Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অবশেষে জয় পেল আবাহনী

| প্রকাশের সময় : ৪ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : টানা তিন ম্যাচে হারের পর অবশেষে জয় পেল ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। এএফসি কাপের ‘ই’ গ্রæপে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে তারা ভারতীয় ক্লাব ব্যাঙ্গালুরু এএফসিকে হারিয়ে টুর্নামেন্টে প্রথম জয়ের স্বাদ নিলো। গতকাল সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আবাহনী ২-০ গোলে হারায় ব্যাঙ্গালুরুকে। বিজয়ী দলের হয়ে ফরোয়ার্ড সা’দ উদ্দিন সা’দ ও রুবেল মিয়া একটি করে গোল করেন।
নিজেদের মাঠে খেলা বলে আবাহনী কিছুটা আশাবাদী ছিলো এই ম্যাচ নিয়ে। যদিও তারা ব্যাঙ্গালুরুতে স্বাগতিক দলের কাছে হেরেছিলো। এর আগে হার দিয়েই টুর্নামেন্ট শুরু হয় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়নদের। ঘরের মাঠে মালদ্বীপের মাজিয়া ক্লাবের বিপক্ষে ২-০ গোলে হারের পর কোলকাতায় দ্বিতীয় ম্যাচে মোহনবাগের কাছে ৩-১ গোলে হারে আবাহনী। আর তৃতীয় ম্যাচে তো ২-০ গোলের হার নিয়ে ব্যাঙ্গালুরু ছাড়তে হয়েছে ঢাকার আকাশী-হলুদদের। তাই চতুর্থ ম্যাচটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্য ছিলো আবাহনীর। এবং শেষ পর্যন্ত তারা তা পেরেছেও। কাল ম্যাচের একটি লাল কার্ডই যেন সবকিছু বদলে দিলো। এএফসি কাপের বর্তমান রানার্সআপ এবং গ্রæপের শীর্ষ দল ব্যাঙ্গালুরু এফসির বিপক্ষে ম্যাচের ৮০ মিনিটে দশ জনের দলে পরিণত হয়ে যেন জ্বলসে উঠে বাংলাদেশ লিগ চ্যাম্পিয়নরা। এসময় আবাহনী ডিফেন্ডার নাসির উদ্দিন চৌধুরীকে লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে বের করে দেন রেফারী। এরপরই যেন বদলে যায় ঢাকার আকাশী-হলুদরা। দশ মিনিটের মধ্যে আবাহনী দু’গোল আদায় করে নিয়ে ব্যাঙ্গালুরুকে হতাশায় ডোবায়। ঢাকার আকাশী-হলুদরা তুলে নেয় টুর্নামেন্টে প্রথম জয়। ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাচে শুরু থেকেই গোলের জন্য মরিয়া ছিলো ঢাকা আবাহনী। তারা একের পর এক আক্রমণ করেও যখন ব্যর্থ তখন অতিথি দল ব্যাঙ্গলুরু এফসি পাল্টা আক্রমণ গিয়ে কাজের কাজ কিছুই করতে পারেনি। ফলে ম্যাচ এগিয়ে যায় অমিমাংসিতের পথে। খেলা শেষ হওয়ার দশ মিনিট আগে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড পান আবাহনীর অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার নাসির। ফলে রেফারী তাকে লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে বের করে দেন। নাসির মাঠ ছাড়লে আবাহনী কোচ দ্রাগা মামিচের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়ে। এসময় দশ জনের আবাহনীর রক্ষণদূর্গে ঝটিকা ক’টি আক্রমণও করে ব্যাঙ্গালুরু। কিন্তু উল্টো তাদেরই গোল হজম করতে হয়। পুরো ম্যাচেই ছিল আবাহনীর প্রাধান্য। যখন কিছুতেই কিছুৃ হচ্ছিলো না তখনই গোল পায় বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচের ৮৭ মিনিটে এগিয়ে যায় আবাহনী। এসময় পাল্টা আক্রমণ থেকে বল পেয়ে আবাহনীর ইংলিশ ফরোয়ার্ড  জোনাথন ডান দিক দিয়ে ব্যাঙ্গালুরুর সীমানায় ঢুকে গোলমুখে মাপা ক্রস দেন। বদলি সা’দ উদ্দিন চলন্ত বলে শট নিলে প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক আমরিন্দরকে বোকা বানিয়ে তা জালে আশ্রয় নেয় (১-০)। নির্ধারিত সময় শেষে (৯০+৩ মিনিট) গ্যালারির দর্শকরা যখন শেষ বাঁশির অপেক্ষায় তখনই মরণ কামড় দেয় ব্যাঙ্গালুরু। অন্তত একটি পয়েন্ট নিয়ে ঘরে ফিরতে মরিয়া দলের গোলরক্ষক আমরিন্দরও তখন আবাহনীর সীমানায়। আবাহনী রক্ষণ  দেয়ালে সেই আক্রমণ বাধা পেলে বল পান নাইজেরিয়ান এমেকা ডার্লিংটন। তিনি ব্যাঙ্গালুরুর গোলরক্ষককে কাটিয়ে বল ঠেলে দেন রুবেল মিয়ার উদ্দেশ্যে। রুবেল বল নিয়ে কয়েক গজ এগিয়ে গিয়ে দুরপাল্লার শটে আবাহনীর পক্ষে দ্বিতীয় গোল করেন (২-০)। শেষ পর্যন্ত এই ব্যবধানের জয়েই মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন দলটি। টুর্নামেন্টে আবাহনীর বাকি দুই ম্যাচের একটি ঘরের মাঠ মোহনবাগানের বিপক্ষে, অন্যটি মাজিয়ার বিপক্ষে মালদ্বীপে। এ দু’ম্যাচ জিতলে সেরা রানার্সআপ হিসেবে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার কিঞ্চিত সম্ভাবনা জাগবে আবাহনীর সামনে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আবাহনী

১০ জানুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ