Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অকুপেশনাল থেরাপি : তীব্র ব্যথায় কার্যকরী চিকিৎসা

| প্রকাশের সময় : ৫ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্যে তীব্র ব্যথা একটি প্রধান সমস্যা। আর এটি এমন একটি সমস্যা যাতে কম বেশি সবাই ভোগেন, পারিবারিক কিংবা সামাজিক জীবনকে পুরোপুরি ভোগায়। আমেরিকার একটি গবেষণায় দেখা যায়, এই তীব্র ব্যথায় ভুক্তোভোগীর চিকিৎসা ব্যয় বাৎসরিকভাবে অনেক বেড়ে যায়। বিপত্তি আসে যখন হার্টের অসুখ, ডায়াবেটিস এবং ক্যান্সারের মত জটিল জটিল রোগে একসাথে আক্রান্ত হয় ব্যক্তি।তীব্র ব্যথা হবার ফলে রোগী অন্যের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে, পারিবারিক এবং পেশাজীবীর ভূমিকা হারিয়ে ফেলেন এবং দৈনন্দিন জীবনের নানা কাজে অংশগ্রহণ কঠিন হয়ে পড়ে। নিদ্রাহীনতা, বিষণœতা, একাকীত্ব, জীবনযাপনের মানহানী এসব কিছুই একজন তীব্র ব্যথায় আক্রান্ত রোগীর মধ্যে দেখা যায়। দিনের পর দিন সাধারণ চিকিৎসা নেবার পরও ব্যথা যখন অসহনীয় এবং অস্বস্তিকর অবস্থায় থাকে তখনই ওহঃবৎফরংপরঢ়ষরহধৎু ধঢ়ঢ়ৎড়ধপয স্বল্প খরচে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে এবং জটিলতা প্রতিরোধ করে।
অকুপেশনাল থেরাপির ভূমিকা :
দীর্ঘ সময় ধরে শরীরে ব্যথা
থাকলে কর্মক্ষমতা এবং কাজ করার নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা কমে যায়। ঝবষভ-সধহধমবসবহঃ ধঢ়ঢ়ৎড়ধপয-এর মাধ্যমে অকুপেশনাল থেরাপিসট রোগীর সামর্থ্য অনুযায়ী উপযুক্ত পন্থায় দৈনিক কাজসমূহে অংশগ্রহণের ব্যপারটি গুরুত্ব দেন। অকুপেশনাল থেরাপি চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে রোগীর কর্মদক্ষতাভিত্তিক সমস্যা ও মূল্যবান কাজ চিহ্নিত করা হয়। তারপর গবেষণা ভিত্তিক থেরাপিউটিক এপ্রোচের মাধ্যমে রোগীর চিকিৎসা প্রয়োগ করা হয়। একটি সমন্বিত ব্যথা নিরাময় ও পুনর্বাসন প্রকল্পে অকুপেশনাল থেরাপি প্রধান ও প্রয়োজনীয় ভূমিকা পালন করে।
চিকিৎসা পদ্ধতি- রোগীরা প্রায় সময়ই ব্যথার কলাকৌশল, ব্যথার ধরণ এবং ব্যথা দূরীকরণে থেরাপি চিকিৎসা গুরুত্ব সম্পর্কে অবহিত থাকেন না। রোগীকে তার ব্যথা সম্পর্কে জানানো, চিকিৎসা পরিকল্পনার প্রত্যাশিত ফলাফল অবহিতকরণ এবং ঝবষভ-সধহধমবসবহঃ ধঢ়ঢ়ৎড়ধপয পদ্ধতিতে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় রোগীকে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের জন্যে প্রস্তুত করা হয়।
চিকিসার লক্ষ্য:
চিকিৎসা পরিকল্পনার মধ্যে রোগীও তার লক্ষ্য পূরণের বিষয়ে জড়িত থাকেন। যখন থেরাপি উন্নতি আসে তখন এই পদ্ধতি রোগীকে প্রণোদনা এবং অংশগ্রহণকে সমর্থন দেয়। প্রশিক্ষণ : ষ চৎড়ধপঃরাব চধরহ ঈড়হঃৎড়ষ : রোগীকে স্বাধীনভাবে এবং সক্রিয়ভাবে ব্যথা প্রতিরোধক গরম বা ঠাÐা ব্যবহারের বিষয়টি শেখানো হয়। ষ ঝধভব ইড়ফু গবপযধহরপং ধহফ ঊৎমড়হড়সরপং : কর্মস্থলে ও অফিস-কারখানায় দৈহিক কাঠামোর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ শারীরিক, মানসিক, চিন্তাগত, সামাজিক ইত্যাদি সমস্যা দূরীকরণের মাধ্যমে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়ে কাজ এবং কর্মস্থলকে উৎপাদনমুখী করে তোলা। ষ ঘবঁৎড়সঁংপঁষধৎ জব-বফঁপধঃরড়হ : দীর্ঘ সময় ধরে অস্বাভাবিক দেহভঙ্গি এবং মুভমেনটের ফলে ব্যথা বেড়ে যায়। অকুপেশনাল থেরাপিসট ধফলঁহপঃরাব সড়ফধষরঃরবং ব্যবহারের মাধ্যমে উপযুক্ত মাংপেশির গ্রæপকে সচল করে নির্দিষ্ট কাজকে ভালভাবে সম্পাদন করতে সহায়তা করেন।
ষ গঁংপষব ঞবহংরড়হ জবফঁপঃরড়হ ঞৎধরহরহম : দেহের ব্যথা মনেও কিছুটা বিরাজ করে। তাই এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ব্যথার তীব্রতা কমে যাওয়ার সময় মাংশপেশি বিশ্রামে আসে এবং মনকে উপদেশ দেয় তার দেহকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্যে। ষ ঈড়সসঁহরপধঃরড়হ ঝশরষষং ঞৎধরহরহম : তীব্র ব্যথা একটি অদৃশ্য প্রতিবন্ধকতা। ইতিবাচক আচরণ ও যোগাযোগ দক্ষতার মাধ্যমে রোগী হতাশা এবং বিরুপ মনোভাব কমিয়ে ফেলতে পারবেন। ষ চৎড়ধপঃরাব চৎড়নষবস ঝড়ষারহম : এই পদ্ধতিতে রোগী যখন সক্রিয়ভাবে সমস্যা সমাধানের বিষয়টি বুঝে যাবে তখন পূর্বের নিষিদ্ধ কাজগুলি আবার শুরু করতে পারবেন। এই পদ্ধতির মধ্যে সম্ভাব্য সমস্যাকে কিভাবে সমাধান করা যাবে তা নিহিত।
ষ চধপরহম অপঃরারঃরবং : অকুপেশনাল থেরাপিসট রোগীর কাজগুলোকে ছোট ছোট ধাপে বিভক্ত করে বিভিন্ন কৌশলের মাধ্যমে কার্যকরী করে তোলেন।
বাসায় ব্যায়াম : এছাড়াও অকুপেশনাল থেরাপিসট রোগীর দৈনন্দিন জীবনযাপনের ধরণ পরিবর্তন, মেডিটেশন অথবা রিলাক্সেশন, ব্যথা নিরাময়ের বিভিন্ন সামগ্রী ব্যবহারের বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকেন যাতে রোগী বাড়িতে মেনে চলতে পারে।
অন্য চিকিৎসকের পরামর্শ :
রোগীর প্রয়োজন ও সমস্যা বুঝে অকুপেশনাল থেরাপিসট অন্য চিকিৎসক কিংবা পেশাজীবীর কাছে রোগীকে পাঠাতেও পারেন।
ষ শম ফারহান বিন হোসেন
ক্লিনিক্যাল অকুপেশনাল থেরাপিসট,
সিআরপি-মিরপুর, ঢাকা।
মোবাইল : ০১৬৮৫৬৫৬১৯৯



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন