Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

তিস্তার চরে মিষ্টি কুমড়ায় চাষিদের মুখে হাসির ঝিলিক

| প্রকাশের সময় : ৪ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনামুল হক মাজেদী, গঙ্গাচড়া (রংপুর) থেকে : রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলায় তিস্তার জেগে ওঠা বিভিন্ন চরে মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতিমধ্যে কুমড়া উত্তোলন শুরু হওয়ায় চাষীদের মাঝে ফুটে উঠেছে হাঁসির ঝিলিক। ধু-ধু বালু চরে প্রায় ৫ শতাধিক ভূমিহীন পরিবার কুমড়া বিক্রি করে প্রত্যেক পরিবার ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা আয় হবে বলে তারা জানিয়েছেন। জানা যায়, উপজেলার চিলাখালচর, বিনবিনা, ইচলি, ধামুর, ঘোনটারী, মিয়াপাড়া, আলেকিশামত, গান্নারপাড়, কুড়িবিশ্বা, নোহালীসহ ১৯টি চরে ১৯টি গ্রুপে এবারে হাইব্রীড ব্যাংকক ওয়ান এবং কাল পাথরী ইন্ডিয়ান জাতের কুমড়া চাষের জন্য বীজ, সার, সেচ ঔষধসহ অন্যান্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করে বেসরকারি সংস্থা ইউএসএইড (এস.ডাবিøউ এফ.এফ) সিকুরিং ওয়াটার ফর ফুড। এজন্য ৩০ জনের একটি গ্রুপ তৈরী করে প্রত্যেক সদস্যকে ৩ থেকে ৪শত কুমড়া গর্তে বীজ রোপনের জন্য প্রদান করে। এছাড়া উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্যোগে ৪ বিঘা জমিতে হাইব্রীড সুঁইটি জাতের কুমড়া চাষের প্রদর্শনী করে সার, সেচ ও কীটনাশক সহায়তা দেয়। কৃষি বিভাগের লোক ও সংস্থাটির লোকজন চাষীদের পরামর্শ প্রদান করছেন। তিস্তার বিভিন্ন চরে গিয়ে দেখা যায়, কুমড়ার ভাল ফলন হয়েছে। বালু চরে শোভা পাচ্ছে ছোট-বড় সাইজের কুমড়ার সারি। গাছ থেকে কুমড়া সংগ্রহে ব্যস্ত এসব ভূমিহীন ক্ষুদ্র চাষী বিনা পুঁজিতে এসব কুমড়া দেখে তাদের চোখে মুখে বইছে আনন্দের হাঁসি। এসময় কথা হয় ঘোনটারী চরের কুমড়া চাষী খাদিজা, সাজেদা, চেন বানু, মোসলেম, নুর আমিন, চেংটু, মোক্তার, আমিনুর ও হাবিবুর, কুড়িবিশ্বার হালিম, হোদাসহ অনেকের সাথে। তারা পুঁজি ছাড়া চরের বালু চরে কুমড়া আবাদ করে লাভবান হবেন বলে বেজায় খুশি। ভূমিহীন খাদিজা জানায় তার স্বামীর এক সময় অনেক কিছু থাকলেও তিস্তা নদীর ভাঙনে সব কিছু হারিয়ে সে এখন নিঃস্ব। এ বছর তিস্তায় জেগে ওঠা চরে ৩শ কুমড়া আবাদ করেছেন। প্রতিটি গর্তে গড়ে ৪/৫টি করে কুমড়া হয়েছে। এক একটি কুমড়া গড়ে ৪ থেকে ৫/৬ কেজি ওজনের হবে। ছোট-বড় সাইজ অনুযায়ী কুমড়া ৩০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি করি তাহলে ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা আয় হবে। সিকুরিং ওয়াটার ফর ফুড (এস.ডাবিøউ, এফ.এফ) এর ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর ফরিদ আহমেদ জানান, এসব হতদরিদ্র ভূমিহীন ক্ষুদ্র প্রান্তিক চাষীরা পুঁজি ছাড়া কুমড়া চাষ করে যা ফলন হয়েছে তারা যদি এগুলো দেরিতে বিক্রি করে তাহলে প্রত্যেক সুবিধাভোগী পরিবার ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা আয় করবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, তিস্তার চরাঞ্চল কুমড়া চাষের জন্য খুবই উপযোগী। স্বল্প পুঁজিতে কুমড়া চাষে এ অঞ্চলের অনেক কৃষক লাভবান হচ্ছে।



 

Show all comments
  • Tisa ৪ মে, ২০১৭, ১২:১১ পিএম says : 0
    onek din pore akta valo news sunlam
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তিস্তা


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ