নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
মোহনবাগানের খুব অপরিচিত প্রতিপক্ষ নয় আবাহনী। অতীতে বেশ কয়েকবারই দুই বাংলার দুই দল মুখোমুখি হয়েছে ময়দানি লড়াইয়ে। তাতে কখনো জিতেছে মোহনবাগান, কখনো আবাহনী। তবে আজ এএফসি কাপের প্লে-অফের দ্বিতীয় পর্বে বাংলাদেশের ক্লাবটির বিপক্ষে খেলতে নামার আগে যেন কিছুটা চিন্তিতই শোনা গেল মোহনবাগানের ফিনল্যান্ডের ফুটবলার জনি কাউকোর কণ্ঠ। গত বছর ‘২০২০ ইউরো’তে ফিনল্যান্ডের হয়ে খেলা এ ফুটবলারের কাছে আবাহনী একেবারেই ‘অচেনা’ প্রতিপক্ষ। আর এমন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে যে ঝুঁকিটা থাকে, সেটি নিয়েই চিন্তায় ফিনিশ তারকা।
আজ কলকাতার যুব ভারতী ক্রীড়াঙ্গনে নিশ্চিত করেই আবাহনীর বড় হুমকি কাউকো। কিছুদিন আগে প্লে-অফে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মোহনবাগান শ্রীলঙ্কার ব্লু স্টার দলকে ৫-০ গোলে উড়িয়েছিল। জনি কাউকো তাতে জোড়া গোল করেছিলেন। তবে লঙ্কান প্রতিপক্ষের চেয়ে বাংলাদেশি প্রতিপক্ষ যে এগিয়ে, সেটি মানেন এ ইউরো তারকা, ‘আবাহনী দল সম্পর্কে আমাদের তেমন কোনো ধারণা নেই। ইউটিউবে ওদের কিছু খেলা দেখেছি, ধারণা বলতে এতটুকুই। প্রতিপক্ষ অচেনা বলেই চিন্তিত আমি। কারণ, অচেনা প্রতিপক্ষ সব সময়ই ভয়ংকর হয়।’ ইউটিউব দেখে আবাহনীকে বেশ ভালো দলই মনে হয়েছে মোহনবাগানের ফিনল্যান্ড তারকার, ‘আমরা শুনেছি, আবাহনী বেশ শক্তিশালী। তাদের বিদেশিরা বেশ ভালো মানের। তবে আমরা খেলাটা ৯০ মিনিটের মধ্যে শেষ করতে চাই।’
ব্লু স্টারের বিপক্ষে জোড়া গোল করেছিলেন ভারতীয় দলে খেলা মোহনবাগানের আরেক তারকা মানবীর সিং। তিনিও আবাহনীকে শক্তিশালী দলই বলছেন, ‘ব্লু স্টারের চেয়ে আবাহনী অনেক শক্তিশালী দল। তাদের রক্ষণ বেশ শক্তিশালীই মনে হয়েছে। তবে এ ম্যাচে আমাদের সমর্থকেরা বড় প্রেরণা আমাদের।’
ম্যাচটি ঘিরে দুই বাংলায় বেশ আলোচনা হচ্ছে। কলকাতার ফুটবলপ্রেমীরা সেই ম্যাচ দেখার জন্য মুখিয়ে আছে। ১২ এপ্রিল শ্রীলঙ্কার ব্লু স্টারের বিপক্ষে ঐ ম্যাচটি খেলেছিল মোহনবাগান। সেই ম্যাচে দর্শকসংখ্যা ছিল ২৮ হাজার ৭৭৩ জন। আজ সেই সংখ্যা আরো বেশি হওয়ার কথা বললেন মোহনবাগানের কোষাধ্যক্ষ উত্তম, ‘বাংলাদেশের ফুটবলের প্রতি ভারতীয়দের বিশেষ টান সব সময়ই রয়েছে। যে জিতবে সে যাবে এএফসি কাপের মুল পর্বে ফলে বাড়তি টান টান উত্তেজনা ম্যাচকে ঘিরে।’ আবাহনীর ম্যাচে দর্শক যেন বেশি হয় এজন্য মোহনবাগান টিকিটের দামও কমিয়ে দিয়েছে। মাত্র ১০০ রুপি দিয়েও জীবন-প্রীতম কোটাল দ্বৈরথ দেখা যাবে। আগের ম্যাচে টিকিটের সর্বনিম্ন দাম ছিল ৩০০ রুপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।