পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : ইসলামিক স্টেটের (আইএস) কবল থেকে ইরাকের মসুল শহর পুনরুদ্ধারে ইরাকি বাহিনীর অভিযানের মুখে তীব্র যুদ্ধের কারণে শহরটির পশ্চিমাংশ ছেড়ে পালানো বাসিন্দারা বন্যার বাধার মুখে পড়ছেন। কাপড় ও খাবারদাবার থেকে শুরু করে আহত ও মৃত স্বজনদের লাশসহ সবকিছু নিয়ে মসুল ছেড়ে পালাচ্ছে শত শত পরিবার। কিন্তু তাইগ্রিস নদীতে দেখা দেওয়া বন্যার কারণে সামরিক বাহিনী মসুলের দুই পাশকে যুক্ত করা শেষ পন্টুন সেতুটি খুলে ফেলায় নতুন বিপদের মুখে পড়েছে তারা। যুদ্ধের ঝুঁকি থেকে পালিয়ে এসে মাত্র পাঁচ থেকে ছয়জন লোক ধারণ করতে পারে এমন ছোট ও দুর্বল মাছ ধরার নৌকায় করে নদী পার হতে বাধ্য হয়ে নতুন ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে তারা। পশ্চিম মসুল থেকে পালিয়ে আসা এক লোক তার নিহত স্ত্রীর লাশ একটি আবরণে মুড়ে ছোট একটি নৌকায় তুলে নৌকাটি ধরে রাখেন, আর অপর এক লোক তার তিন সন্তানকে সাবধানে নৌকায় তুলে নেয়। দুই কিশোরী ও এক বালক ওই ভাইবোন নৌকাটির ভারসাম্য যেন নষ্ট না হয় এমন সতর্ক হয়ে বসেছিল। তারা নদীর পূর্বপাড়ে যাচ্ছে মাকে কবর দিবে বলে, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন। গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের মদতপুষ্ট ইরাকি বাহিনী আইএসের কবল থেকে পশ্চিম মসুলের মুশরেফা এলাকাটি পুনরুদ্ধার করে। এই এলাকার অনেক বাসিন্দাই তুলনামূলকভাবে নিরাপদ পূর্ব মসুলে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছে। বন্যার কারণে টাইগ্রিস নদীর পূর্ব ও পশ্চিম তীরের অনেক নদী পারাপারের ঘাট ভেসে গেছে এবং সামরিক বাহিনী বাধ্য হয়েছে অস্থায়ীভাবে তৈরি সেতুগুলো খুলে নিতে। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে সেনাবাহিনীও বেসামরিক মালামাল নেওয়ার জন্যও ওইসব ছোট ছোট নৌকা ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছে। পন্টুন সেতু খুলে ফেলার সময় সেনাবাহিনী নদী পারাপারের জন্য একটি স্টিমবোট আনার পরিকল্পনা করেছিল, কিন্তু গ্যাসের অভাবে সেটি চালু করা সম্ভব হয়নি। রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।