নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : প্রিমিয়ার লিগে একের পর এক পা হড়কালেও ইউরোপা লিগে ঠিক পথেই আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটডে। সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে নিজেদের মাঠে সেল্টা ভিগোর সাথে ১-১ গোলে ড্র করে আসরের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ওল্ড ট্রাফোর্ডের দলটি। প্রথম লেগে সেল্টার মাঠ থেকে ১-০ গোলের জয় নিয়ে ফিরেছিল তারা। ফলে দুই লেগ মিলে ২-১ ব্যবধানে জিতে ফাইনাল নিশ্চিত করে রেড ডেভিলরা। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ডাচ ক্লাব আয়াক্স আর্মস্টারডাম।
ফাইনাল মহারণে বিজয়ী দল সুযোগ পাবে আসছে মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সরাসরি খেলার। ঘরোয়া লিগে শীর্ষ চারে থেকে ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের আসরে সুযোগ পাওয়ার আশা অনেকটাই ফিকে হোসে মরিনহোর ম্যান ইউর। দ্বিতীয় রাস্তা হিসেবে এখন তাদের সামনে ইউরোপা লিগ জয়। আর এই পথে হেঁটেই সেটা নিশ্চিত করতে চায় ইংল্যান্ডের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী দলটি। ম্যাচ শেষে দলের পর্তুগিজ কোচ জানালেন তেমনি, ‘মৌসুমটা খুব কঠিন ছিল, তাই আমরা যদি ইউরোপা লিগ জিততে পারি সেটা হবে অসাধারণ।’ সাবেক রিয়াল ও চেলসি কোচ বলেন, ‘এটা শিরোপা জয়ের একটা সুযোগ তো তৈরী করবেই, সেই সাথে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ফেরারও একটা ভালো সুযোগ এটি।’
গেল ৫ মে প্রথম লেগে প্রতিপক্ষের মাঠের কর্ষ্টাজিত জয়ে ফাইনালের পথে এক ধাপ এগিয়ে গিয়েছিল ম্যান ইউ। নিজেদের মাঠে তাই নুন্যতম ড্র করলেই ফাইনাল নিশ্চিত। সেই লক্ষ্যে খেলতে নেমে চমৎকার শুরু করে তারা। ম্যাচের ১৭ মিনিটেই গোলের স্বাদ পায় ম্যান ইউ। প্রতিপক্ষের ডি-বক্স থেকে মরনে ফেলাইনিকে বল বাড়িয়ে দেন মার্কাস রাশফোর্ড। সুযোগটা সফলভাবে কাজে লাগান বেলজিয়ান মিডফিল্ডার। তার হেড থেকে দেয়া গোলে এগিয়ে যায় ম্যান ইউ। এরপর আক্রমণের ধার আরো বাড়িয়ে দেয় তারা। কিন্তু সেল্টা ভিগোর রক্ষণভাগের দৃঢ়তায় বার বার প্রতিহত হয় স্বাগতিক আক্রমণগুলো। অবশ্য পাল্টা আক্রমণে গোলর সুযোগ বেশি তৈরী করে সেল্টাই। কিন্তু সফলতার মুখ দেখিনি তাদের আক্রমণও। প্রথমার্ধ তাই শেষ হয় ১-০ ব্যবধানেই।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে কখনোই ইউরোপিয়ান আসরের ফাইনালে না খেলা সেল্টা ভিগো। শেষ পর্যন্ত ৮৫তম মিনিটে সফলতার মুখ দেখে তাদের আক্রমণ। থিও বনগন্ডার ক্রস হেডের মাধ্যমে গোল পরিশোধ করেন ফাকুন্ডো রনকাগলিয়া। ম্যাচেও ফিরে আসে টান-টান উত্তেজনা। দুই মিনিট বাদেই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে মাথা গরম করার ফল হিসেবে সেল্টার গোলদাতা রনকাগলিয়া ও ম্যান ইউ’র এরিক বেইলিকে লাল কার্ড পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয়। এতে ৮৮তম মিনিটে দু’দলই পরিণত হয় ১০ জনের দলে। তবে শেষ পর্যন্ত আর গোল করতে পারেনি কোন দলই। ফলে ঘরের মাঠে ১-১ গোলে ড্র করেও ফাইনালের আনন্দে মাতে ম্যান ইউ। এখন তাদের অপেক্ষা আগামী ২৪ মে স্টকহোমের ফাইনালের।
সেমিফাইনালের অন্য ম্যাচে লিঁও’র কাছে ৩-১ গোলে হেরেও ফাইনালের টিকি পায় আয়াক্স। প্রথম লেগে নিজেদের মাঠে ৪-১ গোলের জয়-ই এক্ষেত্রে বড় নিয়ামক হয়ে দাঁড়ায়। দুই লেগ মিলে ৫-৪ গোলে জিতে ফাইনাল নিশ্চিত করে আয়াক্স। -বাসস
একনজরে ফল
ম্যান ইউ ১ : ১ সেল্টা ভিগো
দুই লেগ মিলে ২ : ১ ব্যবধানে জয়ী ম্যান ইউ
লিঁও ৩ : ১ আয়াক্স
দুই লেগ মিলে ৫ : ৪ ব্যবধানে জয়ী আয়াক্স
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।