Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সাফাতের বাড়িতে পুলিশের অভিযান

বনানী থানার ধর্ষণ মামলাটি ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে

| প্রকাশের সময় : ১০ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম


বিশেষ সংবাদদাতা : বনানী থানার দুই তরুণীর ধর্ষণ মামলাটির তদন্তভার ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে হস্তান্তর করা হয়েছে। ডিএমপি কমিশনার এক আদেশ বলে গতকাল মঙ্গলবার মামলাটির দায়িত্বভার বনানী থানা থেকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে হস্তান্তর করেন। এদিকে, মামলার আসামী সাফাত আহমেদকে গ্রেফতারে গতকাল পুলিশ তা;ের গুলশানের বাসায় অভিযান চালিয়েছে। তবে সাফাতকে পায়নি পুলিশ। সাফাতের বাবা আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ জানান, তার ছেলে সোমবার বাসা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর আর কোনো যোগাযোগ করেনি। পুলিশ সাফাতের পাসপোর্টের খোঁজ করেও পায়নি।  
বনানী থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আব্দুল মতিন জানান, দুই তরুণীর মামলাটি (মামলা নম্বর-৮) ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে স্থানান্তর করা হয়েছে। মামলার সকল কাগজপত্র তৈরি রয়েছে। নতুন তদন্ত কর্মকর্তা এলেই তাকে সব বুঝিয়ে দেওয়া হবে। অন্যদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার অন্যতম আসামি আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদকে বাড়িতে খুঁজে পায়নি পুলিশ। এমনকি তার পাসপোর্টটিও বাসায় মেলেনি। গতকাল মঙ্গলবার অভিযান শেষে বনানী থানার দুজন এসআই বাসাটি থেকে বের হয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের এসব কথা জানান। বেলা ১১টা ২৫ মিনিটে গুলশান-২ এর ৬২ নম্বর রোডের ‹আপন ঘর› নামের ডুপ্লেক্স বাড়িতে বনানী থানার এসআই রিপন কুমার ও এসআই মিল্টন দত্তের নেতৃত্বে ছয় জন পুলিশ ঢুকে তল্লাশি চালায়। দেড় ঘণ্টাব্যাপী এই অভিযান শেষে দুপুর একটায় তারা বাসা থেকে বের হয়ে আসেন। সাফাতের বাবা দিলদার আহমেদ জানান, সাফাতের নানা বাড়ি সিলেটেও ডিবি পুলিশ গতকাল (মঙ্গলবার) অভিযান চালিয়েছে। তিনি বলেন,  সে বাসায় নেই। গতকাল ( সোমবার) সকালে সে বের হয়েছে। এখন সে কোথায় আছে আমি জানি না। পুলিশ আমার বাসায় তল্লাশি চারিয়ে তাকে পায়নি। এদিকে, অভিযুক্ত সাফাত আহমেদের বাসা থেকে বের হয়ে এসে এসআই রিপন কুমার সাংবাদিকদের জানান, বাসায় সাফাতকে পাওয়া যায়নি। তার পাসপোর্টটিও বাসায় খুঁজে পাওয়া যায়নি।এ অভিযান শেষে দুপুর দেড়টার দিকে সাফাতের বাবা দিলদার আহমেদ তার বাসা থেকে বের হওয়ার সময় গণমাধ্যম কর্মীরা তার মুখোমুখি হয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি শুধু বলেন, আমার ছেলে বø্যাকমেইলের শিকার। এরপর সাংবাদিকদের আর কোনও প্রশ্ন করার সুযোগ না দিয়ে তিনি দ্রæত গাড়ি নিয়ে বের হয়ে যান।
উল্লেখ্য, রাজধানীর বনানীর দ্য রেইন ট্রি হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে  অস্ত্রের মুখে রেখে ও জোর করে মদপান করিয়ে দুই তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে বনানী থানায় মামলা করা হয়। তিন তরুণসহ মোট ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা (মামলা নম্বর-৮) করেছেন বেসরকারী বিশ্বদ্যিালয়ের দুই শিক্ষার্থী। মামলার ৫ আসামি হলো, সাফাত আহমেদ (২৬), নাঈম আশরাফ (৩০), সাদমান সাকিফ (২৪), গাড়ি চালক বিল্লাল (২৬) ও সাফাতের দেহরক্ষী (অজ্ঞাতনামা)। ঘটনার ৪০ দিন পর এ মামলা করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ধর্ষণ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ