Inqilab Logo

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির কর্মী সমাবেশে সংঘর্ষ

| প্রকাশের সময় : ৪ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম


গাড়ি ভাংচুর : সড়ক অবরোধ : আটক ১ : আহত ৩০
পটিয়া উপজেলা সংবাদদাতা : চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির কর্মী সমাবেশে সংঘর্ষের পর চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির কর্মী সমাবেশ সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার পটিয়া হল টুডে কনভেশন সেন্টারের সম্মুখে এই ঘটনা ঘটে। এতে দক্ষিণ জেলা বিএনপির প্রাক্তন সহ-সভাপতি এনামুল হক এনামসহ আহত হয়েছেন অনন্ত ৩০ জন। আহতদের মধ্যে রোকন (৩০), ইয়াছিন আরাফাত (৩৭), বাবু (১৮), আহমদ নবী (৩৪), মো. আবু হানিফ (৩৪), মনছুর (২৭), মো. মানিক (২৫), মো. এরশাদ (২৫), মামুনুর রশিদ (২০), রকি (২৫), মোঃ সেলিম (৪০), মহিউদ্দিন (৩৪)।
দলীয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে দক্ষিণ জেলা বিএনপি কর্মী সভার আয়োজন করেন পটিয়া পৌর সদরের হল টুডে কনভেশন সেন্টারে। এতে অতিথি থাকার কথা ছিল বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এম, মোর্শেদ খান, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি জাফরুল ইসলাম। বেলা ৩টার দিকে এনামুল হক এনামের নেতৃত্বে একটি মিছিল সভাস্থলে ঢুকার প্রাক্কালে জুয়েল গ্রæপের অনুসারীরা তাদেরকে বাধা দেয়। এই ঘটনার সূত্র ধরে মূলত দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় লাঠিসোটা নিয়ে চেয়ার ছোড়া ছুঁড়ি, ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়ে মহা সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি দেখে কেন্দ্রীয় কমিটির অতিথিরা সভাস্থল থেকে দ্রæত নিরাপদে ফিরে যায়। এনামকে রক্তাক্ত অবস্থায় সভাস্থল থেকে রাস্তায় বেরিয়ে আসলে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে অর্ধ শতাধিক গাড়ি ভাংচুর করে ও ব্যারিকেড দেয়। এসময় প্রায় এক ঘন্টা গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। পটিয়া থানার ওসি শেখ মোঃ নেয়ামত উল্লাহসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৩ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে নেতাকর্মীদের ধাওয়া করে। এসময় মো. আকবর নামের (২০) এক যুবককে পুলিশ আটক করেছেন। সে উপজেলার বুধপুরা গ্রামের মোতাহের উল্লাহর পুত্র। পুলিশ ব্যারিকেড সরিয়ে নিলে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক হয়।
দক্ষিণ জেলা বিএনপির প্রাক্তন সহ-সভাপতি এনামুল হক এনাম বলেন, জুয়েল গ্রæপের অনুসারীরা তাদের উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়েছে। শুধু তা নয় তাকে (এনাম) ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত করেন। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম ন্যাশনাল হসপিটালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার পর তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ নেতাদের অবগত করলে কর্মী সভার প্রধান অতিথিসহ অন্যরা সভাস্থলে যায়নি। দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক গাজী মোঃ শাহজাহান জুয়েলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সভানেত্রী নুরে আরা সাফা, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এড. ইফতেখার হোসেন চৌধুরী, বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল আজিজ চেয়ারম্যান, দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি বদরুল খায়ের চৌধুরী, বিএনপি নেতা মোজাম্মেল হক, পটিয়া উপজেলা বিএনপিসাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম।  
উল্লেখ্য, দক্ষিণ জেলা বিএনপির গাজী মোঃ শাহজাহান জুয়েল, এনামুল হক এনাম ও ইদ্রিস মিয়াসহ তিন গ্রুপে বিভক্ত। যার কারণে তারা এতোদিন দলীয় কর্মসূচি পৃথকভাবে পালন করে আসছিলেন।



 

Show all comments
  • হুমায়ন ৪ মে, ২০১৭, ১১:১৭ এএম says : 0
    এই ক্রান্তিকালে নিজেরা নিজেরা মারামারি করলে চলবে কী করে ?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চট্টগ্রাম


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ