মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : গত কয়েকদিন ধরে চলমান সরকার বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল লাতিন আমেরিকার সমাজতান্ত্রিক দেশ ভেনিজুয়েলা। বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩০ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। সংকট নিরসনে মধ্যস্থতার উদ্যোগ নিয়েছিল ওয়াশিংটনভিত্তিক অর্গানাইজেশন অব আমেরিকান স্টেটস (ওএএস)। এর জেরেই শেষ পর্যন্ত মার্কিন জোট ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। খবরে বলা হয়, জোটভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক বৈঠক আহŸানকে কেন্দ্র করে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এতে ভেনিজুয়েলার সংকট নিরসনে আলোচনার জন্য বৈঠকে বসতে রাজি হয় জোটের সদস্যরা। এদিকে, জোটের এ উদ্যোগকে অনধিকার চর্চা বলে মনে করছে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকার। এক বিবৃতিতে জোট ছাড়ার ঘোষণা দেন ভেনিজুয়েলার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেলসি রদ্রিগেজ। তার মতে, ওএএস তার দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থার ওপর অনধিকার চর্চা করছে। ব্রাজিলের দুর্বল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নিয়ে জোটের কোনো মাথাব্যথা নেই। কিন্তু প্রেসিডেন্ট মাদুরোর পতন ঘটাতে ভেনিজুয়েলাকে নিয়ে সরব হয়েছে। উল্লেখ্য, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহায়তা বৃদ্ধির জন্য ১৯৪৮ সালে যাত্রা শুরু করে অর্গানাইজেশন অব আমেরিকান স্টেটস (ওএএস)। দুই মহাদেশের ৩৫টি দেশ এ জোটের সদস্য। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে এর সদর দফতর অবস্থিত। ভেনিজুয়েলায় টানা ৩ সপ্তাহের বিক্ষোভ গত বুধবার ফের রক্তাক্ত আকার ধারণ করে। রাজধানী কারাকাসসহ দেশটির বড় বড় শহরগুলোতে তীব্র বিক্ষোভ হয়। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হন ২ জন। সরকারি হিসাব মতে, এ নিয়ে মোট ২৬ জন নিহত হলেন। তবে বিক্ষোভকারীরা বলছেন, নিহতের সংখ্যা ৩০ ছাড়িয়েছে। তেল সমৃদ্ধ দেশটিতে চলমান চরম অর্থনৈতিক সংকট ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সংকটের জেরে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট মাদুরোর পদত্যাগ দাবি করেন। এর মাঝেই খবর আসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে ৫০ লাখ ডলার অনুদান দিয়েছে ভেনেজুয়েলা। দেশটির রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানির মার্কিন সাবসিডিয়ারি শিটগো পেট্রোলিয়ামের তহবিল থেকে এ অর্থ দেয়া হয়। এ অনুদানের তথ্য চলমান বিক্ষোভের আগুনে ঘি ঢালে। যে সরকার দেশের জনগণের নিত্যদিনের চাহিদা পূরণে হিমশিম খাচ্ছে সেই সরকার বিদেশী রাষ্ট্রনেতার শপথ অনুষ্ঠানে মিলিয়ন ডলার অনুদান দেবে, এ বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি বিক্ষোভকারীরা। সরকার বিরোধী বিক্ষোভ ভিন্ন মাত্রা পায়। রাজধানী কারাকাস ছাড়িয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভ। প্রেসিডেন্ট মাদুরো মনে করছেন সরকার বিরোধী বিক্ষোভের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ধন আছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন তাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চায়। ভেনেজুয়েলায় সমাজতন্ত্রের পতন চায়। তাই তার সরকারের বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসন ক্রমাগত ঘৃণা ছড়াচ্ছে। এর জেরেই মাদুরো দেশটিতে মার্কিন অটোমোবাইল জায়ান্ট জেনারেল মটরসের (জিএম) কারখানাসহ সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।