতে হবে ছদ্ধবেশ। পরিশেষে বলব, বিশ^জুড়ে আজ একটিই আওয়াজ মুসলিম নির্যাতীত,নিপিড়ীত,মুসলিমরা মার খাচ্ছে , মুসলিমরা অপমানিত, লাঞ্ছিত, বহুদেশে মুসলমানদের শরাহ-শরীয়ত উঠে যাবার উপক্রম হয়েছে । এ-সব রুকতে হলে দ্বীনদার মুসলমানদেরকে ছোট খাট দন্ধ বাদ দিয়ে সকলকে ঐক্য হতে হবে । নিজেদের মধ্যে খুঁটি নাটি যা মতপার্থক্য তার ফয়সালা নিজেরাই করতে হবে। ইসলাম প্রিয় দ্বীনদার মুসলমানদের কে আল্লাহ তায়ালা একমত ও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার তাওফিক দান করুক আমিন ।
উত্তর দিচ্ছেন : কে,এম,ছালেহ আহমদ বিন জাহেরী
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।